উত্তর : শুক্রবারে সূরা কাহফ পড়ার বিশেষ ফযীলত রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দিনে এর প্রথম দশ আয়াত বা শেষ দশ আয়াত মুখস্থ ও পাঠ করার বিশেষ ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন সূরা কাহ্ফ তেলাওয়াত করবে, তার ঈমানী জ্যোতি এক জুম‘আ হ’তে আরেক জুম‘আ পর্যন্ত বিকশিত হবে’ (বায়হাক্বী হা/৬২০৯; মিশকাত হা/২১৭৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৭০)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর রাতে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য তার ও বায়তুল আতীক্ব (কা‘বা)-এর মধ্যবর্তী জায়গা নূরে আলোকিত হয়ে যাবে’ (দারেমী হা/৩৪৫০; ছহীহুত তারগীব হা/৭৩৬)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা হ’তে নিরাপদ থাকবে’ (মুসলিম হা/৮০৯; মিশকাত হা/২১২৬)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে’ (আহমদ হা/২৭৫৫৬; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৭৮৬, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র এসেছে, ‘এক ব্যক্তি সূরা কাহ্ফ তেলাওয়াত করছিল। আর তার পার্শ্বে তার ঘোড়া বাঁধা ছিল দুইটি রশি দ্বারা। এসময় এক খন্ড মেঘ তাকে ঢেকে নিল এবং তার নিকটতর হ’তে লাগল। তখন তার ঘোড়া লাফাতে লাগল। সে যখন ভোরে উঠল, তখন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে তা উল্লেখ করল। তিনি বললেন, তা ছিল রহমত, যা নেমে এসেছিল কুরআনের কারণে’ (বুখারী হা/৫০১১; মুসলিম হা/৮০৯; মিশকাত হা/২১১৭)

অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহ্ফ যেভাবে নাযিল করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই তেলাওয়াত করবে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান হ’তে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত হবে এবং সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত পাঠ করলে দাজ্জালের ফেৎনা হ’তে মুক্ত থাকবে এবং দাজ্জাল তার উপর কোনরূপ মন্দ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না’ (হাকেম হা/২০২৭; নাসাঈ কুবরা হা/১০৭৮৮; ছহীহাহ হা/২৬৫১)

প্রশ্নকারী : মামূনুর রশীদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।








প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : খাওয়ার সময় সালাম আদান-প্রদান বা প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে কি ? - -মেহেদী হাসানহিরণ, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৪/৪৭৪) : ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে পুরুষদের সতর কতটুকু? খালি গায়ের উপর কেবল গামছা দিয়ে ছালাত পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৯৩) : যখন মসজিদে বা টেলিভিশনে আযান হয়, তখন মহিলা মাথায় ওড়না অথবা কাপড় তুলে দেয়। শরী‘আতে এধরনের কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : সাংগঠনিক নিয়মে আমাকে ইহতিসাব রাখতে হয় এবং উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলকে দেখাতে হয়। এটি কি রিয়া তথা লোক দেখানো আমলের অন্তর্ভুক্ত হবে? - -মুজাহিদুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (১৭/১৩৭) : সূরা তওবার ৭৫ ও ৭৬ নং আয়াতদ্বয় কোন্ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে?
প্রশ্ন (১৫/৪১৫) : গোসল করার পর ওযূ করার কোন প্রয়োজনীতা আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/২৪০) : কাশফ কি? যেকোন বুযর্গের কাশফ হওয়া সম্ভব কি? ফাযায়েল-এর কিতাবগুলিতে যেসব কাশফের বর্ণনা আছে তার সত্যতা আছে কি? - সাইফুল ইসলাম, খিলক্ষেত, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : তায়েফ সফরকালে রাসূল (ছাঃ) নির্যাতিত হওয়ার পর একটি আঙ্গুর বাগানে বসে যে দো‘আটি করেছিলেন, তা ছহীহ কি?
প্রশ্ন (৩/১২৩) : জনৈক আলেম বলেন, কাউকে সাপে দংশন করলে সূরা ফাতিহা সাতবার পড়ে তার উপর দম করবে। অতঃপর অর্থহীন মন্ত্র পড়তে হবে। যেমন- সিজ্জাতুন তারানি য়্যাতুন মিলহাতু বাহরিন কাফাত্বা। প্রশ্ন হল, উক্ত পদ্ধতিতে ঝাড়ফুঁক করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২/৪৪২) : রামাযান মাসে মাসিকের জন্য বাদ পড়া ছিয়ামগুলি পরবর্তীতে রাখতে হবে কি? রাখা গেলে তা শাওয়াল মাসের ছিয়ামের সাথে রাখা যাবে কি? - -হারূনুর রশীদ, তেজগাঁও, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : সূরা কাওছারে রাসূল (ছাঃ)-কে কুরবানী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষণে কুরবানী করা কি ফরয? - -ইউসুফ আহমাদকুলনিয়া, পাবনা।
প্রশ্ন (৩৭/৩৯৭) : ছিয়াম অবস্থায় অনেক মানুষ এমনকি কোন কোন আলেমও দাঁতে গুল দেন এবং বলেন এতে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানতে চাই।
আরও
আরও
.