উত্তর : স্ত্রী নিজের নিরাপত্তার জন্য তার স্বামীর নির্যাতনের কথা পিতা-মাতা বা নিকটতম অভিভাবকদের জানাতে পারবে। এটা গীবতের মধ্যে গণ্য হবে না। আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) তার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হ’লে তিনি পিতা আবুবকর (রাঃ)-কে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শুনে আবুবকর (রাঃ) মেয়েকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়ে বলেন, কারো স্বামী যদি সৎ হয়, আর এ অবস্থায় মারা যায় এবং স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে না করে তাহ’লে সে জান্নাতে ন্যায়পরায়ণ স্বামীর সাথে অবস্থান করবে’ (ত্বাবাক্বাতে ইবনু সা‘দ ৮/১৯৭; ছহীহাহ হা/১২৮১-এর আলোচনা)। অতএব সম্ভবপর স্বামীর সাথে সদ্ভাবে সংসার করবে। পরিবেশ না থাকলে অভিভাবকদের অবহিত করে মীমাংসার চেষ্টা করবে।
প্রশ্নকারী : আফরীন জাহান, চট্টগ্রাম।