উত্তর : এভাবে সালাম দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। বরং শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সালাম দিবেন বা শিক্ষার্থীরা বসে থেকেই শিক্ষককে সালাম দিবে (বুখারী হা/৬২৩১; মিশকাত হা/৪৬৩৩) এবং একে অপরের সালামের উত্তর দিবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যদি কেউ এতে আনন্দবোধ করে যে, লোকেরা তাকে দেখে স্থিরভাবে দন্ডায়মান থাকুক, তাহ’লে সে জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নিল (তিরমিযী হা/২৭৫৫; মিশকাত হা/৪৬৯৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘ছাহাবীদের কাছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর চেয়ে অধিক প্রিয় ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। কিন্তু তবুও তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আগমন করতে দেখতেন, তখন কেউই তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, রাসূল (ছাঃ) এটা পসন্দ করেন না’ (তিরমিযী হা/২৭৫৪; ছহীহাহ হা/৩৫৮; মিশকাত হা/৪৬৯৮)।
তবে দূর থেকে নতুন কেউ আগমন করলে বা কাউকে অভিবাদন জানানোর উদ্দেশ্যে বা মুছাফাহার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎ করলে তাতে কোন দোষ নেই। যেমন কা‘ব বিন মালেক (রাঃ)-এর তওবা কবুল হ’লে তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করলেন তখন তালহা (রাঃ) রাসূলের মজলিস থেকে উঠে দরজার দিকে অগ্রসর হয়ে তাকে অভিবাদন জানলেন। অনুরূপভাবে বনু কুরাইযা গোত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ) আগমন করলে রাসূলের নির্দেশে সবাই দাঁড়িয়ে গিয়ে তাকে সালাম দেয় এবং তাঁকে বাহন থেকে নামানোর ব্যবস্থা করেন। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন ফাতেমা (রাঃ)-এর বাড়িতে যেতেন তখন ফাতেমা বাড়ি থেকে বের হয়ে রাসূলকে অভ্যর্থনা জানাতেন এবং তাঁকে নিজ গৃহে সাথে করে নিয়ে যেতেন। ফাতেমা (রাঃ) রাসূলের বাড়িতে গেলে রাসূল (ছাঃ)ও তাঁর সাথে অনুরূপ করতেন (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৬৯৫৩; মিশকাত হা/৩৯৬৩)।
প্রশ্নকারী : মঈনুদ্দীন, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।