উত্তর: সাধারণভাবে অমুসলিমরা হালাল কোন খাবার হাদিয়া হিসাবে প্রদান করলে তা গ্রহণে দোষ নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না... (মুমতাহিনাহ ৬০/৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, চাওয়া ছাড়াই তোমাকে যা কিছু দেওয়া হয়, তা খাও এবং ছাদাক্বা করো (মুসলিম হা/১০৪৫; মিশকাত হা/১৮৫৪)। সালেম (রাঃ) বলেন, ইবনু ওমর (রাঃ) কারো কাছে কিছু চাইতেন না এবং কেউ যদি (না চাওয়া সত্ত্বেও) তাকে কিছু দিতেন, তাহ’লে তিনি এটা প্রত্যাখান করতেন না (মুসলিম হা/১০৪৫; মিশকাত হা/১৮৫৭)

আলী (রাঃ)-কে খৃষ্টানদের ঈদের দিনে কোন কিছু হাদিয়া দেওয়া হ’লে তিনি তা গ্রহণ করতেন (বায়হাক্বী হা/১৮৮৬৫)। জনৈকা মহিলা আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার একজন অগ্নিপূজক প্রতিবেশী আছে, তারা তাদের ঈদের দিনে আমাকে হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করব কি? তিনি বললেন, তাদের যবেহ করা প্রাণীর গোশত নিবে না। তবে হালাল খাবার বা ফলমূল নিবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৪৩৭১)। প্রখ্যাত ছাহাবী আবু বারযা আসলামী (রাঃ) তার পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অমুসলিমরা তাদের ঈদের দিনে কোন হাদিয়া দিলে হালাল এবং ফলমূল গ্রহণ করবে; অন্য কিছু দিলে প্রত্যাখান করবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৪৩৭২, ৩২৬৭৪)

উপরোক্ত আছারগুলো উল্লেখপূর্বক ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-সহ বিদ্বানগণ বলেন, এগুলো প্রমাণ করে যে, তাদের আনন্দের দিনের কোন হালাল হাদিয়া গ্রহণে দোষ নেই। তবে সেই দিনে তাদের সাথে আনন্দ করা, সেই আনন্দকে কেন্দ্র করে তাদেরকে হাদিয়া দেওয়া বা তাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হাদিয়া আদান-প্রদান করা হারাম (ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। সর্বোপরি বিজাতীয় কোন অনুষ্ঠানের যে কোন কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখাই সর্বোত্তম।

প্রশ্নকারী : যাকির হোসাইন, নর্থ জুটল্যান্ড, ডেনমার্ক।








বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
প্রশ্ন (৩৯/২৩৯) : যদি কেউ ভুলবশতঃ আমার নম্বরে ফ্লেক্সিলোড করে এবং পরে টাকা ফেরত না চায়। সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? - -খোন্দকার নাছীফ, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : জনৈক আলেম বলেন, সুন্নাতযুক্ত ফরয ছালাত শেষে সংক্ষিপ্ত দো‘আ পাঠ করতে হবে। আর সুন্নাত বিহীন তথা ফজর ও আছর ছালাতের পর বিস্তারিত যিকির করতে হবে। এর কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১০/২৫০) : ছালাতরত অবস্থায় ইমামের ওযূ নষ্ট হয়ে গেলে ইমামসহ মুক্তাদীদের করণীয় কি? বিশেষতঃ শেষ তাশাহহুদে হলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (১২/২৫২) : বাজারে মুরগী বা গরুর গোশত বিক্রেতারা মুসলিম হ’লেও যবহকালে বিসমিল্লাহ বলেছে কি-না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? - কাওছার আলী চারঘাট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : আমাদের এখানে কসাইয়ের পেশায় যুক্ত অধিকাংশ মুসলমান ছালাত আদায় করে না। আবার পৌরসভা থেকে নিযুক্ত বিদ‘আতী ইমাম তা যবেহ করে। এই গোশত খাওয়া যাবে কি? - -ইসমাঈল হোসাইন, মাগুরা।
প্রশ্ন (১১/৯১) : আমার আবাদ করার মত জমি আছে। কিন্তু চাষ করার মত সক্ষমতা নেই। অন্য মানুষকে জমি চাষ করতে দিলে শরী‘আত সম্মত পদ্ধতি কি কি?
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : ওযায়ের সম্পর্কে জানতে চাই। - রবীউল ইসলাম নিয়ামতপুর ,নওগাঁ।
প্রশ্ন (৬/২৮৬) : পঙ্গপাল কি পশু-পাখির অন্তর্ভুক্ত এবং তা খাওয়া যাবে কি? - -যানযাবীল, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩২/৩১২) : এক শ্রেণীর মানুষ ১৮ই জিলহজ্জকে ‘ঈদে গাদীর’ হিসাবে আখ্যায়িত করে। এদিনের বিভিন্ন ফযীলত যেমন এদিনে রাসূল (ছাঃ) ছিয়াম পালন করেন, এদিন আল্লাহ ইসলামের পূর্ণতা ঘোষণা করেন ইত্যাদি বলে থাকে। এর কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : সূরা কাহফের বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (৭/২৪৭) : আমার দোকানে কম্পিউটার, টিভি, মোবাইল, ডিভিডি প্লেয়ার ইত্যাদি বিক্রয় হয়ে থাকে। এসব পণ্যের ব্যবহারকারীদের অবৈধ ব্যবহারের ফলে বিক্রেতা হিসাবে আমি গোনাহগার হব কি?
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনেক সময় মানুষ ও প্রাণীর ছবি নিয়ে কাজ করতে হয়। যা পরবর্তীতে প্রিন্ট করা হয়। এসব ক্ষেত্রে কাজ করা জায়েয হবে কি? - -রিয়াদ মোর্শেদ, কক্সবাজার।
আরও
আরও
.