উত্তর :
বিশুদ্ধ মতে রাসূল (ছাঃ)-এর দুধমাতা হালীমা সা‘দিয়া (রাঃ) ইসলাম কবুল
করেছিলেন। হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) তাকে ছাহাবীগণের মধ্যে গণ্য
করেছেন (আল-ইছাবাহ ক্রমিক ১১০৫০, ৭/৫৮৪)। রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের পর
হালীমা ও তার স্বামী হারেছ বিন আব্দুল উযযা তাঁর নিকট আগমন করে এলাকায়
দুর্ভিক্ষের অভিযোগ করলে খাদীজা (রাঃ) তাদের চল্লিশটি ছাগল ও একটি উট দান
করেন। রাসূলের নবুঅত লাভের পর পুনরায় আগমন করে তারা উভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন (ইবনুল জাওযী, ছিফাতুছ ছাফওয়া ১/৬২; আল-বিদায়াহ ৪/৩৬৪; যিরিকলী, আল-আ‘লাম ২/২৭১)।
হালীমার কবর কোথায়, তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় না। বিশ্ব পর্যটক মরক্কোর মুহাম্মাদ ইবনু বতূতা (৭০৩-৭৭৯ হিঃ) হালীমার কবর বছরায় বলে উল্লেখ করেছেন (রিহলাহ ইবনু বতুতা ২/১৪)। কিন্তু এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কেননা মুসলমানগণ বছরা জয় করেন ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (১৩-২৩ হিঃ)।
হালীমা সা‘দিয়া ছিলেন হাওয়াযেন গোত্রের বনু সা‘দ শাখার অন্তর্ভুক্ত। যারা মক্কার আশপাশের এলাকায় বসবাস করতেন। মক্কার নেতারা তাদের সন্তানদের খোলামেলা উন্নত পরিবেশে এবং শুদ্ধ ভাষা শিখানোর জন্য এদের নিকট সন্তান পালনের জন্য প্রদান করতেন। বর্তমানে মক্কা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ৯০ কি.মি. দূরে ত্বায়েফ থেকেও ৮৫ কি.মি. দূরে বনু সা‘দ যেলায় হালীমা সা‘দিয়ার বাড়ী ও কবর রয়েছে বলে যা প্রসিদ্ধ হয়ে আছে, তা ভিত্তিহীন। সঊদী সরকার কল্পিত উক্ত স্থানকে কয়েক বছর আগে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। যা এযাবৎ বিদ‘আতের আখড়া হিসাবে পূজিত হচ্ছিল। এমনি করেই শয়তান বকধার্মিকদের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে শিরক ও বিদ‘আতের কেন্দ্র সমূহ গড়ে তোলে। যাতে প্রকৃত মুমিনগণ পথভ্রষ্ট হয়।