উত্তর : যেকোন কল্যাণকর কাজে দো‘আ করা যাবে। কারো দ্বীনদারী ও উত্তম আচরণ দেখে তার সাথে বিবাহের জন্যও দো‘আ করা যেতে পারে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৭১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৩/২০৫-৬)। তবে এক্ষেত্রে হাদীছে বর্ণিত সারগর্ভ দো‘আ করাই উত্তম। যেমন রাববানা আ-তিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা ‘আযা-বান্না-র। অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দাও ও আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও’ (বাক্বারাহ ২/২০১)।
আর দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কে কল্যাণকর হবে, সে ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন। সেজন্য সর্বোত্তম পন্থা হ’ল- ইস্তিখারার দো‘আ পাঠ করা, যা শরী‘আত নির্দেশিত। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, হে আল্লাহ! যদি তুমি জানো যে, এ কাজটি আমার জন্য উত্তম হবে আমার দ্বীনের জন্য, আমার জীবিকার জন্য ও আমার পরিণাম ফলের জন্য, তাহ’লে ওটা আমার জন্য নির্ধারিত করে দাও এবং সহজ করে দাও। অতঃপর ওতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি তুমি জানো যে, এ কাজটি আমার জন্য মন্দ হবে আমার দ্বীনের জন্য, আমার জীবিকার জন্য ও আমার পরিণাম ফলের জন্য, তাহ’লে এটা আমার থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকেও ওটা থেকে ফিরিয়ে রাখ। অতঃপর আমার জন্য মঙ্গল নির্ধারণ কর, যেখানে তা আছে এবং আমাকে তা দ্বারা সন্তুষ্ট কর’ (বুখারী হা/১১৬২; মিশকাত হা/১৩২৩)।