উত্তর :
এটি তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ মি‘রাজের ঘটনা যদি স্বাপ্নিক বা আত্মিক
হ’ত, তাহলে মক্কার কাফির-মুশরিকদের তা অবিশ্বাস করার কোন কারণ থাকত না।
কেননা তারা এটা শুনেই একে মিথ্যা বলেছিল এবং বায়তুল মুক্বাদ্দাসের বিবরণ
দাবী করেছিল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮৬৭)। আর ‘আবদ’ বলা
হয় দেহ ও প্রাণ সহ ব্যক্তিকে। স্বপ্নে হলে তো ‘রূহ’ বলা হ’ত। এছাড়া রাসূল
(ছাঃ)-এর সশরীরে মি‘রাজে গমন এবং আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলার বিষয়টি
পবিত্র কুরআন ও একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন, ‘পরম
পবিত্র সত্তা তিনি যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় মসজিদে হারাম থেকে
মসজিদে আক্বছা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন। যার চতুস্পার্শ্বকে আমরা বরকতময়
করেছি। যাতে করে আমরা তাকে আমাদের নিদর্শনসমূহরে কিছু দেখিয়ে দেই’ (ইসরা ১; তাছাড়া সূরা নজম ১১-১৮ পর্যন্ত দ্রষ্টব্য)।
ছহীহ হাদীছে এসেছে, তিনি ‘বোরাক’-নামক বাহনের মাধ্যমে প্রতি আসমানে
পৌঁছেছিলেন। সেখানে নবীদের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। ফেরার পথে মূসা (আঃ)-এর
সাথে ছালাত সম্পর্কে কথোপকথন হয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮৬২-৬৪, ‘মিরাজ’ অনুচ্ছেদ)। এমনকি মি‘রাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকল নবী-রাসূলের ইমামতি করেছিলেন’ (মুসলিম হা/১৭২ ‘ঈমান’ অধ্যায়)।