উত্তর : সালাফে ছালেহীনের মাঝে ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতীদের সালাম না দেওয়ার প্রচলন ছিল (দ্র: ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ২৭৪)। যেমন ছাহাবী জাবের (রাঃ) ফাসেক ও অত্যাচারী উমাইয়া গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে সালাম দেননি (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১০২৫)। জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমাদ (রহঃ)-কে রাফেযী প্রতিবেশীর প্রতি সালাম প্রদানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি সালাম দিতে এমনকি উত্তর দিতেও নিষেধ করেন (আবুবকর খাল্লাল, আস-সুন্নাহ হা/৭৮৮)। ইমাম আওযাঈ জনৈক তাক্বদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তিকে সালাম দিতে অস্বীকৃতি জানান (উকাইলী, যু‘আফা ১/১৭৯ পৃঃ)। তবে ইবনে ওমর (রাঃ) ‘মদ্যপায়ীকে সালাম প্রদান করতে নিষেধ করেছেন’ মর্মে ছহীহ বুখারীতে তা‘লীক্ব হিসাবে বর্ণিত আছারটি যঈফ (আলবানী, যঈফুল আদাবিল মুফরাদ হা/১৫৮)।
ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতী নয় এরূপ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংশোধনের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সালাম প্রদান থেকে বিরত থাকা যাবে; স্থায়ীভাবে নয়। কারণ এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের যে ছয়টি অধিকার রয়েছে, তার মধ্যে সালাম বিনিময় অন্যতম (মুসলিম হা/২১৬২; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৯২৫; মিশকাত হা/১৫২৫)।