উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। সেকারণ তালাক প্রযোজ্য হবে না। কেননা কন্যার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বৈধ নয় (ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৯; মিশকাত হা/৩১৩১, ৩১৩৭)। অতএব যতদিন তারা বসবাস করেছে, ততদিন তারা ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল। এক্ষণে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে চাইলে প্রথমে অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করবে। অতঃপর অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে শরী‘আসম্মতভাবে বিবাহের সার্বিক কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।
মা‘কিল বিন ইয়াসার (রাঃ)-এর বোনকে তার স্বামী তালাক দেওয়ার পর ইদ্দত শেষ হ’লে তার নিকটে আবার বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মা‘কিল তাতে অমত করে। এসময় আয়াত নাযিল হয়- ‘আর যখন তোমরা স্ত্রীদের (রাজ‘ঈ) তালাক দাও। অতঃপর তাদের ইদ্দত পূর্ণ হয়ে যায়। তখন তারা উভয়ে যদি ন্যায়ানুগভাবে পরস্পরে সম্মত হয়, সে অবস্থায় স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিয়ো না’ (বাক্বারাহ ২/২৩২; বুখারী হা/৫৩৩১)। উক্ত ঘটনার মাধ্যমে বিবাহের ক্ষেত্রে একদিকে অভিভাবকের অনুমতির গুরুত্ব, অন্যদিকে পাত্রীর পসন্দ মেনে নেওয়ারও গুরুত্ব ফুটে উঠেছে।