উত্তর : অনেক পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি প্রদত্ত হ’ল : (১) আরাফা ময়দানে অবস্থানকালে তারা যোহর ও আছর জমা করেন না। বরং পৃথকভাবে প্রথম ওয়াক্তে পড়েন। যা ছহীহ হাদীছের বিরোধী (২) তারা তারতীব ওয়াজিব বলেন। অর্থাৎ তাদের মতে ১০ তারিখে মিনায় ফিরে কংকর মেরে কুরবানী করবে। অতঃপর মাথার চুল ন্যাড়া করবে অথবা ছোট করবে। অতঃপর মক্কায় গিয়ে ত্বাওয়াফে যিয়ারত করবে। এতে আগপিছ হ’লে তাকে কাফ্ফারা স্বরূপ একটি কুরবানী দিতে হবে। (৩) তারা হজ্জে ক্বেরানকে হজ্জে তামাত্তুর চাইতে উত্তম বলেন (৪) তারা তানঈম থেকে বারবার বিভিন্ন নামে ওমরা করেন, যা ছহীহ হাদীছের বিরোধী (৫) তারা ঢাকা থেকে ইহরাম বাঁধেন, যা ছহীহ হাদীছের বিরোধী। (৬) তারা অনেকে ১০ তারিখে মক্কায় গিয়ে আর মিনায় ফেরেন না। মক্কাতেই রাত্রি যাপন করেন। যা সম্পূর্ণভাবে নাজায়েয (৭) তারা হজ্জের তাওয়াফ-সাঈ, ওকূফে আরাফাহ, মুযদালিফা, মিনা, কংকর মারা, যমযমের পানি পান করা প্রভৃতির জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত পাঠ করেন, যার কোন ভিত্তি নেই। এছাড়া বিভিন্ন ছালাতের বিভিন্ন নিয়ত পাঠের বিদ‘আত তো আছেই (৮) মদীনায় গিয়ে রাসূলের কবরমুখী দাঁড়িয়ে দূর থেকে কান্নাকাটি ও প্রার্থনা করেন, যা স্পষ্টতঃ শিরক (৯) মদীনায় গিয়ে ৪০ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করাকে আবশ্যিক মনে করেন (১০) মদীনা থেকে মক্কায় যাওয়ার সময় যুল-হুলায়ফাতে গিয়ে ছালাত জমা ও কছর করাকে তারা নাজায়েয বলেন। (১১) মদীনায় গিয়ে সাতটি মসজিদে ছালাত আদায় করাকে বড়ই পুণ্যের কাজ মনে করেন। এ ধরনের আরও অনেক বিষয় রয়েছে, যা ছহীহ হাদীছের বিপরীত এবং যার কারণে হজ্জ কবুল না হওয়ার আশংকা থাকে।






বিষয়সমূহ: হজ্জ ও ওমরাহ
প্রশ্ন (৯/৮৯) : আমাদের বাসায় চল্লিশটি ক্বাফযুক্ত দো‘আ আছে। যা পড়লে নাকি অনেক নেকী হয়। এর কোন সত্যতা আছে কি? - -আবু তাহের, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : হজ্জের সফরে বিভিন্ন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একাধিকবার ওমরাহ করার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি? - উম্মে কুলছূম, কানসাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩০/২৭০) : হজ্জের দিন আরাফার মাঠে মসজিদে নামিরায় যারা অবস্থান করেন তারা যোহর ও আছর ছালাত এক আযান ও দুই ইক্বামতে জমা ও ক্বছর করে আদায় করেন। আর যারা তাঁবুতে অবস্থান করেন তারা দুই ওয়াক্তে পৃথকভাবে যোহর ও আছর পড়েন। তারা জমা ও ক্বছর করেন না। এর কারণ কী? রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে কিভাবে পড়া হ’ত?
প্রশ্ন (২৮/১৮৮) : মসজিদে নববীতে আয়েশা খুঁটি, হান্নানা খুঁটি এরূপ বিভিন্ন খুঁটি রয়েছে। এসব স্থানের পাশে ছালাত আদায় করায় বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : জুম‘আর খুৎবা প্রদানের সুন্নাতী পদ্ধতিসমূহ কি কি? - -শামীম ইসলাম. ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (৩/৩) : কাতারের সম্মুখে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে কি? এতে কি অগ্নিপূজকদের সাদৃশ্য হবে? - -ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারীউত্তর নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : ভবিষ্যতে মাদ্রাসা করার লক্ষ্যে এখন থেকে নিয়মিতভাবে নিজের ও অন্যদের যাকাত, দান-ছাদাক্বা, ওশর ইত্যাদি নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা রাখতে পারব কি?
প্রশ্ন (১০/৩৩০) : পিতা-মাতা যদি ব্যাপক প্রহার করে ও গালি-গালাজ করে তাহ’লে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফৌজদারী আদালতে নালিশ করা যাবে কি? যাতে এধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। - -মুস্তাক্বীম আহমাদ, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৩৩/১৯৩) : ছহীহ মুসলিমে এসেছে, চিরদিন আমার উম্মতের একটি দল হক-এর উপর কিতাল করবে...। এর অর্থ কি তারা সর্বদা যুদ্ধ করতে থাকবে? অথচ রাসূল (ছাঃ) জীবনের বহু সময় কিতাল বিহীন অবস্থায় অতিবাহিত করেছেন!
প্রশ্ন (৯/২০৯) :পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদের ছালাতের জন্য বের হ’তে দেওয়া হয় না। আবার বের হ’লেও পরীক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে হয়। এমতাবস্থায় ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আশংকা থাকলে শিক্ষার্থীর করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৪/১৪৪) : নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বইয়ে ১৬৯ পৃষ্ঠায় আছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) একাধারে ত্রিশ বছর রোযা রেখেছেন ও চল্লিশ বছর যাবৎ রাতে ঘুমাননি। অর্থাৎ এশার ওযূতে ফজরের ছালাত আদায় করেছেন। বর্ণনাটি কতটুকু সত্য? - -আনীস, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : কোন ব্যক্তি গান-বাজনাসহ অন্যান্য অপকর্ম চালু রেখে মারা গেলে তার পাপের ভাগ সে পেতে থাকবে কি?
আরও
আরও
.