ভূমিকা :জান্নাত লাভ করা প্রত্যেক বান্দার আরাধ্য বিষয়। মুমিন বান্দা হৃদয়ে সর্বদা জান্নাত লাভের স্বপ্ন লালন করেন। তবে শুধু কামনা করলেই জান্নাত পাওয়া যায় না; বরং এর জন্য কিছু করণীয় ও বর্জনীয় রয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী শরী‘আতে এমন কতিপয় নেক আমল আছে, যা সম্পা
পর্ব ১ । বহিরাগত কারণ :বর্তমান কুফর তথা নাস্তিকতা প্রসারের পিছনে কাজ করছে পাশ্চাত্যের জীবনধারা। ধর্ম বিশ্বাসে পাশ্চাত্যের অধিকাংশ দেশ খৃষ্টান। কিন্তু খৃষ্টান ধর্মের প্রভাব পাশ্চাত্যের জনগণের উপর সামান্যই। ধর্মকে তারা ব্যক্তিগত বিষয়ের ঊর্ধ্বে বেশ
ভূমিকা :রিয়া বা লৌকিকতা সৎআমল বিধ্বংসী নীরব ঘাতক। মনের অজান্তেই মানুষের অন্তরে এই রোগ বাসা বাঁধে। এটি মুখোশধারী প্রতারক। যে অবগুণ্ঠনের আড়ালে তার বীভৎস চেহারা আড়াল করে রাখে। মানুষকে দেখানো বা শুনানোর জন্য যখন কোন সৎকর্ম বা ইবাদত সম্পাদিত হয়, তখন সেটি
গ. ব্যক্তির দ্বীনের উপরে প্রভাব :ব্যক্তির দ্বীনদারীর উপরেও পাপের প্রভাব পড়ে। ফলে ইহকাল ও পরকালে সে যারপরনাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাপাচারের কারণে পাপের প্রতি আসক্তি তৈরী হয়, হেদায়াত ও রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। ঈমান বিনষ্ট হয়। এতে আল্লাহর কাছে লাঞ্ছিত হয় এবং মান
৫. কুরআনের উপমা-উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করা :মানুষকে কোন উদাহরণ দিয়ে বুঝালে সে খুব ভালোভাবে সেটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারে। কোন কথা সোজাসাপটা বললে মানুষ যতটা না উপলব্ধি করতে পারে, একই কথা উদাহরণ দিয়ে বুঝালে তদপেক্ষা অধিক উপলব্ধি করতে পারে। এজন্য মহান আল্লাহ পবিত
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষের কল্যাণেই পৃথিবীর অন্য সবকিছু সৃষ্টি করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৯)। সেই সাথে মানব দেহের জন্য যা উপকারী তা হালাল করা হয়েছে এবং যা ক্ষতিকর তা হারাম করা হয়েছে।ঘোড়ার মাধ্যমে যেম
শুরুর কথা : বহুল প্রচলিত একটি দৈনিকের ‘তারুণ্য জরিপ-২০১৯’ অনুযায়ী এ দেশের ৩৭.৩ শতাংশ তরুণ দিনে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেন। ১১.২ শতাংশ দিনে দুই এক ওয়াক্ত পড়েন। শুধু শুক্রবারে জুম‘আর ছালাত আদায় করেন এমন তরুণের সংখ্যা ২১.৫ শতাংশ। সাক্ষাৎকার পর্বে প্রতি
ভূমিকা :ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত তার অন্যতম হ’ল যাকাত। ওশর হ’ল ফসলের যাকাত। ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ প্রভৃতি ইবাদতের মতই ওশর ফরয ইবাদত। আমাদের দেশের মুসলমানগণ যাকাতের সাথে কিছুটা পরিচিত হ’লেও ওশরের সাথে তেমন পরিচিত নয়। তাছাড়া ওশর যে ফরয ইবাদ
ভূমিকা :পাপ তথা আল্লাহর নাফরমানী মানব জীবনের নানা দিক ও বিভাগে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পাপের ফলে বান্দা দুনিয়াবী জীবনে নানা অকল্যাণ ও অনিষ্টের সম্মুখীন হয়। তদ্রূপ আখিরাতেও পাপী ব্যক্তিকে বিভিন্ন স্তরে শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। সুতরাং পাপের অশুভ পর
ভূমিকা : আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই, যারা ঈমানদার। আর প্রকৃত ঈমানদার তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অন্য সবকিছু থেকে বেশী ভালবাসে। ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি, এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও রাসূল (ছাঃ)-কে অধিক ভালবাসে। তবে তাঁকে ভালবাসার অর্থ ত
ভূমিকা :কুরআন মানব জীবনের সংবিধান। এটা স্রেফ ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। এটা মানুষের জীবনবোধের কথা বলে। আখেরাত ও দুনিয়াবী জীবনের সার্বিক কল্যাণের বার্তা তুলে ধরে। এই কিতাব মুমিন বান্দার হৃদয়ে সৃষ্টি করে ঈমানের বুনিয়াদ। এলাহী দ্যোতনায় তার জীবনকে করে তোলে সুরভিত
৬. দীর্ঘ আশা-আকাঙ্ক্ষা :মানব জীবনে আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকবে। কিন্তু তা যদি মানুষকে ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে অনুপ্রাণিত করে এবং আখেরাত থেকে ভুলিয়ে না রাখে তবে তা নিন্দনীয় নয়। যেমন জমি কর্ষণ করে ফল-ফসল উৎপাদন ও তা ভোগ করা; বিবাহ-শাদী করা, সন্তান জ
দৃষ্টিশক্তি অন্তরের মূল চালিকাশক্তি। দৃষ্টিই হৃদয়ের উপর নযরদারী করে। চোখের মাধ্যমে আমরা যা দেখি, তার নকশা সরাসরি অন্তরে অঙ্কন করি। দর্শনকৃত বস্ত্ত, ব্যক্তি বা ঘটনা অন্তরের ক্যানভাসে জায়গা করে নেয়। এটি যদি নিষিদ্ধ বা হারাম দৃষ্টিপাত দ্বারা হয় তাহলে এর
ভূমিকা :ছাদাক্বা একটি অতুলনীয় ইবাদত। আল্লাহর নৈকট্য হাছিলে এবং তাঁর ক্রোধ প্রশমনে ছাদাক্বার ভূমিকা অনন্য। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বারবার দান-খয়রাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যারা ফরয যাকাত আদায় করে না, তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়
ভূমিকা :শরী‘আহ আইন ও সাধারণ আইন দু’টি ভিন্ন ভিন্ন আইনী পদ্ধতি, যার মধ্যে নীতিগত এবং পদ্ধতিগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। একটি হ’ল আল্লাহ প্রদত্ত আইন, অপরটি মানবরচিত ও আদালতে বিচারিক সিদ্ধান্ত ও পূর্ব উদাহরণের উপর ভিত্তিশীল আইনী ব্যবস্থা। একজন মুসলিমের জন্য
গোনাহে জড়িয়ে পড়ার কারণ সমূহ :শয়তানের কুমন্ত্রণা, প্রবৃত্তি পরায়ণতা ও নফসে আম্মারার ধোঁকা ইত্যাদি কারণে মানুষ গোনাহে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও নানা কারণে মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয়ে থাকে। নিম্নে পাপে জড়িয়ে পড়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হ’ল।-১. প্রবৃত্তির অনুসরণ :মান
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪পর্ব ৫পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
পূর্ব ১ ।(১৬) অনুধাবন করে কুরআন তেলাওয়াত করা :সার্বিক জীবনে রহমত ও বরকত লাভ করার এবং হেদায়াতের তাওফীক্ব লাভ করার প্রধান মাধ্যমে হ’ল পবিত্র কুরআন। কুরআন হ’ল মানবজীবনের সংবিধান। কুরআনকে যত মযবূতভাবে ধারণ করা হবে, হেদায়াত ও নাজাতের পথ ততই নিষ্কণ্টক ও মস
রাসূল (ছাঃ)-কে আল্লাহ রাববুল আলামীন মানবজাতির জন্য ‘উসওয়াহ হাসানাহ’ বা সর্বোত্তম আদর্শ হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন (আহযাব ৩৩/২১)। মানবজীবনের এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই যে সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায় না। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে র
উপস্থাপনা : পাপ ও সীমালংঘনের মাধ্যমে নফসের উপর যুলুম হয়ে থাকে। আল্লাহর বিধানের অবজ্ঞা ও রাসূল (ছাঃ)-এর আদেশ-নিষেধ অমান্য করার মাধ্যমে তথা আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখাকে অতিক্রম করার মাধ্যমে যুলুম হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন,وَمَنْ يَّتَعَدَّ حُدُوْدَ اللهِ فَ
ভূমিকা :আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। পার্থিব জীবনে আল্লাহর নির্দেশ পালনের মাধ্যমে বান্দা তাঁর অনুগত থাকবে, এটাই তার কর্তব্য। কিন্তু মানুষ যখন আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে, তাঁর অবাধ্য হয় তখন সে হয় পাপী, গোনাহগার। আর তার পাপের কারণ
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)(১০) আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা :নিকটাত্মীয়তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে যাবতীয় কল্যাণের তাওফীক্ব অর্জিত হয়। একজন মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হ’ল তার পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, খালা-ফুফু, চাচা-মামা প্র
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাদের আযাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং ক্ষমা প্রার্থীদের অঢেল নেকী প্রদান করতে ক্ষমার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন। পেন্সিলের ভুল লেখা মুছে ফেলার জন্য যেমন রাবার ব্যবহার করা হয় তেমনই বান্দার ভুলগুলো আমলনামা থেকে মুছে ফেলার জন্য
ইমাম চতুষ্ঠয়ের পরবর্তী যুগেও অনেক বিদ্বানের মধ্যে হাদীছ গ্রহণে কখনও সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। এর বিবিধ কারণ রয়েছে। তবে প্রধানত ৩টি কারণ চিহ্নিত করা যায়।[1] যথা-খবর ওয়াহিদ সম্পর্কে দুর্বল ধারণা :মু‘তাযিলা সম্প্রদায়ের গৃহীত যুক্তিবাদী নীতিতে অনেক মুসলিম বিদ
ভূমিকা :অলসতা ও উদাসীনতা এমন মারাত্মক রোগ যা মানুষকে আখেরাতে মুক্তির পাথেয় সৎ আমল তথা ইবাদত থেকে পিছিয়ে দেয়। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানকে অলসতা দূর করতে সচেষ্ট হওয়া কর্তব্য। সিমাক আল-হানাফী (রহঃ) বলেন, سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَكْرَهُ أَنْ يَقُولَ : إنِّ
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব দুনিয়া সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ওহীর বার্তাসহ প্রেরণ করেছেন। তিনি আসমানী জ্ঞানের বাইরে কোনকিছুই ব
(১) (ক) ৮ই যিলহজ্জ মক্কায় স্বীয় অবস্থানস্থল থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় গমন ও সেখানে দুপুরের পূর্বে অবস্থান। (খ) ৯ই যিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফা গমন ও সেখানে মাগরিব পর্যন্ত অবস্থান। (গ) মাগরিবের পর মুযদালেফা গমন ও সেখানে রাত্রিযাপন। অতঃপর ১০ই যিল
ভূমিকা :তাওফীক্ব হচ্ছে বান্দার জন্য এক ধরনের গায়েবী সাহায্য, যা সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়। তাওফীক্বের মাধ্যমে বান্দা বিবিধ কল্যাণকর কাজের সক্ষমতা অর্জন করে। দ্বীনের পথে ও আল্লাহর অনুগত্যে অবিচল থাকার জন্য তাওফীক্বের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এ
কোন হাদীছ মুহাদ্দিছদের শর্তসাপেক্ষে ছহীহ প্রমাণিত হ’লে তা আমলযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে সকল যুগের মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ এবং উছূলবিদগণ একমত পোষণ করেছেন। কেননা হাদীছ যদি কুরআনের মত আল্লাহর পক্ষ থেকে অহী হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই তা সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হ’তে হবে এব
ভূমিকা : ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ্জ হচ্ছে দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত। যার মাধ্যমে মুমিন যেমন পার্থিব জীবনে কল্যাণ লাভে সক্ষম হয়, তেমনি পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভ করে ধন্য হয়। মানুষের মাঝে পরকালীন চিন্তা প্রবল হয়, হাশরের পূর্বেই একই পোষাক পরে একই উদ্দেশ
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্বো
ভূমিকা :তাওফীক্ব যাবতীয় কল্যাণের উৎস। দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হওয়ার মূল চালিকা শক্তি। তাওফীক্ব ছাড়া বান্দা নেক আমলে আত্মনিয়োগ করতে পারে না। আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কাজের জন্য সক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। ঈমানের পথে অবিচল থাকতে পারে না। অপরদিকে তাওফীক্ব থেক
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৫। পর্ব ৬।হিজরী ৩য় শতক পরবর্তী হাদীছ সংকলনসমূহ :হিজরী ৩য় শতকের পরও যথারীতি হাদীছ সংকলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। তবে পরবর্তী যুগের বিদ্বানগণ মূলতঃ বুখারী, মুসলিম এবং চারটি সুনান গ্রন্থের সংক্ষেপায়ন,
পর্ব ২ । । । পর্ব ৫।ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-এর মা‘আমার বয়স যখন দশ তখন আমার মা আমাকে কুরআনের হাফেয করে গড়ে তোলেন। ফজর ছালাতের আগেই তিনি আমাকে জাগিয়ে দিতেন। বাগদাদের শীতের রাতগুলোতে তিনি আমার জন্য পানি গরম
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। এই অমোঘ সত্যকে লঙ্ঘন করার ক্ষমতা মানুষের নেই। ধনী-গরীব, রাজা-বাদশাহ, ছোট-বড় সবার জীবনেই মৃত্যু যেকোন মুহূর্তে চলে আসতে পারে। তার ভয়ংকর থাবায় মিটে যাবে জীবনের স্বাদ। দপ করে নিভে যাবে মানুষের প্রাণ প্রদীপ। নশ্
বলা হয় স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর স্বাস্থ্য গঠনে পানি হ’ল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পানি এমন একটি উপাদান যা ব্যতীত জীবন ধারণ অসম্ভব। মানুষের শরীরের ৬০-৭৫ ভাগ অংশ পানি দ্বারা গঠিত। আল্লাহ বলেন, أَلَمْ نَخْلُقْكُمْ مِنْ مَاءٍ مَهِينٍ ‘আমরা কি তোমাদ
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ এ
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়। ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুল্লাহ (ছ
ভূমিকা : রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রামাযান। এ মাসে মুমিন-মুত্তাক্বী নেকীর ডালি ভরে নেয় এবং পাপ- পঙ্কিলতা হ’তে মুক্ত হয়। মুমিন জীবনে এ মাস এক অনন্য সুযোগ, যাতে সে ছিয়াম, ক্বিয়াম, ছালাত, যিকির-আযকার, তাসবীহ-তেলাওয়াত, দান-ছাদাক্বা ইত্যাদির মাধ্যমে দি
১১. ইলম অর্জন করা :পবিত্র কুরআনে সর্বপ্রথম জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইলম অর্জনের গুরুত্ব সর্বাধিক, কেননা ইলম ছাড়া আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে চেনা যায় না, শরী‘আত উপলব্ধি করা যায় না এবং কোন ইবাদত সঠিকভবে সম্পাদন করা যায় না। ইলম বাহ্যিকভাবে ও প্রাতি
পর্ব ২ । । পর্ব ৪।ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মাইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মায়ের নাম ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ। ফাতেমার পিতা ইয়ামনের বনু আযদ গোত্রের লোক ছিলেন। কেউ কেউ তার নাম ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন বিন হাসান বিন আলী বিন আবু
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৫
ভূমিকা :পৃথিবীর মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এসে মানুষকে হেদায়াতের পথে পরিচালনার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সবাই হেদায়াত লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি। নানা কারণে হেদায়াতের আলোকিত রাজপথে চলা তাদের প
ভূমিকা :গোপন ইবাদত খাঁটি ঈমানের পরিচায়ক। যিনি গোপন আমলে অভ্যস্ত, তিনি আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে অন্যদের তুলনায় অধিক হেফাযতে থাকেন। তাছাড়া রিয়া থেকে মুক্ত থাকার একটি বড় মাধ্যম হ’ল গোপন আমল। এজন্য সালাফগণ সর্বদা নিজের সৎ আমল সবার কাছ থেকে আড়াল করার চেষ্টা
পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।ইমাম মালেক বিন আনাস (রহঃ)-এর মাইমাম মালেক বিন আনাস (রহঃ)-এর মায়ের নাম আলেয়া বিনতে শুরাইক। তার পিতার নাম শুরাইক বিন আব্দুর রহমান বিন শুরাইক। তিনি বনু আযদ গোত্রের মানুষ ছিলেন।ইলমের ওযন বুঝা, আলেমদের মর্যাদা অনু
আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করে কিছু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন (আহযাব ৩৩/৭২)। এ দায়িত্বের কারণেই মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। মানুষের উপর অর্পিত দায়িত্বকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ১. হাক্কুল্লাহ তথা আল্লাহর হক। ২. হাক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক। পৃথিবীতে প্র
বর্তমানে মুসলিম সমাজে একটি মতবিরোধপূর্ণ বিষয হ’ল- আমাদের পরিচয় কি শুধুই মুসলিম? মুসলমানদের অন্য কোন বৈশিষ্ট্যগত নাম থাকতে পারে কি? নাকি সর্বক্ষেত্রেই আমরা ‘মুসলিম’ পরিচয় দিতে বাধ্য? আল্লাহ রাববুল আলামীন ও রাসলুল্লাহ (ছাঃ) কি মুসলমানদেরকে সর্বক্ষেত্রে
প্রতিটি পরিবারের সৌন্দর্য হ’ল আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত চক্ষুশীতলকারী বিশেষ নে‘মত সন্তান-সন্ততি। শিশুরা ফুলবাগানে ফুটন্ত ফুলের মত পরিবার নামক বাগানের শোভা বর্ধন করে। শিশু শব্দটি শুনলেই হৃদয়ে জেগে উঠে মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালবাসায় জড়ানো অদৃশ্য এক বন্ধনের অনুভ
ভূমিকা :মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। পার্থিব জীবনে আল্লাহর দাসত্ব করাই মানবজীবনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটাই দুনিয়া-আখেরাতে মুক্তি ও শান্তি লাভের অনন্য উপায়। বান্দা যখন আল্লাহর নৈকট্য লাভে সমর্থ হয়, তখন তার নাজাতের পথ
দ্বীন সম্পর্কে বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ হ’লেন আলেম। যারা দ্বীনের সংরক্ষণ, দ্বীনী ইলম বিতরণ ও প্রচার-প্রসারের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। ফলে ইহকালে যেমন তারা নন্দিত ও বরিত হন, তেমনি পরকালে জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যমে সম্মানিত ও সফলতা লাভে ধন্য হবেন। কুরআন-
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।শহীদ জননী খানসা (রাঃ)শহীদ জননী খানসা (রাঃ)-এর আসল নাম তামাযুর। খানসা ছিল তার উপাধি। তার পিতার নাম আমর বিন শুরাইদ। নজদ বা বর্তমান আরবের মধ্য অঞ্চলে বনু সুলাইম গোত্রে ৫৭৫ খৃষ্টাব্দে তিনি জন্ম
ভূমিকা : মানবতার হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন। যাতে মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে পরকালে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত না হয়। সেই সাথে দিশারী হিসাবে বিভিন্ন সময় ইলাহী গ্রন্থ এসেছে মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য। মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত ও রা
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
ভূমিকা :পার্থিব জীবনে বান্দার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হ’ল আল্লাহর ইবাদত করা। দুনিয়ার সকল কাজের উপরে ইবাদতকে অগ্রাধিকার দেওয়া ঈমানের অপরিহার্য দাবী। ইবাদতকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য এতে আত্মিক ও দৈহিকভাবে নিবিষ্ট হওয়ার বিকল্প নেই। সেজন্য মহান আল্লাহ পবি
ইলমের যেমন গুরুত্ব ও ফযীলত রয়েছে তেমনি ইলম অন্বেষণ ও ইলম শিক্ষা দানেরও বিশেষ গুরুত্ব ও ফযীলত রয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি নিমেণ উল্লেখ করা হ’ল-(১) নবী-রাসূলগণকে প্রেরণের অন্যতম উদ্দেশ্য শিক্ষাদান : আদম (আঃ) থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত ৩১৫ জন রাসূ
আল-কুদস, মাসজিদুল আক্বছা বা বায়তুল মাক্বদিস মুসলমানদের নিকট অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র স্থান। বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়স্পন্দন। এ পবিত্র ভূমি সকল মুসলমানের নিজস্ব সম্পদ। রাষ্ট্রীয় নিদারুণ অর্থকষ্টে ভোগা তুর্কী সালতানাতের শেষ দিকে খলীফা দ্বিতীয় আব্দুল হা
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ধৈর্যশীলা মুজাহিদ উম্মু আম্মারা (রাঃ)ধৈর্যশীলা মুজাহিদ উম্মু আম্মারা (রাঃ) একজন নামকরা মহিলা ছাহাবী। তার নাম নুসাইবা আনছারিয়া। পিতার নাম কা‘ব বিন আমর। স্বামীর নাম যায়েদ বিন আছেম আনছারী।ইমাম যাহাবী সিয়ারু আ‘লামিননুবালা
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
গীবত একটি ভয়াবহ কবীরা গুনাহ। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য গীবত বা পরিন্দা হারাম করেছেন। কারণ গীবতের মাধ্যমে অপর ভাইয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। তবে কতিপয় ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়। ইমাম হায়তামী (রহঃ) বলেন, নিরুপায় হয়ে গেলে বেঁচে থাকার তাকীদে যেমন সাময়িকভা
মহান আল্লাহ মানুষকে জ্ঞানহীন অবস্থায় মায়ের পেট থেকে বের করেছেন (নাহল ১৬/৭৮)। অতঃপর তাকে অল্প ইল্ম দান করা হয়েছে’ (ইসরা ১৭/৮৫)। মানুষের জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম। দুনিয়াতে অনেক ইলম রয়েছে, যা সবার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। তবে দ্বীনি ইল
যুবায়ের বিন আওয়াম (রাঃ)-এর মাযুবায়ের বিন আওয়াম (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আপন ফুফাত ভাই। তার মায়ের নাম ছাফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)। এই মহিয়সী রমণী বংশ পরিচয়ে চারিদিক থেকে শরাফত ও আভিজাত্যের অধিকারী ছিলেন। তার মায়ের নাম হালা বিনতে ওয়াহ্হ
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
গীবত দুরারোগ্য ব্যাধির ন্যায়। গীবতের রোগ মরণ ব্যাধি ক্যান্সার অপেক্ষাও ভয়াবহ। ক্যান্সার মানুষের শরীর নিঃশে^ষ করে দেয়, আর গীবত কর্মফল ধ্বংস করে দেয়। দুনিয়াতে তাকে অপদস্থ করে এবং পরকালে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। অথচ আমরা নিত্যদিন গীবত করার মাধ্যমে আমাদের
ভূমিকা :যুগে যুগে পৃথিবীতে বহু মহা মনীষীর আগমন ঘটেছে, যারা দুনিয়াতে অমরকীর্তি রেখে গেছেন। তাদের জীবনগঠন ও শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে তাদের মায়েদের ভূমিকা ছিল অনন্য। আমরা জানি যে, পিতা-মাতার আদর-যত্ন, লালন-পালন ছাড়া কোন সন্তান বড় হ’তে পারে না। প্রতিপালনে
ভূমিকা : আল্লাহর নিকট বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের যত মাধ্যম রয়েছে তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হ’ল ছালাত। ক্বিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার ছালাতের। ছালাতের হিসাব সঠিক হ’লে তার সমস্ত আমল সঠিক হবে। আর ছালাতের হিসাব বাতি
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলাপী বিত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে গীবতের কুপ্রভাবগীবত এমন এক মহাপাপ, যা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং এর কুপ্রভাব ব্যক্তি ও পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সমাজিক জীবনে অশান্তির অন্যতম
ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে ‘ঈমান’। প্রত্যেক নবী-রাসূলের প্রথম দাওয়াত ছিল ঈমানের দাওয়াত। ঈমান ব্যতীত বান্দার কোন আমল আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। ঈমানের উপর নির্ভর করেই বান্দার জান্নাত-জাহান্নাম ও পরকালীন মুক্তি। আলোচ্য প্রবন্ধে ঈমানের সংক্ষিপ্ত পরিচ
সংঘাতপূর্ণ দুনিয়ায় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলতে যেসব গুণাবলী মানুষকে সর্বাধিক চর্চা ও লালন করতে হয় তন্মধ্যে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা অন্যতম। কেননা প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু না কিছু ভুল-ত্রুটি বিদ্যমান। এমতাবস্থায় একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু হ’ল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।৪. যোগ্য মানুষ তৈরি করে যাওয়া :যোগ্য মানুষ তৈরী করে গেলে জীবদ্দশায় দুনিয়াতেই তার ফায়েদা মেলে। একইভাবে মৃত্যুর পরেও ছওয়াব মিলবে। সুতরাং হে পাঠক! আপনার চেয়েও ভালো ও যোগ্য মানুষ তৈরী করা যেন আপনার রাত-দ
উপস্থাপনা : মৃত্যু অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)। তিনি আরো বলেন, ‘কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং জানে না কোন্ মাটিতে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সকল বিষয়ে
ভূমিকা : শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে যেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য মানব সমাজে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে, তন্মধ্যে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা অন্যতম। কেননা ভুল-ত্রুটি ও ভালো-মন্দের মিশ্রণেই মানুষের জীবন। সামান্য ভুলের জন্য কারো প্রতি ভীষণ রাগ ও ক্রোধ দেখানো এবং উত্তে
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।গীবতের পরিণাম ও ভয়াবহতাগীবত বা পরনিন্দা একটি সর্বনাশা মহাপাপ। এই পাপের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার নষ্ট হয়। কারণ পরনিন্দার মাধ্যমে অন্যের সম্মান হানি করা হয় এবং তার মর্যাদার ওপর চরমভাবে আঘাত করা হয়, যা আল্লাহ প্রত্যেক মুসল
হজ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যার মাধ্যমে বান্দা নিষ্পাপ হয়ে যায় এবং কবুল হজ্জ সম্পাদনের মাধ্যমে বান্দার জন্য পরকালীন জীবনে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। কিন্তু হজ্জ সমাপনের পরে হজ্জ পালনকারীর জন্য করণীয় কি হবে, এ বিষয়েই আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা করা হ’ল।-১.
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৫
বর্তমানে প্রায়শঃ যত্রতত্র বজ্রপাতে জীবনহানির ঘটনা ঘটছে। আকাশে বিজলী চমকালেই প্রাণনাশের ভয়ে মানুষ অত্যন্ত বিচলিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটাছুটি করছে। এটা যে শুধু মানুষের উপরই পড়ছে তা নয়, গরু, মহিষ, গাছপালা প্রভৃতির উপর পতিত হয়ে ঝলশে দিচ্ছে। অতীতে বি
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ওলামায়ে কেরামের অভিমত :ওলামায়ে কেরাম ছালাত পরিত্যাগকারীর বিধানের ব্যাপারে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছেন। অধিকাংশ বিদ্বান ছালাত পরিত্যাগকারীকে ফাসিক, কবীরা গুনাহগার বা জাহান্নামী বলেছেন। তবে তারা এটাও মনে করেন যে, সে ইসলাম থেকে
গীবত অতীব ভয়ংকর গুনাহ। কিন্তু দুই ধরনের গীবত আরো বেশী ভয়াবহ। তন্মধ্যে একটি হ’ল আলেম-ওলামার গীবত এবং অপরটি হ’ল মৃত মানুষের গীবত। ১. আলেমদের গীবত করা : আলেমদের গীবত দুই রকমের। (১) সাধারণ মানুষ কর্তৃক আলেমদের নিন্দা বা গীবত করা এবং (২) আলেম কর্তৃক অপর
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় এবং তাঁর মৃত্যুর পর ছাহাবীদের লিখিত সংকলন সমূহ:রাসূল (ছাঃ) থেকে যেমন হাদীছ লিখিত সংরক্ষণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ও অনুমতি উভয় প্রকার হাদীছ পরিলক্ষিত হয়, তেমনি তা ছাহাবীদের মধ্যেও পরিলক্ষিত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা ১০. ছাদাক্বা ও দরিদ্র-অভাবীদের জন্য অর্থ ব্যয়ে মহা পুরস্কার ও চক্রবৃদ্ধি হারে ছওয়াব লাভ : আল্লাহ তা‘আলা ছাদাক্বাক
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে তাওহীদ, পরকাল, জান্নাত এবং জাহান্নাম সম্পর্কে যে সকল আয়াত নাযিল করেছেন তাতে আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ব প্রকাশ করার পাশাপাশি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রদান করেছেন,
ভূমিকা :গীবত একটি ভয়াবহ পাপ। সমাজে যেসব পাপের প্রচলন সবচেয়ে বেশী তন্মধ্যে গীবত অন্যতম। এই পাপটি নীরব ঘাতকের মতো। বান্দার অজান্তেই এটা তার নেকীর ভান্ডার নিঃশেষ করে দেয় এবং তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে ছাড়ে। এটি চুরি-ডাকাতি, সূদ-ঘুষ, যিনা-ব্যভিচা
দো‘আ একটি ইবাদত। আর যে কোন ইবাদতের জন্য শরঈ দলীল অপরিহার্য। দলীল না থাকলে ইবাদত হিসাবে প্রচলিত কোন আমল বিদ‘আতে পরিণত হয়, যা চুড়ান্তভাবে বর্জনীয়। বিদ‘আত এমন এক মারাত্মক ব্যাধি যার কারণে ঈমানদারদের সৎ আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে ঈমান আনার পরও জাহান্নাম
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।লিখিতভাবে সংরক্ষণের ধাপসমূহ :(১) অনানুষ্ঠানিক লেখনী :ছাহাবীগণ রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনকালেই হাদীছ লিপিবদ্ধ করতেন। তবে সেটা ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে করেছিলেন না রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে করেছিলেন, তা নির্ণয় করা মুশকিল।[1] সাধারণভ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা৯. মানুষের অভাব মিটানো, তাদের কাজ করে দেওয়া এবং তাদের বিপদাপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া :মানবসেবা ও দুর্বল-অসহায়দের সহযোগিতা করা ব্যক্তিবিশেষ
(১) (ক) ৮ই যিলহজ্জ মক্কায় স্বীয় অবস্থানস্থল থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় গমন ও সেখানে দুপুরের পূর্বে অবস্থান। (খ) ৯ই যিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফা গমন ও সেখানে মাগরিব পর্যন্ত অবস্থান। (গ) মাগরিবের পর মুযদালেফা গমন ও সেখানে রাত্রিযাপন। অতঃপর ১০ই যিল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।ইতিপূর্বে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ, সাত আসমান এবং পৃথিবীর সাত স্তর সম্পর্কে কুরআনের নিদর্শন এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণায় কি আছে তা আলোচনা করা হয়েছে। এ আলোচ্য নিবন্ধে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব তা হ’ল আল্লাহ
পর্ব ১ ।ছালাত ত্যাগকারীর ব্যাপারে ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণের অবস্থানইসলামে ছালাত পরিত্যাগকারীর কোন অবস্থাননেই: যে সকল আমলের মাধ্যমে মানুষের ঈমান টিকে থাকে তার মধ্যে সর্বাধিক বড় মাধ্যম হ’ল ছালাত। কেউ ছালাত ত্যাগ করলে ইসলামে কোন অংশ থাকবে না বলে ছাহাবা
পর্ব ১। পর্ব ২।(গ) লেখনীর মাধ্যমে সংরক্ষণ :পবিত্র কুরআনের সাথে হাদীছ সংকলন ও সংরক্ষণ প্রচেষ্টাও একই সাথে শুরু হয়েছিল। তবে রাসূল (ছা.) প্রথম পর্যায়ে কুরআনের মত হাদীছ লিপিবদ্ধ করতে নিষেধ করেছিলেন। যেমন আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছা.)
আল্লাহর কাছে বান্দার হৃদয়ের আকুতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দো‘আ। অন্যান্য ইবাদতের ন্যায় দো‘আও একটি ইবাদত। আল্লাহর নিকট বান্দার দো‘আর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রাসূল (ছাঃ) দো‘আকে শ্রেষ্ঠ ইবাদত বলে আখ্যায়িত করেছেন।[1] দো‘আর বদৌলতে আগত বিপদ থেকে পরিত্রাণ
ভূমিকা :মহান আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের মাস রামাযান। বছর ঘুরে মুমিনের জীবনে এ মাসের আগমন ঘটে তাক্বওয়া অর্জনের অনন্য সুযোগ হিসাবে। মুমিন ব্যক্তি তার রুগ্ন হৃদয়কে মাগফেরাত ও রহমতের স্বচ্ছ সলিলে পরিষ্কার করে নেয়। নেক আমলের পসরা দিয়ে ভরে নেয় আমলনামা। ছিয়াম,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।মুসলিমদের পাহারা নিয়ে আববাদ বিন বিশর (রাঃ)-এর কাহিনী :আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে নাজদের দিকে যুদ্ধযাত্রা করেছিলাম।* আমরা মুশরিকদের বাড়ি-ঘর থেকে একটি বাড়ি
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ এ
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্ব
ভূমিকা : পবিত্র কুরআন একটি চিরন্তন, শাশ্বত, মহাগ্রন্থ ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। এটি মহাসত্যের সন্ধানদাতা, সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক ইলাহী কিতাব। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য জ্ঞান ও হেদায়াত লাভের উৎসমূল। রাসূল (ছাঃ) বলেন,عَلَي
পুলছিরাতে কাফের-মুশরিকদের অবস্থা :ক্বিয়ামতের দিন কাফের ও মুশরিকরা পুলছিরাতে ওঠার আগেই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। কারণ পুলছিরাত অতিক্রমের বিষয়টি কেবল তাদের জন্যই প্রযোজ্য হবে যারা মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। যেমন আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল
পর্ব ১।(খ) মুখস্থকরণের মাধ্যমে সংরক্ষণ :পবিত্র কুরআনের মত হাদীছও আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত হওয়ার পূর্বে প্রথমত সংরক্ষিত হয়েছিল মুখস্থকরণের মাধ্যমে। প্রাথমিক যুগে মুখস্থকরণই ছিল হাদীছ সংরক্ষণের প্রধান মাধ্যম। ছাহাবীগণ কুরআনের মত হাদীছকেও সমগুরুত্বের সাথে ম
ভূমিকা :ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ’ল ছালাত। সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণকে হৃদয়ে জাগ্রত রাখার প্রক্রিয়া হিসাবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। ছালাত এমন একটি ইবাদত, কালেমায়ে শাহাদতের পরেই যার স্থান। কেউ মুসলম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা১. আল্লাহর দিকে দাওয়াত :অন্যদের জন্য উপকারী যত আমল আছে তন্মধ্যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দান সর্বোত্তম। আসলে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহবান জানানো এবং দ্বীনের চিন্তা-ভাবনা মনে লালন
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়।ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুললাহ (ছাঃ) এরশাদ ক
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সাত আসমান এবং অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবীআল্লাহ রাববুল আলামীন পৃথিবীকে বিচিত্র ধারায় সৃষ্টি করেছেন। সাত আসমানের মত পৃথিবীরও যে সাতটি স্তর রয়েছে, তা বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে পেশ করা হ’ল।-পৃথিবীর সাত স্তরআল্লাহ বলেন,اللهُ الَّذِي خَ
রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসায় ছাহাবায়ে কেরামের অনন্য দৃষ্টান্ত(১) হিজরতের সময়কার ঘটনা : মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের প্রাক্কালে আবুবকর (রাঃ) সঙ্গী হওয়ার আবেদন করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لاَ تَعْجَلْ، لَعَلَّ اللهَ يَجْعَلُ لَكَ صَاحِبًا- ‘ব্যস্ত হয়ো না। অবশ্
ভূমিকা :পুলছিরাত হ’ল জাহান্নামের উপরে নির্মিত সেতু। পরকালের অন্যতম একটি ভয়ঙ্কর জায়গা এই পুলছিরাত। এটা অতিক্রম না করে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। মুমিনগণ তাদের আমল ও ঈমানের নূর অনুযায়ী পুলছিরাত পার হয়ে জান্নাতে চলে যাবেন। কিন্তু পাপী ও মুনাফিকর
ভূমিকা :রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শনকারী হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন। প্রতিটি কথা ও কাজের মাধ্যমে তিনি ছাহাবীদেরকে দ্বীনী ও দুনিয়াবী জীবনে চলার পথ দেখিয়ে দিতেন। তিনি ছিলেন একাধারে কুরআনের ব্যাখ্যাকার, ইমাম, শিক্ষক, বিচারক ও সেন
অন্যদের মাঝে সঞ্চারণশীল কল্যাণের প্রতিদান কিভাবে শ্রেষ্ঠ(১) ঈমান : আল্লাহ তা‘আলা যা কিছুর উপর ঈমান রাখতে আদেশ দিয়েছেন সে সকল কিছু সত্য বলে অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা সে অনুযায়ী আমল করার নাম ঈমান।(২) আমলে ছালেহ : আমলে ছালেহ-এর মধ্যে সব র
বাংলা বানান রীতি নিয়ে দীর্ঘকাল যাবৎ গবেষকদের গবেষণা চলমান রয়েছে। আমাদের সামনে ১৯৪৯ সাল থেকে গঠিত বিভিন্ন ‘বানান সংস্কার কমিটি’র নমুনা সমূহ রয়েছে। প্রত্যেক কমিটি স্ব স্ব চিন্তা ও রুচি মোতাবেক আরবী-ফার্সী-উর্দূ শব্দাবলীকে বাংলায় সমন্বয় করার যথাসাধ্য চে
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফার্সী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভাগ্য রজনী’ হিসাবেই
মহাবিশ্ব নিয়ে মানুষের গবেষণা খুবই প্রাচীন। এক সময় মানুষ ধারণা করত যে, মহাবিশ্বের মোট আয়তন স্থির। উপরের দিকে তাকালে যতটুকু দেখা যাচ্ছে ততটুকুই আকাশের সীমা। মহাবিশ্বের প্রকৃতি উদ্ঘাটন নিয়ে চলছে গবেষণা। আর আল্লাহ তা‘আলা তার নবী (ছাঃ)-এর উপর নাযিল করেছেন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।চিন্তার ইবাদতের নমুনাচিন্তা-ভাবনা মানব মস্তিষ্কের এক অপরিহার্য ক্রিয়া। মানুষ যখন এই চিন্তাকে স্বীয় স্রষ্টা, পালনকর্তা ও প্রতিপালকের অভিমুখী করে, তখন সেই চিন্তা-ভ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে বাঁচানোর উপায়স্বামী-স্ত্রী যে কেউ পরকীয়ায় জড়িত হ’তে পারে। পরিবারের কর্তা হিসাবে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করা যায়। এক্ষেত্রে স্বামী ন
(৫) আম ও খাছের মাধ্যমে ব্যাখ্যা প্রদান :হাদীছ দ্বারা যেমন কুরআনের আহকাম মানসূখ হ’তে পারে, তেমনি হাদীছ দ্বারা কুরআনের কোন আম হুকুমকে খাছ বা খাছ হুকুমকে আম করা যায়। এ বিষয়ে চার ইমামসহ জমহূর ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন।[1] যেমনভাবে ইমাম শাফেঈ তাঁর
ভূমিকা : পৃথিবীর সবকিছুর চাইতে এমনকি নিজের, নিজ পরিবারের ও সন্তান-সন্ততির চাইতেও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সর্বাধিক ভালবাসা প্রত্যেক মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য। আর রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসার দাবী হ’ল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল প্রদত্ত সকল বাণী ও বিধানকে মেনে নেওয়
পারিবারিক অপরাধ দমনে ইসলামের নির্দেশনাইসলাম সকল প্রকারের অন্যায় ও অপরাধকে কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশ প্রদান করেছে। পারিবারিক জীবনে সংঘটিত অপরাধ সমূহ দূর করতে হ’লে ইসলামী আইনের শরণাপন্ন হ’তে হবে। এক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীছের নির্দেশনা ও বিধিবিধান পালন ক
ভূমিকা :যেসব আমলের উপকার আমলকারী থেকে অন্য মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হয়, আল্লাহ রাববুল ‘আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ঐ আমলগুলোই অধিক সহায়ক। কারণ এসব আমলের উপকার ও ছওয়াব শুধু আমলকারীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং অন্য মানুষ এমনকি অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।চিন্তার ইবাদতে সক্ষম হওয়ার উপায়১. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চাওয়া :চিন্তার ইবাদতের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হ’ল শয়তানের কুমন্ত্রণা। শয়তান বিভিন্ন ধরনের ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা দি
পর্ব ১। পর্ব ২।পরকীয়া থেকে বাচাঁর উপায় :ইসলাম মানব জাতির পরিপূর্ণ জীবন বিধান। সকল সমস্যার সুন্দর সমাধান রয়েছে ইসলামে। তাই পরিবার বিধ্বংসী পরকীয়া থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ইসলামে রয়েছে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা। নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার
হাদীছ ও কুরআন পরস্পরের পরিপূরক। উভয়টিই ইসলামী শরী‘আতের অপরিহার্য দু’টি অঙ্গ। তবে হাদীছ বা সুন্নাহর মূল পরিচয় হ’ল তা কুরআনুল কারীমের ব্যাখ্যা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে তাঁর নবুঅত ও রিসালাতের জন্য মনোনীত করতঃ তাঁর উপর কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ
পৃথিবীতে তিন ধরনের জ্ঞানের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। যথা- (১) জন্মগত জ্ঞান, (২) অহীর জ্ঞান, (৩) দুনিয়াবী জ্ঞান।(১) জন্মগত জ্ঞান : এই জ্ঞান আললাহ তা‘আলা মানুষের জন্মের সাথে সাথে তার মধ্যে দিয়ে দেন। যেমন- একজন শিশু ব্যথা পেলে বা ক্ষুধা পেলে কান্না করা,
ভূমিকা :পরিবার হ’ল সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথম ধাপ। মানব জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজের অস্তিত্বের জন্য সুষ্ঠু-সুন্দর ও অপরাধমুক্ত পারিবারিক জীবন অপরিহার্য। আজকাল পারিবারিক অপরাধ সংঘটিত হয় না এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্ক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।ইবাদতের উপকারিতা :আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ইবাদত প্রতিপালন ও আল্লাহর আদেশ-নিষেধ তথা হুকুম-আহকাম বাস্তবায়ন করাই মানুষের দায়িত্ব। এ দা
(৩) ইল্ম ও আলেমের উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা : কারণ (ক) দ্বীনী ইল্ম হ’ল নবীদের ইল্ম। তাঁরা কোন দীনার ও দিরহাম রেখে যাননি ইল্ম ব্যতীত’।[1] উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য এটাই বড় মর্যাদা যে, বিংশ শতাব্দীতে এসেও তারা তাদের নবীর ওয়ারিছ হ’তে পারে।(খ) আল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।৫. পশুত্বের বৈশিষ্ট্য থেকে মুক্তি মেলে :মানুষ ও পশুর মাঝে মূল পার্থক্য হ’ল চিন্তাশক্তি। চিন্তা করার ক্ষমতা থাকার কারণে মানুষের মর্যাদা অন্যান্য সকল প্রাণীর উপরে সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সামর্থ্য ও ক্ষমতা
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।10- عَنِ الْمِقْدَامِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ: بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ يَبْدَأُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ، وَإِذَا خَرَجَ مِنْ عِنْدِكِ؟ قَالَتْ: كَانَ يَبْدَأ
মুসলিম উম্মাহ এ বিষয়ে একমত যে, রাসূল (ছাঃ)-এর কথা, কর্ম ও সম্মতি হ’ল ইসলামী শরী‘আতের সকল হুকুম-আহকামের অন্যতম উৎস। বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদীছকে ইসলামী শরী‘আতের মৌলিক উৎস হিসাবে অনুসরণ করা একজন মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।[1] কেননা পবিত্র কুরআনের মত হাদীছও
পর্ব ১।যেনা-ব্যভিচারের পরকালীন শাস্তি : ব্যভিচারী নারী-পুরুষ কবরে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,... ‘আমরা সম্মুখের দিকে অগ্রসর হ’লাম। সেখানে একটি গর্তের নিকটে এসে পৌঁছলাম, যা তন্
আমাদের সমাজ বর্তমানে এত দ্রুত বদলে যাচ্ছে যে, বহমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। সনাতন যৌথ পরিবার ভেঙ্গে গড়ে উঠেছে একক পরিবার, সে একক পরিবারও যেন অর্থোপার্জনের চাপে বিচ্ছিন্ন পরিবারে রূপ নিচ্ছে। আয়-উপার্জনের স্বার্থে হয়তো মাতা-পিতার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।ইবাদতের প্রয়োজনীয়তা :আন্তরিক প্রশান্তি ও নৈতিকতা লাভে ইবাদতের ভূমিকা অপরিসীম। ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। এর মাধ্যমে গোনাহ থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্
শিক্ষক-ছাত্র ও অভিভাবক মিলেই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের ইমারত কথা বলে না। কথা বলেন শিক্ষক। অতএব যোগ্য শিক্ষক ব্যতীত যোগ্য শিক্ষার্থী গড়ে উঠতে পারে না। নরম মাটি যেভাবে কারিগরের হাতে সুন্দর হাড়ি-পাতিলে পরিণত হয়, নরম শিশুগুলি তেমনি সুন্দর ও চরিত্রবান শিক্
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।৫. হালাল-হারাম নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা :যে কোন কাজের শুরুতে ভেবে দেখা উচিত সেই কাজটি ভালো না-কি মন্দ; হালাল না-কি হারাম। ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকুরী থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণের আ
ভূমিকা : ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানব বংশের ধারাবাহিক সংরক্ষণ, মানববংশ বৃদ্ধি, ইসলামের পরিপূর্ণ অনুশীলন ও বৈধভাবে জৈবিক চাহিদা পূরণ ও লজ্জাস্থান হেফাযতের জন্য মহান আল্লাহ পরিবার প্রথা প্রচলন করেছেন। আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহ নিজেই মানব জাতির প
জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবার ব্যাপারে বিদ্বানগণের অভিমত :নির্ভরযোগ্য সকল বিদ্বান জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবা নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বরং তারা মনে করেন, ইমাম মিম্বারে উঠার পূর্বে সাধ্যানুযায়ী নফল ছালাত আদায় করতে থাকবে।হাফেয ইরাকী (রহঃ) জুম‘আর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।ইবাদতের উপরে হারামের প্রভাব :আক্বীদা ছহীহ, তরীকা সঠিক ও যথার্থ ইখলাছ না থাকলে কোন আমল আল্লাহর কাছে কবুল হয় না। এই সাথে আমলকারীর খাদ্য-পানীয় ও পোষাক হালাল না হ’লেও তার কোন আমল বা ইবাদত কবুল হয় ন
পর্ব ১ ।৫. চিন্তা-ভাবনা না করা গাফেল ও মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য :যাদের মাঝে চিন্তা-ভাবনার গুণ নেই, অমানিশার ঘোর আঁধারে আচ্ছন্ন হয় তাদের হৃদয়জগৎ। ফলে তারা আল্লাহর দেওয়া আলো-বাতাস এবং অথৈ নে‘মতে ডুবে থেকেও তাঁর বড়ত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে। মহাবিশ্বের অনাচে-কান
বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষসম্পদ উন্নয়নের আবশ্যকতামানব জীবনে বৃক্ষের গুরুত্ব ও অবদান : জীবজগতের জন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার হ’ল বৃক্ষ। পরিবেশ ও জীবজগতের পরম বন্ধু এই বৃক্ষ। বাস্তবে আমরা দেখি, বৃক্ষ আমাদের ফল-ফসল দেয়, ফুল দেয়, ছায়া দেয় ও কাঠ দেয়। আর বিজ্ঞানের কল
জুম‘আর দিন মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ। এটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের সমাধান করা হয়েছে। এ দিনে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে (দুনিয়ায় পাঠিয়ে) দেয়া
পর্ব ১ । পর্ব ২ । (২) তরীকা সঠিক হওয়া :ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত হ’ল ইবাদত সম্পাদনের পদ্ধতি সঠিক হওয়া তথা আল্লাহ ও তদীয় রাসূল প্রদর্শিত পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া। অন্যথায় ইবাদত কবুল হয় না। আল্লাহ বলেন,قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالً
ভূমিকা : বৃক্ষ ও প্রাণীকুল একে অপরের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণীদের বেঁচে থাকার প্রধান ও মূল উপকরণ হ’ল অক্সিজেন, যা বৃক্ষ থেকেই উৎপন্ন ও নির্গত হয়। প্রত্যেক নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে প্রাণীজগৎ কার্বনডাই অক্সাইড বর্জন করে। এটি এক ধরনের বিষাক্ত পদার্
ভূমিকা :মানুষের দৈহিক ইবাদত তিন ভাগে বিভক্ত। অন্তরের ইবাদত, মৌখিক ইবাদত এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইবাদত। অনেকে ইবাদত বলতে শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মৌখিক ইবাদতকেই বুঝে থাকেন। কিন্তু অন্তরের ইবাদত সম্পর্কে তারা উদাসীন থাকেন। অথচ অন্তরের ইবাদতের উপর ভি
ভূমিকা :যারা বিদ্যার অধিকারী এবং যারা বিদ্যার অধিকারী নয় তারা উভয়ে সমান নয়। যারা বিদ্যার অধিকারী তারা উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। বিদ্যা ও প্রজ্ঞার অধিকারী যারা তারা প্রভূত কল্যাণ লাভ করেন। আমল শুরুর আগে দরকার তৎসম্পর্কিত বিদ্যা। ধর্মীয়, দৈহিক, মানসিক, আর
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
(১)১৭৯৯ সালে ফরাসী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এ বিপ্লবের পেছনে দু’টি সামাজিক উপাদান বড় প্রভাব ফেলেছিল। এর মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফরাসী সমাজ ও রাষ্ট্র এ সময় নীতিহীনতায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। সামাজিক বৈষম্যের কারণে দেশে দারিদ্র্য বেড়ে
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের জন্ম হ’তে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরী‘আত তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দিক নির্দেশনা দিয়েছে। মুমিনের সার্বিক জীবন গড়ে উঠবে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি মানব শিশুর জন্মই
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট অধঃপতনের আরেক মাধ্যম : গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট যে কি সাংঘাতিক, তা আপনি জানেন কি? অনেক গণমাধ্যম তার সকল উপকরণসহ আজ অধঃপতনের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাইয়েরা, কোন কোন গণমাধ্যমের কাজই হ’ল কামনা-বাসনার রগরগে বর
ইবাদতের স্তরসমূহ :ইবাদতের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যথা- ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব। এর মধ্যে কিছু উম্মতের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আর কিছু দলীলের ভিত্তিতে নির্ণীত। এভাবে স্তরের ভিন্নতা শরী‘আত প্রণেতার সম্বোধন, নির্দেশিত বিষয় কাজে বাস্তবায়ন এবং বর্জনীয় বিষয়
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
সাকীনাহ বা প্রশান্তি লাভের মাধ্যম সমূহ :সাকীনাহ হ’ল প্রশান্তি লাভের একটি পবিত্র অনুভূতি, যা মানুষের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়। জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার জন্য সকীনাহর কোন বিকল্প নেই। কেননা টাকা-পয়সা, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি কখনো মানুষকে প্রকৃ
সম্মানিত ভাইয়েরা!অধঃপতনের নানাবিধ কারণ যেমন রয়েছে, তেমনি তার ক্ষেত্র প্রস্ত্ততেরও বহু ব্যবস্থা রয়েছে। তার এমন সব রাস্তা রয়েছে যা গোড়াতেই খুব চাকচিক্যময়। ক্ষীণদৃষ্টির লোকেদের তা দেখে প্রথম চোটেই ধোঁকায় পড়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। যে বা যারা ঐ রাস্তা ধরে চলবে
ভূমিকা :মানব জীবনে ইবাদতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কেননা আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে ইহকালীন জীবন যেমন সুন্দর ও সুচারুরূপে পরিচালিত হয়, পরকালীন জীবন তেমনি মঙ্গলময় হয়। আবার ইবাদত না করলে যেমন আল্লাহর
(১) ‘মীক্বাত’ থেকে ইহরামের পোষাক পরে ‘হজ্জে তামাত্তু’ সম্পাদনকারীগণ ওমরাহর নিয়ত করবেন এবং বলবেন ‘লাববাইক ওমরাতান’, ‘হজ্জে ‘ক্বিরান’ সম্পাদনকারীগণ একই সাথে হজ্জ ও ওমরাহর নিয়ত করবেন এবং বলবেন ‘লাববাইক ওমরাতান ওয়া হাজ্জান’ এবং হজ্জে ‘ইফরাদ’ সম্প
ভূমিকা :জীবনের প্রকৃত সুখ-শান্তির ষোল আনাই নির্ভর করে মানসিক প্রশান্তির ওপর। আত্মিক প্রশান্তি না থাকলে পৃথিবীর কোন কিছুই মানুষকে সুখী করতে পারে না। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি যতই থাকুক, মনের শান্তি না থাকলে সুখ পাওয়া কখনোই সম্ভব হয় না। এসি
পর্ব ১। পর্ব ২। পাঁচ : নবী করীম (ছাঃ)-এর সুন্নাত আঁকড়ে ধরা এবং তার আনুগত্য করা হেদায়াত লাভ এবং ভ্রান্ত ফিরকা ও ভ্রষ্টতা হ’তে দূরে থাকার মাধ্যম :আল্লাহ তা‘আলা বলেন,يَاأَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِمّ
হজ্জ ইসলামের পঞ্চমস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। যা সম্পাদনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য হাছিল, গোনাহ থেকে পরিত্রাণ ও জান্নাত লাভ করা যায়। অনুরূপ ওমরাহও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হজ্জ ও ওমরাহর ক্ষেত্রেও মানুষ নানা
(৪) সামাজিক দায়িত্বশীলতার দক্ষতা (Scoial Responsibily Skill) :সামাজিক দায়িত্বশীলতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ব্যক্তিক এবং সাংস্কৃতিক পার্থক্যকে সম্মান করা। নিজ আচরণের সামাজিক পরিণতি সম্পর্কে সংবেদনশীল হওয়া এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা। সামাজিক সম্প্রীতি, ভ
[মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরী‘আহ ফ্যাকাল্টির উছূলে ফিক্বহ বিভাগের শিক্ষক এবং মসজিদে ক্বোবার ইমাম ও খত্বীব শায়খ সুলায়মান বিন সালীমুল্লাহ আর-রুহাইলী (৫৫) ইসলামের ভিতরে অনুপ্রবেশকারী বাতিল আক্বীদা ও ফিরক্বা সমূহের বিরুদ্ধে সোচ্চার সমসাময়িক সালাফী বি
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।দ্বীনের পথে ত্যাগ স্বীকার করার উপায়১. ঈমান তাযা রাখা :মযবূত ঈমান আল্লাহর পথে ত্যাগ স্বীকারের মূল হাতিয়ার। ঈমান তাযা না থাকলে আল্লাহর পথে যে কোন ধরনের কষ্ট স্বীকারে বান্দা অপারগ হয়ে যায়। ঈমানী দুর্বলতা ব্য
১৪. স্বামী-স্ত্রীর হকের ব্যপারে অজ্ঞতা : সমাজে তালাকের ব্যাপকতার আরেকটি কারণ হ’ল স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক হক সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অবহেলা। আর একে অপরের হক পালন না করার কারণে দু’জনের মাঝে দূরত্ব তৈরী হয়। যার পরিণতি হয় ভয়াবহ। স্বামীর হক সম্পর্কে আল্লাহ বলে
প্রতিষেধক মূলক ঝাড়ফুঁক ও দো‘আ :আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَا لَقِيتُ مِنْ عَقْرَبٍ لَدَغَتْنِى الْبَارِحَةَ قَالَ أَمَا لَوْ قُلْتَ حِيْنَ أَمْسَيْتَ أَعُوْذُ ب
ভূমিকা :শিখন ফলাফল বা ‘লার্নিং আউটকামস’ হচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট জ্ঞান, দক্ষতা বা দক্ষতার বিবরণ, যা শিক্ষার্থীরা একটি শিক্ষা কার্যক্রম যেমন প্রশিক্ষণ সেশন, সেমিনার, কোর্স, প্রোগ্রাম বা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করবে। উপরন্তু, পূর্বে উল্লেখিত প্রতিটি কার্যক্র
দুই : কোন আমলকে সৎ আমল বলা যায় না এবং তা কবুলও হয় না, তাতে আল্লাহর জন্য ইখলাছ এবং রাসূলের সুন্নাতের পূর্ব অনুসরণ ব্যতীত :আল্লাহর কিতাবে দৃষ্টিনিবদ্ধকারী ব্যক্তি এমন অনেক আয়াত পাবেন যেখানে আল্লাহ তা‘আলা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যে, কবুলযোগ্য আমল হ’ল
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।ত্যাগ স্বীকারের পথে বাধা সমূহদ্বীনের পথ মূলতঃ সফলতার পথ। আল্লাহর দেওয়া অভ্রান্ত সত্যের পথ। যে পথের শেষ ঠিকানা জান্নাত। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন নবীর যুগেই এপথ সহজ ছিল না। বরং এ পথে চলতে গিয়ে নবী-রাসূল ও তাঁদের অনুসারীগণ না
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্ব
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আল্ললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়।ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুল্ললাহ (ছাঃ) এরশাদ
সুন্নাতের পরিচয়সুন্নাতের শাব্দিক অর্থ : সুন্নাত (سُّنَّةُ) শব্দটি আরবী, যা سَّنَّ)) থেকে নির্গত। এর অর্থ সীরাত ও চলার পথ, তা ভাল হোক অথবা মন্দ। এর ভিত্তি হ’ল যেমন তারা বলে থাকে, আমি রেত দিয়ে কোন কিছুকে আঘাত করলাম অর্থাৎ সেটিকে তার উপর ঘষা দিয়ে অতিক্র
এই ধরাধামে পা রাখার আগেই মানব শিশুর জন্য তার মায়ের স্তনে না চাইতেই দুধের ব্যবস্থা করেছেন যেই মহান প্রভু ও সকল সৃষ্টির স্রষ্টা, সেই আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যমীনের সকল সৃষ্টিকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করে তাকে আশরাফুল মাখলূক্বাতের আসনে বসিয়ে দিয়েছেন।
জামা‘আতবদ্ধভাবে দাওয়াতের গুরুত্বও ফযীলত :জামা‘আতবদ্ধ দাওয়াত যেমন অধিক কার্যকর, ফলপ্রসু ও প্রভাব বিস্তারকারী তেমনি সংঘবদ্ধ বা জামা‘আতবদ্ধভাবে দা‘ওয়াত প্রদানের বহু উপকারিতা রয়েছে। এ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হ’ল।-১. সম্মিলিত প্রচেষ্টা :জীবনে সমবেত প্র
[ঊনিশ শতকের পূর্বে মুসলমানরা কেন মুদ্রণ প্রযুক্তি গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ করেনি, কেন বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন অনুবাদে মুসলমানরা এত দীর্ঘ সময় নিল, কেন তৎকালে আরবী ও ফারসীর পরিবর্তে বাংলা বা অন্য কোন ভাষাকে আলেমগণ ধর্মপ্রচারের ভাষা হিসাবে গ্রহণ করেননি,
ব্যক্তিগত অপারগতা ও অজ্ঞতা; অপরদিকে সামাজিক অবিচার ও অনাচার- মূলতঃ এ দু’টি কারণ মানুষকে একদিকে যেমন জীবনযুদ্ধে অসহায় ও বিপন্ন করে তোলে, অন্যদিকে সমাজের বিরুদ্ধে করে তোলে বিক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী। আর এখান থেকেই ধীরে ধীরে পুঞ্জিভূত হয় হতাশা আর বেদন
ভূমিকা :সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক আল্লাহর। আমরা তার প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার কাছে ক্ষমা চাই এবং তার কাছে ফিরে যাই। আমাদের মনের অনিষ্টতা বা কুচিন্তা থেকে এবং আমাদের কার্যাবলির কদর্যতা থেকে আমরা আল্লাহর নিকটে সাহায্য চাই। আল্লাহ য
আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহর যমীনে প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াত অপরিহার্য। কারণ দাওয়াত ব্যতীত দ্বীন প্রতিষ্ঠা আদৌ সম্ভব নয়। সমাজ সংস্কারে এবং মানুষের আক্বীদা-আমল সংশোধনে দাওয়াতের কোন বিকল্প নেই। নবী-রাসূলগণ স্বীয় উম্মতকে দ্বীনে হকের দিকে ফিরিয়ে আনতে এবং হকের উপ
ভূমিকা :আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ এলাহী সংবিধান হচ্ছে পবিত্র কুরআন এবং তার ব্যাখ্যা হচ্ছে হাদীছ। বিদায় হজ্জের দিনে বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) সকল প্রকার বিভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য এ দু’টি বস্ত্তকে মজবুতভাবে ধারণ করার
প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী পালিত হয় বিশ্বভালবাসা দিবস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ এ দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে। ‘ভালবাসা দিবস’কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী উন্মাতাল হয়ে উঠে। বাজার ছেয়ে যায় বাহারী উপহারে। পার্ক ও হোটেল- রেস্তোরাঁগুলো
সফলতা মানব জীবনে উত্তরণের একটি অন্যতম হাতিয়ার। ইহলৌকিক জীবনের নানা স্তরে প্রতিষ্ঠা অর্জন করার জন্য আমরা অবিরত সংগ্রাম করি। সংগ্রামী চেতনা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অতুলনীয় সাহায্য করে। দীর্ঘ অধ্যবসায় বা নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে সফলতা লাভ করা য
ত্যাগ স্বীকারের উপকারিতা৪. সম্মান ও মর্যাদা বুলন্দ হয় :পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হ’তে চায়। কিন্তু মর্যাদামন্ডিত কোন মহৎ কর্ম ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দুঃখ-কষ্ট ছাড়া সফল হয় না। পথ দীর্ঘ দেখে পথিক যদি তার যাত্রা বন্ধ রাখে অথবা কিছুদূর গি
তালাক শব্দের অর্থ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বন্ধন মুক্ত হওয়া ইত্যাদি। পরিভাষায় তালাক অর্থ ‘বিবাহের বাঁধন খুলে দেওয়া’ বা বিবাহের শক্ত বন্ধন খুলে দেওয়া। অর্থাৎ স্বামী কর্তৃক তার স্ত্রীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া। জীবনে বিপর্যয় থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে রক্
স্বাস্থ্যবান হওয়ার উপায় :ফলের মধ্যে সর্বাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে খেজুরে। এতে গরম ও আদ্র পদার্থ বিদ্যমান। খেজুর খালি পেটে খেলে কৃমি মরে যায়। আর কৃমি হ’ল সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়। খেজুরের সাথে শসা বা ক্ষিরা খেলে স্বাস্থ্যবান হওয়া যায়। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা ছিদ
পর্ব ২। পর্ব ৩।
মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) ছিলেন উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন, অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুনাযির ও ধর্মতাত্ত্বিক। তাঁর সংগ্রামী জীবনের পরতে পরতে আমাদের জন্য শিক্ষার বার্তা রয়েছে। তিনি ছিলেন উত্তম আচরণের অধিকারী এবং অত্যন্ত বিনয়ী। নিম্নে তা
দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাযার ১৪৭ টি। এর মধ্যে সরকারী বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ’ল ৬৫ হাযার ৯০২টি। এ সমস্ত সরকারী স্কুলের শিক্ষার্থীরা সকলেই সরকারী সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত। এর বিপরীতে বাংলাদেশে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যা মাত্র ১৪ হাযার ৯৮৭টি। যা
ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজনীয়তা কেন?জান্নাতের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এই পথ বড়ই দুর্গম ও কণ্টকাকীর্ণ। এ পথে চলতে গেলে বাধা আসে। কষ্ট পেতে হয়, বিষময় কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হয়। নবী-রাসূল, ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের আলোকিত জীবনের দিকে তাকালে এটা সহজেই উপ
(আগস্ট’২১ সংখ্যার পর)খ. মধু দ্বারা চিকিৎসা :ইতিপূর্বে ডায়রিয়ার চিকিৎসা ও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষণে মধু দ্বারা আর কোন্ কোন্ রোগের চিকিৎসা করা যায়, সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হ’ল।-রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭।শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহঃ)-এর উপর আরোপিত কিছু মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগ পর্যালোচনা[নিম্নের নিবন্ধটি লাহোর থেকে প্রকাশিত ‘বাদবান’ পত্রিকায় মুদ্রিত একটি সাক্ষাৎকারের জওয়াব। যে
পর্ব ১। পর্ব ২। পাঠদান :সাধারণভাবে বললে, শিক্ষকবৃন্দ কখন কিভাবে দরস দিবেন, এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল।[1] কেউ কেউ প্রতিদিন দরস দিতেন। যেমন একজন বিদ্বানের ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, তিনি ত্রিশ বছর যাবৎ একটি দরসও স্থগিত করেননি।[2] একজন
ভূমিকা :ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন বেঁচে থাকে। বিশ্বের দিগ্দিগন্তে ইসলামের অমিয় বাণী পৌঁছিয়ে দেওয়ার পিছনে আল্লাহর ত্যাগী বান্দাদের অবদান অনস্বীকার্য। নবী-রাসূল এবং তাদের সনিষ্ঠ অনুসারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় চিরভাস্বর হয়ে আছে। তারা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬।হযরত মাওলানা মাহমূদ হাসান ছাহেবের নযরবন্দিত্ব এবং তার মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা‘ওলামায়ে দেওবন্দের যে প্রতিনিধি দল ৬ই নভেম্বর ১৯১৭ সালে মীরাটে যুক্তপ্রদেশের লাট বাহাদুরের খেদমতে হাযি
আমাদের বক্তব্য হ’ল, বাহ্যিক ধর্মীয় পরিচয় মুখ্য নয়, মূল হ’ল হৃদয়ের বিশ্বাস। আর সেটার খবর কেবলমাত্র আল্লাহই জানেন। বর্তমানে জন্মগতভাবে, আদমশুমারী অনুযায়ী এবং সামাজিক পরিচিতির কারণে মানবজাতি বিভিন্ন ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত। যেমন মুসলমান, খ্রিষ্টান,
(অক্টোবর’২১ সংখ্যার পর)৭. কুধারণা করা :কোন মানুষের প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা সমীচীন নয়। কেননা এতে মানুষ কষ্ট পায়। বরং মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা কর্তব্য। আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْض
শিক্ষকবৃন্দশিক্ষকদের পরীক্ষা :উদ্বোধনী দরসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হ’ত। কারণ এটা কমবেশি এক রকমের পরীক্ষা ছিল, বিশেষত হাদীছ শাস্ত্রের ক্ষেত্রে। তবে এটা শুধু হাদীছের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বাগদাদের শায়খরা ইমাম বুখারীকে যেভাবে পরখ কর
ভূমিকা :মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। তিনি সর্বদা বান্দার জন্য সহজ চান, কঠিন চান না। তিনি কারও উপর যুলুমকারী নন। সর্বদা বান্দার কল্যাণ চান। তিনি চান বান্দার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে তাকে দ্বীনের সঠিক পথে পরিচালিত করতে। মহান আল্লাহ বলেন, يُرِيدُ ال
ভূমিকা :চিরসবুজ-সজীব যৌবনে উদ্দীপ্ত থাকতে চায় প্রতিটি মানুষ। কিন্তু মানুষের জন্য এটি অসাধ্য ও অসম্ভব। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবর্তন আসে তারুণ্যে-যৌবনে। প্রৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য উঁকিঝুঁকি দেয় ক্রমে ক্রমে। ঘনকালো চুলের রং বদলাতে থাকে ধীরে ধীরে। একটি-দু’টি করে
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫।রেশমী রুমাল আন্দোলনকিছুক্ষণের জন্য যদি মেনে নেওয়া হয় যে, শামেলীর প্রকৃত ঘটনা তাই যা বর্তমান কালের দেওবন্দী লেখকরা প্রমাণের চেষ্টা করছেন, তাহলেও এ প্রশ্ন থেকে যায় যে, শামেলীর সীমিত পরিসরের ঘটন
ভূমিকা :পেরেনিয়ালিজম (perennialism) বা সর্বধর্ম সমন্বয় মতবাদটি পশ্চিমা একাডেমিয়ার ‘ইসলামিক স্টাডিজ’-এর মুসলিম স্কলারদের লেখনী ও বক্তব্যে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রকাশ পাচ্ছে এবং তার দ্বারা মুসলিম জনসাধারণ প্রভাবিত হচ্ছে। পেরেনিয়ালিজমের মূল কথা
ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিভূমি :ইসলামের প্রথম যুগেই ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয়। সেসময় রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদের নিকটে কুরআনী নির্দেশনা ব্যাখ্যা করতেন, যেন তারা দ্বীনের আলোয় আলোকিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ)-এর এসব মজলিসই পরবর্তী যুগে ইসলামী শিক্ষ
ছিয়াম আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভের অতুলনীয় একটি মাধ্যম। মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীর উপরে রামাযানের মাসব্যাপী ছিয়ামকে ফরয করেছেন। পাশাপাশি বছরের অন্যান্য মাসগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের নফল ছিয়াম বিধিবদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে রয়েছে মাসিক, সাপ্তাহিক ও বিশেষ
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলাপী বিত
রবীঊল আউয়াল আরবী বারটি মাসের তৃতীয় মাস। এই মাস মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যুর মাস। এ মাসে শরী‘আত কর্তৃক কোন বিশেষ ইবাদত ও অনুষ্ঠান না থাকলেও অনেক মুসলমান বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ইবাদত পালন করে থাকেন। আলোচ্য প্রবন্ধে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যুর
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ওহাবী মুজাহিদদের অবদান১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ কি বিদ্রোহজনিত সংগ্রাম ছিল? নাকি কোন সঠিক উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য জিহাদের একটি অংশ ছিল? নাকি জাতিগত যুদ্ধ ছিল? এ নিয়ে মতপার্থক্যে
দুনিয়াতে মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আমাদের আদি পিতা-মাতা আদম ও হাওয়া (আঃ)। তাঁদের থেকেই দুনিয়াতে মানুষ বিস্তার লাভ করেছে (নিসা ৪/১)। সে হিসাবে পৃথিবীর সকল মানুষ ভাই ভাই। আদর্শিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে মুসলমানরা ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধর (হজ্জ ২২/৭৮)। স
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।অল্পে তুষ্ট থাকার উপায় :অল্পে তুষ্টির মাধ্যমে আত্মিক সুখ অনুভূত হয়, জীবনজুড়ে নেমে আসে প্রশান্তির ফল্গুধারা। রিযিক হয় বরকতপূর্ণ। হৃদয়ে থাকে না অধিক পাওয়ার তৃষ্ণা এবং না পাওয়ার আক্ষেপ। অল্পে তুষ্টির গুণে মা
ভূমিকা : মানব জীবনের শুরুটা যেমন অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, তেমনি তার বার্ধক্যেও নেমে আসে চরম অসহায়ত্ব। বুদ্ধি-বিবেকে যেমন ঘটে চরম পরিবর্তন, তেমনি ঘটে দৈহিক গঠনেও। এক সময় সে দাড়িবিহীন ও স্বল্প চুলের অধিকারী থাকলেও সময়ের ব্যবধানে সে হয়ে যায় সাদা চু
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধীর সাক্ষ্য :বিগত বর্ণনা থেকে যদিও মাওলানা বেলায়েত আলী, মাওলানা এনায়েত আলী ও তাদের গোটা পরিবারের আহলেহাদীছ হওয়ার বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারপরেও বিপক্ষ দলের সাক্ষ্যের
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। অল্পে তুষ্টি অর্জনে অন্তরায়সমূহ :পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সফলতা হ’ল অল্পে তুষ্টির গুণ লাভ করা। যারা এই বৈশিষ্ট্য লাভ করে সুখ-শান্তির জন্য তাদেরকে হাপিত্যেশ করতে হয় না। অনাবিল প্রশান্তিত
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।বিভিন্ন রোগের নববী চিকিৎসা :ক. হিজামা :একটি উত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি হ’ল হিজামা তথা শিঙ্গা লাগানো। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ أَمْثَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ ‘তোমরা যেসব জিনিস দিয়ে চিকিৎসা ক
আল্লাহ তা‘আলা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই বারো মাসে বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন (তওবা ৯/৩৬)। এই মাস সমূহের মধ্যে প্রথম মাস হ’ল মুহাররম মাস। মুহাররম মাসের সাথে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িত আছে। এই মাসে রয়েছে কিছু সুন্নাত ইবাদত। আবার এই মাসকে কেন্দ্র
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। মাওলানা বেলায়েত আলী ছাদেকপুরী (রহঃ)-এর মাসলাক :মাওলানা বেলায়েত আলী লাক্ষ্ণৌয়ে আরবী শিক্ষা গ্রহণকালে সাইয়েদ আহমাদ শহীদ (রহঃ)-এর সেখানে আগমন ঘটে। মাওলানা বেলায়েত আলী (রহঃ) সেখানে তাঁর সত্যের ঝান্ডাবাহ
পটভূমি :সার্ভকোয়াল (SERVQUAL) মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পরিষেবার গুণগতমান নিরূপণের একটি বহুল ব্যবহৃত তত্ত্ব।[1] মডেলটি উপস্থাপিত করার আগে কয়েকটি ধারণার ব্যাপারে আলোচনা করা প্রয়োজন। প্রথমতঃ শিক্ষা মূলত: ছাত্রদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। অল্পে তুষ্ট ব্যক্তির কিছু আলামত ও স্তর :ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, অল্পে তুষ্টি ও যুহ্দ (দুনিয়া বিমুখতা) একই সূত্রে গাঁথা। যাহেদ ও অল্পে তুষ্ট ব্যক্তির কতিপয় আলামত আছে। যেমন :(১) সে তার
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।পুরুষের টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান নিষিদ্ধ :রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِى النَّارِ، ‘টাখনুর নিচে ইযারের (লুঙ্গি, প্যান্ট) যে অংশ থাকবে সেটুকু জাহান্নামে যাবে’।
আল্লাহ তা‘আলা কিছু মাস, দিন ও রাতকে ফযীলতপূর্ণ করেছেন। যেমন রামাযান মাসকে অন্য সকল মাসের উপর মহিমান্বিত করেছেন। আরাফাতের দিন ও ঈদের দিনকে অন্য দিনের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্বদরের রাতকে অন্যান্য রাতের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত করেছেন। আসন্ন যিলহজ্জ মাস অনুর
ইসলামী চিন্তার উপর প্রভাব বিস্তারকারী জ্ঞানকে অপরিবর্তনীয় জ্ঞান (infallible knowledge) ও পরিবর্তনীয় জ্ঞান (fallible knowledge) এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।[1] অপরিবর্তনীয় জ্ঞান হচ্ছে নিখুঁত জ্ঞান, যা কখনই ভুল প্রমাণিত হবে না। অর্থাৎ সর্বদা সঠিক থাকবে। এই
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।[ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আহলেহাদীছদের অবদান অতুলনীয়। জেল-যুলুম, ফাঁসি, সম্পত্তি বাযেয়াফ্ত, যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর, আন্দামান ও কালাপানির লোমহর্ষক নির্যাতন সত্ত্বেও ব্রিটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে আহলেহা
ইহূদী ও খৃষ্টান জাতি উভয়ে বনু ইস্রাঈলের অন্তর্ভুক্ত। ইস্রাঈল হ’ল হযরত ইয়াকূব (আঃ)-এর দ্বিতীয় নাম। যার অর্থ আল্লাহর দাস। তাঁর অধস্তন পুরুষ হযরত মূসা (আঃ)-এর অনুসারীদেরকে ‘ইহূদী’ বলা হয়। যিনি ছিলেন বনু ইস্রাঈলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। অতঃপর সর্বশেষ রাস
মানুষের মধ্যে যেসব লোক অদৃশ্য ও ভবিষ্যত সম্বন্ধে জ্ঞানের অধিকারী বলে দাবী করে তারা বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন- গণক, ভবিষ্যদ্বক্তা, যাদুকর, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, জ্যোতিষী, হস্তরেখা বিশারদ প্রভৃতি। এসব ভবিষ্যদ্বক্তা নানা পদ্ধতি ও মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্যাবলী উ
ভূমিকা :অল্প আমলও ইখলাছের সাথে করা হ’লে তা কবুল হবে আর বেশী আমলে যদি ইখলাছ না থাকে তাহ’লে কোন লাভ নেই। মোটকথা আমল যতই কম হোক তা ইখলাছের সাথে করতে হবে।ইখলাছ অবলম্বন বড় কঠিন কাজ। অনেক ক্ষেত্রে ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ ও জিহাদের চেয়ে ইখলাছ অবলম্বন খুব কঠিন। ক
তওবার পদ্ধতি :কোন গুনাহগার ব্যক্তি তওবা করতে চাইলে, প্রথমে যে পাপে লিপ্ত ছিল সেটা ছাড়তে হবে এবং আল্লাহর আযাবের ভয়ে ও পরকালে জান্নাত পাওয়ার আশায় তওবার নিয়ত করতে হবে। আর মনে মনে ঐ পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে তাতে আর ফিরে না আসার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। সেই সাথে
আল্লাহ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও বিশ্বজগতের দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছুর স্রষ্টা, পালনকর্তা, রক্ষাকর্তা ও একমাত্র উপাস্য। সকল সৃষ্ট বস্ত্তর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হ’ল এক আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য স্বীকার করে স্ব স্ব অবস্থানে বিচরণ করা। সৃষ্টির সেরা মানব জাতিকে আল্লাহর
উত্তম চরিত্র মানব জীবনের অতি মূল্যবান সম্পদ, যাকে মানব জীবনের ভূষণ বলেও অভিহিত করা যায়। আর উত্তম চরিত্রের ভূষণ হচ্ছে লজ্জাশীলতা বা লাজুকতা। যে কাজ করলে জনসমক্ষে মস্তক অবনত হ’তে পারে ঐ ভয়ে তা পরিহার করা বা তা থেকে বিরত থাকার নাম ‘হায়া’ বা লজ্জা। এই লজ
ধূমপান একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপদজনক অভ্যাস। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতকর’। তারপরও অনেকেই দেদার
আল্লাহ্ বলেন, ‘জলে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের কৃতকর্মের জন্য, আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাত চান, যাতে তারা ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)।সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন’। যাকে কেন্দ্র করে কেউ
ইখলাছের ফলাফল :ইখলাছের অনেক ফলাফল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কতিপয় হ’ল-১. জান্নাত লাভ :আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন,إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِيْنَ، أُوْلَئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُوْمٌ، فَوَاكِهُ وَهُم مُّكْرَمُوْنَ، فِيْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ-‘
গোনাহ ক্ষমা করানোর পদ্ধতি ও আমল :আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাঁর ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষ আল্লাহর নির্দেশ ভুলে পার্থিব চাকচিক্য দেখে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে প্রতিটি মুহূর্তেই গোনাহের মধ্যে পতিত হচ্ছে। আল্লাহ অসীম দয়ালু হিসাবে মানুষের গোনাহ ক্ষ
সঊদী আরবের প্রিন্স আল-ওয়ালীদ বিন তালাত একজন পুরুষই বটে। তাঁর বক্তব্য, তিনি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী যাঁরা হ’তে চান, তাঁরা সবাই এই একই কথা বলেন। কিন্তু ওয়ালীদ সত্যিই টাকার মালিক। ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের হিসাব মতে,
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। এটা আসমানী কিতাব আল-কুরআনে বিঘোষিত হয়েছে। এজন্য পৃথিবীতে মানবের বংশ বিস্তারের প্রয়োজন। এই প্রয়োজনের কারণে নর এবং নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পুরুষ এবং নারী
মুখলিছদের আলামতযারা ইখলাছ অবলম্বন করেন, তাদের বলা হয় মুখলিছ। তাদের কিছু গুণাবলী রয়েছে, যা দেখে বুঝা যাবে যে তারা ইখলাছের গুণে সমৃদ্ধ। এ সকল গুণাবলীর মধ্যে প্রধান প্রধান কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হ’ল :আল্লাহর সন্তুষ্টিই তাদের একান্ত কাম্য :ইখলাছের উঁচু
ভূমিকা :আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য এবং পৃথিবীতে তাঁর বিধান কায়েম করার জন্য। এ লক্ষ্যে মানবতার সঠিক পথের দিশারী হিসাবে এক লক্ষ চবিবশ হাযার নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন।[1] তাঁরা যুগে যুগে মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ, হেদায়াতের
মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে কালক্রমে ১ লক্ষ ২৪ হাযার নবী-রাসূল আগমন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না। তিনি মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন। মুসলিমের সতত সাধনা সেই হেদায়াত লাভ করা,
সৎ ও মুখলিছ লোকদের সাহচর্য লাভ :মানুষ যার সাথে উঠা-বসা ও চলাফেরা করে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়। যদি কেউ মুখলিছ লোকদের সাহচর্য লাভ করে তবে তার মধ্যে ইখলাছের ধারণা প্রবল হবে। আর যদি কোন ব্যক্তি লোক দেখানো ভাবনাধারী বা লোকশুনানো ধারণার বাহকের সাথে চলাফেরা
পৃথিবীতে মানবজাতি মহান আল্লাহ তা‘আলার এক অনন্য সৃষ্টি। শ্রেষ্ঠ কাজ করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। মহাজ্ঞানী আল্লাহ তাঁর একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেন। অতঃপর শ্রেষ্ঠত্বের এক সম্মানজনক আনুষ্ঠানিকতা পালনের ইচ্ছ
ভূমিকা :মানুষ মাত্রই তার সম্পদ বৃদ্ধি করতে চায়। সম্পদ বাড়ানোর জন্য কৃষি, চাকুরী, চিকিৎসা সহ মানুষ বিভিন্ন কাজ করে। এজন্যে তারা পরিবার ছেড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ও এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে থাকে। সম্পদ বৃদ্ধির জন্য সরকার, মানবাধিকার সংস্থা ও বিভি
ইসলাম শব্দের মূল ধাতু হচ্ছে ‘সিলম’, যার অর্থ শান্তি। অতএব ইসলাম-এর পারিভাষিক অর্থ হবে নবী (ছাঃ)-এর ত্বরীক্বা মোতাবেক আল্লাহর বিধান পালন করতঃ জীবন গঠন করে শান্তি লাভ করা।পৃথিবীতে অনেক ধর্ম বিদ্যমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইসলামই হ’ল সঠিক ও সত্য ধর্ম। বাকী
মানুষ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করলেও সামাজিক অবস্থান সবার একই রূপ নয়। কেউ ধনী, কেউ গরীব, কেউ উঁচু বংশের, কেউ নীচু বংশের, কেউ দক্ষ, কেউ অদক্ষ। আবার এক একজন এক এক বিষয়ে পারদর্শী। ফলে বিভিন্ন পেশায় তারা নিয়োজিত। ইসলাম সকল বৈধ
[ইসলাম দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে। বিধায় দ্বীন কায়েমে দাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। আলেম-ওলামা নবীগণের উত্তরাধিকারী হিসাবে প্রত্যেকেই দ্বীনের একজন দাঈ বা আহবানকারী। কিন্তু সকল দাঈর দাওয়াত কার্যকর হয় না বা সকল দাঈ তার দাওয়াতের ক্ষেত্রে সফল
মরণ বাঁধ ফারাক্কা। বাংলাদেশ তথা উত্তরাঞ্চলের গলার ফাঁস। যার নাম শুনলেই মরা পদ্মা ডুকরে মাথা কুটে মরে বিস্তীর্ণ বালিগর্ভে। এক কালের প্রমত্তা পদ্মা এখন স্রেফ মরুভূমি।ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ :কলিকাতা বন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষা করার অজুহাতে রাজশাহ
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইভটিজিং বা নারী উত্ত্যক্তের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আশংকাজনকহারে বেড়ে চলেছে ইভটিজিং ও ছাত্রী লাঞ্ছিত করার ঘটনা। Eve শব্দটির অর্থ নারী এবং Tea
১১শতম : দাঈর দাওয়াতে সাড়া দানকারীর সংখ্যা কম-বেশীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ না করাদাঈ তার ডাকে সাড়াদানকারী না পেলে আফসোস করেন, অক্ষম হয়ে যান এবং যখন তিনি মানুষের উপস্থিতি, প্রশংসা, সুখ্যাতি প্রত্যাশা করে। তখন দাওয়াত দান পরিত্যাগ করেন ইত্যাদি...। যদ
শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ বলে প্রচলিত আছে। শবেবরাত শব্দটি ফারসী। যার অর্থ হ’ল অংশ বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। শবেবরাতকে উপলক্ষ করে আমাদের সমাজে যা কিছু করা হয় তার প্রমাণ হিসাবে সূরা দুখানের ৩নং আয়াত পেশ করা হয়। এই
পৃথিবীর প্রতিটি গৃহে প্রত্যেক ব্যক্তি সন্তান কামনা করে। সন্তানের উপস্থিতি যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি গৃহের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। তাই যে গৃহে নিষ্পাপ শিশুর কল-কাকলি থাকে না, সে গৃহের শোভা ও সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। শিশুর শোভা ও সৌন্দর্য সম্পর্ক
ইসলামে বাৎসরিক ঈদ হচ্ছে দু’টি- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর সাপ্তাহিক ঈদ হচ্ছে জুম‘আর দিন। এছাড়া অন্য কোন ঈদ ইসলামে স্বীকৃত নয়। আলোচ্য নিবন্ধে জুম‘আর কতিপয় বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল-আল্লাহ তা‘আলা জুম‘আর ছালাতের নির্দেশ দিয়ে বলেন,يَآ أَيُّهَا الَّذِي
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :সুবিশাল সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হ’ল মানুষ। পৃথিবীর সকল মানুষ এক আদমের সন্তান। মহান আল্লাহ বলেন,يَا أََيُّهَا النَّاسُ اتَّقُواْ رَبَّكُمُ ا
ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুন ছওয়াব প্রদান করা হ
ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। এর প্রতিটি বিধানের মধ্যে লুকিয়ে আছে জানা-অজানা নানা বৈজ্ঞানিক তথ্য। ইসলামের বিধান সমূহ মেনে চললে শুধু যে ক্ষতি থেকে বাঁচা যায় তা নয়; বরং তা অনেক উপকারী। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এখন তা প্রমাণ করেছেন। চিকিৎসাব
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আদল বা সুবিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদল হ’ল মানবীয় সর্বোত্তম গুণের অন্যতম। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও যুলুম- নিপীড়নমুক্ত সমাজ গঠনে আদল বা সুবিচারের কোন বিকল্প নেই। দ্বীন ইসলামকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ক
(২) পিতার নিকট থেকে প্রাপ্ত অধিকারসমূহ :সন্তানের প্রতি পিতার দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং দীর্ঘমেয়াদী। মাতৃগর্ভে সন্তানের সঞ্চারণ শুরু হবার সময় হ’তে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দায়িত্ব অব্যাহত থাকে। এজন্য ইসলাম দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।বর্তমান বসুন্ধরা অসংখ্য ধর্মের কোটি কোটি অনুসারীর পদভারে মুখরিত। কিন্তু এমন একটি ধর্মও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে ক
হিজরী বর্ষপঞ্জির নবম মাসের নাম ‘রামাযান’। রামাযান শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া। বিশিষ্ট অভিধানবিদ আল্লামা ফিরোযাবাদী এ মাসের নাম রামাযান হবার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যেমন- (১) অত্যধিক গরমের সময় এ মাস পড়েছিল বলে, (২) এ মাসে ছিয়াম পালনকারীর পেটে
ভূমিকা :‘যাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আরবী ‘যাকাত’ (زكوة) শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে- পবিত্রতা, প্রবৃদ্ধি, কোন বস্ত্তর উত্তম অংশ, বরকত ইত্যাদি। সম্পদশালী ব্যক্তিগণের উপরই কেবল যাকাত ফরয। যারা নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালি
৬. তাক্বওয়া অর্জনে আদল : আদল বা সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাক্বওয়া অর্জিত হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। একজন তাক্বওয়াবান দায়িত্বশীল ব্যক্তি আদলের বিপরীত কোন কাজ করতে পারে না। আদল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাক্বওয়াকে সম্পৃক্ত করে কুরআন মাজীদে
৭. আদব-কায়দা শিক্ষা দান :আজকের শিশু আগামী দিনে সুস্থ পরিবার, সুন্দর সমাজ ও জাতি গঠনের মৌলিক স্তম্ভ। শিশুর মন অত্যন্ত কোমল। এ সময় তাকে সুশিক্ষা দিলে ভবিষ্যত জীবনে তা তার পাথেয় হিসাবে কাজ করবে। সেজন্য তার চরিত্র, মন-মানসিকতা, মানবিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।ইসলামী ভ্রাতৃত্বের উদ্দেশ্য :ইসলামী ভ্রাতৃত্বের মূল উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র বিধান সমাজে প্রতিষ্ঠার
পার্থিব জীবনে আমরা যেকোন কাজই করি, তা জেনে বুঝে, যাচাই-বাছাই করে সম্পাদন করি। একজন পাগল মানুষকেও যদি জ্বলন্ত আগুনে ঝাপ দিতে বলা হয়, তাহ’লে সেও আগুনে ঝাপিয়ে পড়বে না। কারণ আগুনে পড়লে পুড়ে যাবে, মরে যাবে, এ জ্ঞান তার আছে। সুতরাং দুনিয়াবী জীবনে ম
সত্য অর্থ খাঁটি, সঠিক, নির্ভুল, বাস্তব, যথার্থ, প্রকৃত, আসল ইত্যাদি। অপরদিকে মিথ্যা অর্থ অসত্য, ভুল, অবাস্তব, অযথার্থ, অমুলক, কল্পিত, নিষ্ফল, অনর্থক ইত্যাদি। অর্থাৎ সত্যের বিপরীত রূপ হ’ল মিথ্যা। সুতরাং সত্য ও মিথ্যার কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন বা পৃথ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।ভূমিকা :দারুল উলূম দেওবন্দ ও তথাকার শিক্ষাপ্রাপ্ত মনীষীদের ইলমী ও দ্বীনী খিদমত পাকভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকে নিজেদের ফিক্বহী দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে উপরোক্ত
ইসলামের দৃষ্টিতে সাহিত্য[1] মূল : এমএ এম শুকরী[2]সাহিত্য সবসময় মানব সমাজে একটি জীবন্ত ও গতিশীল শক্তি হিসাবে বিরাজ করেছে। কেবল মানুষের নান্দনিক অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হিসাবেই নয়, বরং ইতিহাসের কোন কোন পর্যায়ে তো এটা সমাজ পরিবর্তনেও ভূমিকা রেখেছে।
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। অল্পে তুষ্টির নমুনারাসূল (ছাঃ)-এর জীবনে অল্পে তুষ্টি :মুহাম্মাদ (ছাঃ) ছিলেন পৃথিবীর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। তিনি ছিলেন মানবজীবনের সকল কল্যাণকর বিষয়ে সর্বোত্তম আদর্শ ব্যক্তিত্ব। ক
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।বেশী বেশী ওযূ করা :আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রদর্শিত জীবন বিধান সার্বজনীন, শাশ্বত ও কল্যাণকামী। অনুরূপ একটি বিধান হ’ল ওযূ। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত ছালাত ও কা‘বা ঘর তওয়াফের জন্য আবশ্যিক পূর্বশ
মহান আল্লাহ আদম ও হাওয়া থেকে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন (নিসা ৪/১)। সে হিসাবে পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রয়েছে। তবে বিশেষ ভাবে মুসলিম জাতি সৃষ্টি ও আক্বীদাগত উভয় দিক দিয়ে সুদৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আল্লাহ বলেন,إِنَّمَا الْمُؤْمِن
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্বো
ভূমিকা : যাকাতুল ফিৎর একটি অন্যতম ফরয ইবাদত। যা ধনী-গরীব, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সকলের উপরে ফরয করা হয়েছে। ছায়েমের ভুল-ত্রুটি সংশোধন ও দরিদ্রদের খাদ্য খাওয়ানোর লক্ষ্যে যাকাতুল ফিৎর ফরয করা হয়েছে। যথাসময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে ফিৎরা প্রদান করা না হ’লে তা যেমন আ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। শেষ পর্ব। ভূমিকা :অল্পে তুষ্টি মুমিন চরিত্রের ভূষণ। সুখী জীবন লাভের অন্যতম হাতিয়ার। অল্পে তুষ্টির এই অনন্য গুণটি যে অর্জন করতে পারে, জীবনের শত দুঃখ-কষ্ট ও অপূর্ণতায় তার কোন আক্ষেপ থাকে না। আল্ল
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা :ইসলামী বিধানে ছিয়াম শুধু উপবাসের নাম নয়; বরং এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য আরো ব্যাপক, আরো গভীর, আরো সুদূরপ্রসারী। ছিয়াম সাধনার শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক তথ
পৃথিবীতে মানুষের আগমনের স্বাভাবিক মাধ্যম হচ্ছে পিতা-মাতা। এই পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক। তাদের সাথে যেমন সদাচরণ করতে হবে, তেমনি তাদের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। সেই সাথে তাদের সাথে সর্বোচ্চ শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে। আল্লাহ বল
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।৮. সালথা, ফরিদপুর : গত ১৮ই নভেম্বর ২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৯-টায় ফরিদপুর যেলার সালথা থানাধীন ডাঙ্গা কামদিয়া গ্রামে সদ্য প্রতিষ্ঠিত আহলেহাদীছ মসজিদ ও মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় কওমী ঘরানার একশ্রেণীর অপরিণামদর্শী মাযহাবপন্থী আলে
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীলের দেওয়া কুরবানী থেকেই কুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে। তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপর এটা জারী ছিল। আমাদের উপর যে কুরবানীর নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা মূলতঃ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে আল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।(ঙ) পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান : মুসলমানরা পরস্পরের মান-ইয্যতের নিরাপত্তা বিধান, দুঃখ-কষ্টে অংশগ্রহণ, গঠনমূলক সম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ভূমিকা :আমলের মাধ্যমে ব্যক্তির পরিচয় ফুটে উঠে এবং সে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সৎ আমল করা একজন মুসলিম ব্যক্তির প্রধান দায়িত্ব।
ইসলাম সকল প্রকার মাদক তথা নেশাদার দ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’।[1] অথচ এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।(ঙ) পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ করা : ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হ’ল পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ। একজন মুসলমান প্রয়োজনে বা অপ্
প্রতিটি দেশের যেমন রাজধানী রয়েছে, তেমনি মানব দেহের রাজধানী হ’ল ক্বলব। দেশের জন্য রাজধানী সুষ্ঠু রাখা যেমন যরূরী, দেহের জন্য ক্বলব সুষ্ঠু রাখা তার চেয়ে কয়েক হাযার গুণ বেশী যরূরী। সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে ক্বলবকে মুক্ত রাখা, অসুস্থতা থেকে নিরাপদ রা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।প্রথম অধ্যায় পবিত্রতা (ওযূ ও তায়াম্মুম)ইসলাম পবিত্রতাকে ঈমানের অর্ধেক বলে স্বীকৃতি দি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।(ঞ) আপোস-মীমাংসা করা : সমাজ ও সংগঠনবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে গেলে ব্যক্তি বা সংগঠনের মধ্যে কখনো কখনো পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝ
এ পৃথিবীতে মানুষ পার্থিব জগতের উন্নয়নে বড় বড় বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে অনেক বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বা করছেন। আল্লাহর শক্তির (বিকল্প) অন্তর্ভুক্ত প্রাকৃতিক শক্তি নিয়েও ব্যাপক গবেষণা চলছে বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞানীদের মাঝে। বিশ্বের বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি এখন ন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(৭) কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা:কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা, কাশি দেওয়া, নাচানাচি করা, দী
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।(ঙ) চোগলখুরী করা : কোন বিষয়ে একজনের নিকটে এক কথা, আবার অন্যজনের নিকটে আরেক কথা বলাকে চোগলখুরী বলে। এটি ইসলামী শরী‘আত
বিশ্ব রাজনীতি স্বীকৃত মৌলিক নাগরিক অধিকার পাঁচটি, যথা- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা। মনুষ্যজীবনে এগুলি এমনি আবশ্যক, এর একটিও পরিহার্য নয়। আবার ইসলাম ধর্মও পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা- কালেমা, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত এবং হজ্জ।
উপক্রমণিকা :ফেরেশতাগণ আল্লাহর অন্যতম সৃষ্টি। তারা সব সময় আল্লাহর নির্দেশ প্রতিপালন করে থাকেন। তারা নিজের পক্ষ থেকে কোন কিছুই বলেন না। মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آَمَنُوْا قُوْا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ نَارًا وَقُوْدُهَا النَّاسُ وَ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(২৩) মোজার উপরে ও নীচে মাসাহ করা:অনেককে মোজার উপরে নীচে উভয় দিকে মাসাহ করতে দেখা যায়।
সুদীর্ঘ পাঁচশত বছর ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদ রামমন্দির বিতর্ক ভারতের জাতীয় জীবনে সর্বাধিক সমালোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। পলাশীর যুদ্ধ ও ভারতে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত, বঙ্গভঙ্গ, ’৪৭-এর ভারতবিভাগ ইত্যাদি থেকে এ বিতর্ক কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারতের রাজনৈতিক,
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধানের নাম, যা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্ব মানবতার জন্য পথ নির্দেশিকা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এটি নীরেট কোন জীবন ব্যবস্থার নাম নয়, বরং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে গাম্ভীর্যপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ উপহার দিতেও ইসলামের জুড়ি নেই। ম
ইসলামে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। এ গুরুত্বের কারণেই আল্লাহ তা‘আলা প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সর্বপ্রথম শিক্ষাদান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُوْنِي
মানব জাতির প্রতি ফেরেশতাদের অভিশাপ :ফেরেশতামন্ডলী মানুষের উত্তম গুণাবলীর কারণে যেমন তাদের জন্য দো‘আ করেন, তেমনি মানুষের ঘৃণ্য দোষ, অসৎ কাজ ও অপকর্মের কারণে তাদের জন্য বদদো‘আ করেন বা অভিসম্পাত করেন। যাদের জন্য ফিরিশতাগণ বদদো‘আ করেন, তাদের সংক্ষিপ্ত বি
আলো এমন এক উপাদান যার সাহায্যে অন্ধকারে পথ চলা যায়। আলোর যেমন ভিন্নতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা। আলো প্রকাশ্য হ’তে পারে আবার অপ্রকাশ্যও হ’তে পারে। সর্বপ্রকারের আলোই উপকারী। এই আলো মূলতঃ ঈমানের আলো, যে আলোর মাধ্যমে মুমিন সঠিক পথে পরিচালিত
ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের মুসলমানদের আক্বীদা-আমল, আচার-আচরণে আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল। বিজাতীয় সংস্কৃতির অনেক কিছুই মুসলমানদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছিল। ফলে তারা নিজেদের ধর্মীয় কর্মকান্ড থেকেও অনেক ক্ষেত্রে দূরে সরে গিয়েছিল। এহেন প্রেক্ষাপটে হাজী শরীয়তুল্লাহ
ভূমিকা :মানুষের দো‘আ পাওয়া একটি কাঙ্খিত বিষয়। আমরা সবাই অন্যের কাছে দো‘আ প্রত্যাশা করি। সেই জন্য সুযোগ পেলেই দ্বীনদার মানুষের কাছে নিজের জন্য এবং নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য দো‘আ চেয়ে থাকি। কিন্তু ইসলামী শরী‘আত আমাদের জন্য এমন কিছু উপায় করে দিয়েছে, যা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে এর সুন্দর দিক নির্দেশনা রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ইসলাম যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। ইহকালে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা তিনি নিজেই করেছেন। দুনিয়াতে চলার জন্য মানুষকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। এই দিক-নির্দেশনা বা হেদায়াত মেনে চললে পরকালে মানুষ পুরস্কার হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। স
‘আশরাফুল মাখলূকাত’ এই বাক্যাংশটি ইসলামী পরিভাষা তথা আরবী ভাষার শব্দ বিধায় উচ্চারণ-নিষিদ্ধ নামের মতো যারা মনে করেন, তারাও ‘মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব’ কথাটা অস্বীকার করেন না। মানুষ কেন শ্রেষ্ঠ জীব, তাদের শিং এবং চারটি পা নেই বলে? অবশ্য তা নয়। ম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করে জান্নাতে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে দুনিয়াতে নামিয়ে দিলেন। আর শয়তানকে মানুষের শত্রু হিসাবে পাঠিয়ে দিলেন। শয়তান আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ
শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব। মানুষের জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখাই তাওহীদের ভিত্তিতে গড়তে হবে। তাওহীদ বিরোধী কোন কিছুই মানুষের জন্য শিক্ষার বিষয় হ’তে পারে না। কুরআন ও হাদীছের আলোকে ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের প্রয়োজনীয় শিক্ষাই হ’ল
ভূমিকা :আল্লাহ তাঁর ইবাদতের জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মুসলিম জীবনের আবশ্যিক কর্তব্য হ’ল আল্লাহর দাসত্ব করা। ইবাদতের প্রসঙ্গ এলে আমাদের কল্পনার দেয়ালে ভেসে ওঠে ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ, কুরআন তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ ছালাত প্রভৃতি ইবাদতের কথা। নিঃসন্দেহ
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের দেহে জিহবা ও দুই ঠোঁট সংযোজন করেছেন (বালাদ ৯০/৯), যাতে তারা কথা বলতে পারে। আর আল্লাহর দেওয়া মুখ ও ঠোঁট দিয়ে আল্লাহর নির্দেশিত সত্য কথা বলবে, সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিবে যদিও তা তার নিজের, নিজ পিতা-মাতার এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত আগত তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব, যাঁর প্রতিটি দিক ও বিভাগে রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। তিনি ব্যতীত পৃথিবীতে এমন কোন মানবের আবির্ভাব ঘটেনি যার প্রতিটি দিক ও বিভাগে অবদান রয়েছে। ধর
আধুনিককালে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন। তারবিহীন এ ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, পড়ালেখাসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের মত মোবাইল এক যুগান্তক
বছর ঘুরে আবার এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ (International Workers Day) হিসাবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।শয়তানই মানুষকে গুমরাহ বা পথভ্রষ্ট করেমানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য শয়তান আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাই সর্বদা সে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সে তার প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য বিভ
‘পুনরুত্থান’ অর্থ পুনরায় উত্থান, পুনরায় উঠা, পুনঃপ্রাপ্ত জীবন, মৃত্যুর পর পুনঃপ্রাপ্ত জীবন, কবর হ’তে মৃতের উত্থান, পুনরায় জন্ম, নতুন জীবন, শাশ্বত জীবন লাভ ইত্যাদি। মূলতঃ পুনরুত্থানের প্রাথমিক স্তর জন্ম। অর্থাৎ জন্মের পর মৃত্যু আর মৃত্যুর পরে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।ভূমিকা :আল্লাহ মানবজাতিকে কেবল তাঁরই ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (যারিয়াত ৫৬)। মানব সৃষ্টির এই মৌলিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং মানবজাতির পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ রাববুল আলামীন
কর্নেল মুআম্মার আল-গাদ্দাফীকে নিয়ে এক সময় তৃতীয় বিশ্বসহ আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ ও আবেগ লক্ষ্য করেছি। গাদ্দাফী তাঁবুতে রাত কাটান, দেশের সব মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা না করে তিনি তার জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী বাসায় উঠবেন না
হিজরী বর্ষের ৪টি মাস হারাম তথা মহা সম্মানিত এবং নিরাপত্তার মাস (তওবা ৩৬)। আদিকাল হ’তে এ মাস সমূহের সম্মান ও গুরুত্ব চলে আসছে। এ মাস সমূহে আরবের কাফেররা পর্যন্ত যুদ্ধ-বিগ্রহ, ছিনতাই-লুটতরাজ, হত্যা-গুম ইত্যাদি বন্ধ রাখত। উক্ত মাস সমূহের অন্যতম মাস রজব।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।মধ্য আরবের প্রাচীন উচ্চভূমি অঞ্চল ‘নাজদ’। অষ্টাদশ শতকে এ ভূখন্ডে ঘটে যায় এক অসাধারণ ইসলামী বিপ্লব। ইসলাম আগমনের পূর্বে অজ্ঞতার তিমির প্রহেলিকা আরবজাতিকে যেমন আচ্ছাদিত করে রেখেছিল, ঠিক তেমনি আববাসীয় শাসনামলের পতনের প
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।ছাহাবায়ে কিরামের যুগে ফৎওয়া :রাসূল (ছাঃ)-এর অবর্তমানে তাঁরই একনিষ্ঠ ছাহাবীগণ ইসলামী শরী‘আতের ধারক-বাহক, সংরক্ষক ও প্রচারক হিসাবে দায়িত্বপালন করবেন, তা বলার অপেক্
কোন জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য না থাকা যেমন দুঃখজনক, তেমনি ইতিহাস থাকার পরও যে জাতি আপন ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ সে জাতি নিঃসন্দেহে হতভাগ্য। কেননা ইতিহাস শুধু অতীতের ফেলে আসা হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ঘটনাই প্রকাশ করে না; সাথে সাথে অতীত থেকে শি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলতপবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মধ্যে ছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত অনেক বর্ণনা রয়
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায়মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিভ্রান্ত করার কাজে শয়তান সদা তৎপর। তার প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কঠিন। তবুও মানুষকে চেষ্টা করতে হবে শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকার জন্য। এ লক্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।নাজদের অবস্থা :ভৌগলিকভাবে জাযীরাতুল আরবের এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকলেও নাজদের রাজনৈতিক ইতিহাস অতীতে তেমন সমৃদ্ধ ছিল না। হিজরী তৃতীয় শতকে আববাসীয় আমলে সর্বপ্রথম নাজদ একটি স্বতন্ত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলত(1) عَنْ أُمِّ رُوْمَانَ قَالَتْ رَآنِيْ أَبُوْ بَكْرٍ أَتَمَيَّلُ فِي ا
ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত, রামাযান মাসের ‘ছাওম’ তার মধ্যে অন্যতম। ‘ছাওম’-এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। শারঈ অর্থে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানাপিনা, যৌনাচার ও যাবতীয় শরী‘আত নিষিদ্ধ কর্মকান্ড হ’তে বিরত থাকাকে ছাওম বলা হয়।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।দিরঈইয়া : ১১৫৭ হিঃ/১৭৪৬ খৃষ্টাব্দে তিনি উয়ায়না[1] থেকে বের হয়ে এক স্বাধীনচেতা আমীর মুহাম্মাদ বিন সঊদের শাসনাধীন ছোট্ট নগরী ‘দিরঈইয়া’-তে উপস্থিত হ’লেন[2] এবং স্বীয় ছাত্র আহমাদ ইবনু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।তাক্বলীদের যুগ :তাক্বলীদ (التقليد) শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল অন্ধ অনুসরণ। পারিভাষিক অর্থে قبول قول الغير من غير دليل অর্থাৎ কারো কোন কথাকে বিনা দলীলে গ্রহণ করার ন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলতছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত উদ্ভট ও মিথ্যা কাহিনী সমূহ :জনগণকে ছালাতের প্রতি
মহান আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের উপর ছালাত ও সালাম পেশের পর বক্তব্য এই যে, যেহেতু হজ্জ পালন করা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম, তাই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর কথা, কাজ ও তাক্বরীর বা অনুমোদনের মাধ্যমে এর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আর ছাহাবীগণ (রাঃ) তাঁর অনুস
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।জড়তা ও স্থবিরতার যুগ :৬৫৬ হিজরীতে (১২৫৮ খৃঃ) আববাসীয় শাসনামলের পতনের পর সমগ্র মুসলিম বিশ্ব জুড়ে নেমে আসে বিপর্যয়ের ঘনঘটা। এ বিপর্যয় ছিল বহুমুখী। তবে বুদ্ধিবৃত্তি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।মসজিদ সমূহ(১) মসজিদের ফযীলত সংক্রান্ত প্রসিদ্ধ যঈফ হাদীছ :عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَ
এ পৃথিবীর সকল বস্ত্তরই একটা নাম ও নিদর্শন রয়েছে। উক্ত নাম ও নিদর্শনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্কও রয়েছে, যা তার পরিচয় বহন করে। প্রত্যেকের নিদর্শন দ্বারাই একে অপরকে চিনে, জানে ও বিশ্বাস করে। মানুষ ছাড়া যত প্রকারের চেনা-জানা প্রাণী বা গৃহপালিত ও বন্য
উপক্রমণিকা :আল্লাহর নৈকট্য, আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতির সুমহান মহিমায় ভাস্বর কুরবানী। কুরবানী আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) ও তদীয় পুত্র হাবিল-কাবীল এবং মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) ও তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(৪) মসজিদের পাশে মৃত ব্যক্তির কবর দেওয়া :মৃত ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান ও ইমামের ক্বিরাআ
পৃথিবীর স্থলভাগ, জলভাগ এবং মহাশূন্যের ও ভূগর্ভের বিশাল এলাকা, অসীম আকাশমন্ডলী, অগণিত তারকারাজি ও ঊর্ধ্বজগতের সব কর্তৃত্ব আল্লাহর। মহান আল্লাহ তা‘আলা হ’লেন ঐ বিশাল জগত সহ আমাদের অতি ক্ষুদ্র জগতের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক।পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ বৎসরেও
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, যা আললাহ তা‘আলা বিশবমানবতার জন্য দান করেছেন। আর তাকে বাস্তবায়ন করার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।ওয়াহ্হাবী আন্দোলনের রাজনৈতিক পথপরিক্রমা :শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাবের সংস্কার আন্দোলন কেবল নজদবাসীর আক্বীদা ও আমল-আখলাকেরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেনি; বরং নজদের সামাজিক ও
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য (যারিয়াত ৫৬)। আর ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম দু’টি শর্ত হ’ল- (১) যাবতীয় ইবাদত শুধুমাত্র তাঁর জন্যই নিবেদিত হ’তে হবে। যেমন- ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ-যাকা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।তাক্বলীদ কার জন্য বৈধ ও কার জন্য অবৈধ :মহান আললাহ কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যাবতীয় বিধি-বিধান দানের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। রাসূলুললাহ (ছাঃ)
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।ভারতীয় উপমহাদেশে ফৎওয়ার উৎপত্তি :ইসলামের কেন্দ্রভূমি মক্কা মুকাররামাহ হতে সুদূর প্রান্তে অবস্থান করলেও মধ্যযুগ থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যত
জন্ম নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের পটভূমি :জন্ম নিয়ন্ত্রণ (Birth control) আন্দোলন আঠারো শতকের শেষাংশে ইউরোপে সূচনা হয়। সম্ভবত: ইংল্যান্ডের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ম্যালথাসই (Malthus) এর ভিত্তি রচনা করেন। এ আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য হ’ল বংশ বৃদ্ধি প্রতিরোধ। জনসংখ্যা ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।তাক্বলীদপন্থীদের দলীল ও তার জবাব :প্রথম দলীল : তাক্বলীদপন্থীদের নিকট তাক্বলীদ জায়েয হওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দলীল হ’ল আল্লাহ তা‘আলার বাণী- فَاسْأَلُوْا أَهْ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নন : যুক্তির নিরিখেইতিপূর্বে পেশকৃত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নন। এ বিষয়ে নিম্নে যুক্তিভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হ’ল-(১) মানুষ যখ
আত্মসমর্পণ একটি সর্বজনবিদিত ও পরিচিত শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হ’ল সম্পূর্ণরূপে অন্যের কাছে নতি স্বীকার করা। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ হ’তে আল্লাহর নিকট নিজেকে সমর্পণ করা বা উৎসর্গ করা। অবশ্য উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে যে কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, তাদের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।৯ম দলীল : হাদীছে এসেছে,عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِيْ وَسُنَّةِ الْخُل
হামদ ও ছানার পর- এই বিষয়টি অনেকের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করতে পারে। কেউ বলতে পারে, শরী‘আতের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় থাকতে কেন এই বিষয়ে আলোচনার অবতারণা? উত্তরে বলব, এই বিষয়টি বিশেষ করে বর্তমান যুগে অনেকের চিন্তা-চেতনাকে ব্যস্ত রেখেছে। আমি শুধু সাধারণ মানু
আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে, তিনি নিরাকার নন। তিনি শুনেন, দেখেন এবং তাঁর হাত, পা, চেহারা, চোখ ইত্যাদি আছে।আল্লাহর হাত :আল্লাহর আকার আছে, এর অন্যতম প্রমাণ হ’ল তাঁর হাত আছে। এ সম্পর্কে নিম্নে দলীল পেশ করা হ’ল-(১) মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইহুদীদের একটি বক্
এ পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে মোটামুটি তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়। শৈশব, কৈশোর ও বার্ধক্য। শৈশব ও কৈশোর অবস্থায় তেমন কোন সুষ্ঠু চিন্তার বিকাশ ঘটে না। পক্ষান্তরে বার্ধক্য অবস্থায় আবার চিন্তা শক্তির বিলোপ ঘটে। কিন্তু যৌবনকাল এ দুইয়ের ব্যতিক্রম। যৌবনকাল মান
কারণ ৩ : ভিন্নমত পোষণকারীর নিকট হাদীছ পৌঁছেছে, কিন্তু সে ভুলে গেছে :অনেক মানুষ আছে কখনও ভোলে না। কত মানুষ আছে হাদীছ ভুলে যায়। এমনকি কখনও আয়াতও ভুলে যায়। রাসূল (ছাঃ) একদিন ছাহাবীগণকে নিয়ে ছালাত আদায় করছিলেন এবং তিনি ভুলক্রমে একটি আয়াত ছেড়ে দিয়েছিলেন।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির তৈরী না নূরের?আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে মাটি থেকে, জিন জাতিকে আগুন থেকে এবং ফেরেশতাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ মাটির তৈরী একথা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে বিভিন্ন
ইসলাম প্রচারমুখী ধর্ম। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই উত্তম জাতি, তোমাদেরকে সমগ্র মানব জাতির মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয়েছে এজন্য যে, তোমরা লোকদেরকে সৎ কাজের আ
ভূমিকা :মানবতার মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি হচ্ছে ইসলাম। যা পূর্ণাঙ্গ হয়েছে দেড় সহস্র বছর পূর্বে পবিত্র কুরআনের এই দ্ব্যর্থহীন ঘোষণার মাধ্যমে যে, اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ
দুনিয়া পরকালের কর্মক্ষেত্র। দুনিয়ায় মানুষের কাজের উপর ভিত্তি করেই আল্লাহ পরকালে জান্নাতে বা জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। পরকালে জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাত লাভ করাই চূড়ান্ত মুক্তি। আর সেই মুক্তির লক্ষ্যে প্রত্যেকের উচিত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়
কারণ ৭ : যঈফ হাদীছ দ্বারা আলেমের দলীল পেশ অথবা দুর্বলভাবে দলীল উপস্থাপন :আর এমন ঘটনা অনেক। যঈফ হাদীছ দ্বারা দলীল পেশের অন্যতম একটি উদাহরণ হচ্ছে, কোন কোন আলেম ‘ছালাতুত তাসবীহ’-কে মুস্তাহাব বলেন। ‘ছালাতুত তাসবীহ’ হচ্ছে, দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করা, যাতে
এ পৃথিবীর বুকে পিতা-মাতার সম্মান ও মর্যাদা নিঃসন্দেহে শীর্ষস্থানীয়। মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্ববাসীর একমাত্র উপাস্য ও অভিভাবক। আর পিতা-মাতা হ’ল শুধু তার সন্তানদের ইহকালীন জীবনের সাময়িক অভিভাবক। সুতরাং সন্তানদের কাজ হ’ল, মহান স্রষ্টা ও পালনকর্তা আল্লাহ তা
ভূমিকা :পৃথিবীতে আগত সকল নবী-রাসূলের মাঝে আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মর্যাদা হ’ল তারাভরা রাতের আকাশে একটি রূপালী চাঁদে মত। তিনি সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। তিনি জগৎবাসীর জন্য রহমত হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার আগমনে পাপ-বিদগ্ধ ভুবনে শান্তির নির্মল
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।দাড়ি রাখা সুন্নাত বলার পক্ষে দলীলসমূহ ও তার জওয়াব :‘ইসলামে হালাল ও হারামের বিধান’ গ্রন্থ প্রণেতা ড. ইউসুফ আব্দুল্লাহ কারযাভীসহ কতিপয় শৈথিল্যবাদী বিদ্বান মনে করেন দাড়ি মুন্ডন করা মাকরূহ। এমনকি কেউ কেউ মনে করেন এটি জায়েয। যারা মাক
পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত উর্দূ পত্রিকা ‘দৈনিক দুনিয়া’র বিখ্যাত সাংবাদিক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদক মুহাম্মাদ ইযহারুল হক ১২ই রবীউল আউয়াল উপলক্ষে লেখা এক কলামে তার স্পেন সফর এবং সেখানকার ‘আল-হামরা’ প্রাসাদ দর্শনকালে সংঘটিত একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন
পর্ব ১ ।হক খুঁজে পাওয়া যেমন সহজ নয়, তেমনি হকের উপরে টিকে থাকাও সহজ নয়। হকের উপরে টিকে থাকার জন্য কতিপয় করণীয় রয়েছে। যেগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-১. শারঈ ইলম অর্জন করা :শারঈ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে একজন মানুষ যথার্থ মুত্তাক্বী হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন,إِن
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। ইসলামে কোন উগ্রতা ও চরমপন্থার স্থান নেই। ইসলাম মধ্যপন্থী এক অনন্য সহনশীল ধর্ম। ইসলামের মনোমুগ্ধকর সৌহার্দপূর্ণ আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই বিগত দিনে লোকেরা দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।দাড়ির ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর আমল :রাসূল (ছাঃ)-এর মুখভরা ও লম্বা দাড়ি ছিল। তিনি মাঝে-মধ্যে দাড়ি আঁচড়াতেন। وَكَانَ كَثِيرَ شَعْرِ اللِّحْيَة ‘তিনি অধিক ঘন দাড়ির অধিকারী ছিলেন।[1] অন্য বর্ণনায় এসেছে, عَظِيمَ اللِّح
পর্ব ১ । শেষ পর্ব । মুমিনের দুনিয়াবী জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বরং তা কণ্টকাকীর্ণ। তার সামনে থাকে শত বাধার দুর্ভেদ্য প্রাচীর। তা জয় করে তাকে জান্নাতের পথে এগিয়ে যেতে হয়, বাঁচার চেষ্টা করতে হয় জাহান্নাম থেকে। তাই দুনিয়াবী জীবনের শত বাধা বিঘ্নকে
‘একবার কল্পনা করুন তো, আপনার দেহের নিম্নাংশ ধসে পড়া দেয়ালের নিচে। থেঁতলে গেছে। কিছুতেই বের হ’তে পারছেন না। কোন রকমে বেঁচে আছেন। ঐ অবস্থায়ই আপনি সন্তানের বের হয়ে থাকা হাতটি দেখছেন’। এ চিত্র নিশ্চয়ই আপনার কল্পনায়ও ঠাঁই পাবে না। চিন্তাধারা অন্যদিকে ঘুরি
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬। প্রারম্ভিকা : অশান্ত পৃথিবীর বিক্ষু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।১৮তম দলীল : আমরা গোশত, পোষাক ও খাদ্য ক্রয়ের সময় তা হালাল হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস না করেই শুধুমাত্র মালিকের কথার উপর ভিত্তি করে ক্রয় করে থাকি, যার বৈধতা ইজমায়ে
হামদ ও ছানার পর, ছোট্ট এই পুস্তিকার শিরোনাম হচ্ছে, ‘ছাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য’(واجبنا نحو الصحابة الكرام)। সত্যিই এ কর্তব্য মহান। সেজন্য আমাদের উচিত, এ বিষয়টির প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা এবং সর্বোচ্চ যত্নশীল হওয়া।সম্মানিত পাঠকের জানা
বাংলাদেশের পশ্চিমে সুন্দরবন সংলগ্ন তালপট্টি দ্বীপটি সুকৌশলে ভারত ভেঙ্গে দিচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানায় বৃহৎ এ দ্বীপটি যাতে আর গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ভারত উজানে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর স্রোত ও পলি নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে নতুন করে পলি জমতে না পেরে তালপট্টি দ্বীপ আর
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।ইসলামের দৃষ্টিকোণে মানবাধিকারের উৎপত্তি ও
আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অসীম সত্তার অধিকারী। আর মানুষ হ’ল তাঁর সর্বাধিক প্রিয় সৃষ্টি। তিনি মানুষকে শয়তান হ’তে সাবধান থাকার পুনঃ পুনঃ নির্দেশ প্রদান করেছেন। কুরআন এলাহী গ্রন্থ। এ গ্রন্থে আল্লাহ ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক-সাবধান করেছেন।পবিত্র ক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং ইবাদতের যাবতীয় নিয়ম-পদ্ধতি অহী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন, যা কুরআন ও
বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম দ্বিতীয় কবি যিনি কবিতা লেখার জন্য কারাবরণ করেন। কবিতার জন্য কারাবরণকারী প্রথম হলেন সিরাজগঞ্জের ‘অনল প্রবাহ’ কবি ইসমাঈল হোসেন সিরাজী। কিন্তু নজরুল যেমন কবিতায় আলোড়ন সৃষ্টি করে ব্রিটিশের মত রাজশক্তিকে নাড়িয়ে তুলে
‘আমি বৃথা জীবন ধারণ করিনি, সমস্ত কিছুই প্রমাণ করব, যা ভাল তা শক্ত করে ধরব’। বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।পাশ্চাত্যে মানবাধিকারের ধারণা :ইউরোপীয় দে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।পাত্র বিষয়ক মাসআলাالآنية-এর পরিচিতি : যে পাত্রে পানি অথবা অন্য কোন খাদ্য সংরক্ষণ করা হয় তাকে الآنية বলা হয়। এর আসল ব
আমরা হিজরী সাল অনুযায়ী বর্তমানে চতুর্দশ শতাব্দীতে অবস্থান করছি। ছাহাবীগণের মাঝে এবং আমাদের মাঝে অনেকগুলি শতাব্দী গত হয়ে গেছে। নবী করীম (ছাঃ)-এর নবুঅত প্রাপ্তির পর থেকেই তারা তাঁর সাথে ছিলেন। সর্বদা তারা তাঁকে সঙ্গ দিতেন এবং তাঁকে সার্বিক সাহায্য-সহযো
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে উদ্দেশ্যবিহীন সৃষ্টি করেননি। তিনি বলেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُوْنِ ‘আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)।ইবাদত এমন একটি ব্যাপক শব্দ যা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে প
মানুষ কেবল দেহসর্বস্ব জীব নয়। সুন্দর দৈহিক অবয়বের সাথে মহান আল্লাহ মানুষকে সুন্দর একটি ক্বলব বা অন্তর দিয়েছেন। যার মাধ্যমে মানুষ চিন্তা করে জীবনের ভাল-মন্দ বেছে নেয়। মানুষের অন্তরের চিন্তা-ভাবনার উপরই নির্ভর করে তার অন্যান্য অঙ্গের ভাল কাজ বা মন্দ কা
ঈদায়নের ছালাত ১ম হিজরী সনে চালু হয়। এটা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে তা আদায় করেছেন এবং নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এদিন সর্বোত্তম পোষাক পরিধান করতেন ও নিজ স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে ঈদগা
ক্বিয়ামত হ’ল মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলার অলৌকিক শক্তির রূপায়ণ ও নিদর্শন। ক্বিয়ামতের বিভীষিকাময় পরিবেশের কথা জানার জন্য বিশ্ববাসীর চরম আগ্রহের প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তা‘আলা এর সময়কাল গোপন রেখেছেন। কোন নবী-রাসূল বা ফেরেশতারাও এর আসন্ন সময়কাল জানেন না। কি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মিসওয়াক সম্পর্কিত মাসআলাপরিচিতি : খাদ্যকনা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কাঠি, ডাল বা অনুরূপ কিছু দ্বারা দাঁত পরিষ্
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ :মানবতার ইতিহাসে ব
ভূমিকা :পরহেযগারিতা বা আল্লাহভীরুতা দ্বীনের ভিত্তিসমূহের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। তাক্বওয়া ও পরহেযগারিতা ছাড়া ঈমান কখনোই পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। ঈমান হ’ল একটি বৃক্ষের ন্যায় আর পরহেযগারিতা হ’ল তার সৌন্দর্য। পানি যেমন কাপড় থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর
ক্বিয়ামত দিবসের প্রতিকূল পরিবেশে অপরাধীদের বাস্তব অবস্থার বর্ণনা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,وَلَوْ أَنَّ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعاً وَمِثْلَهُ مَعَهُ لاَفْتَدَوْا بِهِ مِنْ سُوْءِ الْعَذَابِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَبَدَا لَهُمْ مِّنَ
(১) ‘মীক্বাত’ থেকে ইহরাম বেঁধে সরবে ‘তালবিয়াহ’ পড়তে পড়তে কা‘বা গৃহে পৌঁছবেন।(২) ‘হাজারে আসওয়াদ’ হ’তে ত্বাওয়াফ শুরু করে পুনরায় হাজারে আসওয়াদে এসে এক তাওয়াফ, এভাবে সাত ত্বাওয়াফ সমাপ্ত করবেন এবং ‘রুক্নে ইয়ামানী’ ও ‘হাজারে আসওয়াদ’-এর মধ্যে ‘রববানা আ-তিনা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।মানুষের জন্মগত মর্যাদা ও অধিকার :জাতিসংঘ
হজ্জের পরিচয় :حج (হজ্জ)-এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন স্থানের সংকল্প করা। শারঈ পরিভাষায় নির্দিষ্ট ইবাদত তথা তাওয়াফ, সাঈ প্রভৃতির জন্য হজ্জের মাস সমূহে (শাওয়াল, যুলকা‘দাহ, যুলহিজ্জা) আল্লাহ তা‘আলার নিকট সম্মানিত ও পবিত্র ঘর যিয়ারতের ইচ্ছা পোষণ করা।হজ্জের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।ওযূর ফযীলতপবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ওযূ। এর অনেক ফযীলত রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ’ল।-(ক) ওযূ ঈমা
হামদ ও ছানার পরে আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে সত্য দ্বীন ও হেদায়াত সহকারে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। যাতে তিনি মানব জাতিকে তাদের প্রতিপালকের ইচ্ছায় অন্ধকার পথ থেকে বের করে সত্য-সঠিক আলোর পথে পরিচালিত করেন। তাঁর নির্দেশনাবলী পালন ও নিষেধকৃত কাজগ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।জীবন, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভের অধিকার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে যেসব নবী-রাসূল প্রেরণ করেছিলেন তাঁদের সবার একই দাওয়াত ছিল আল্লাহর ইবাদত কর এবং শিরকের পথ পরিহার কর।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মোযা, পাগড়ী ও ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ সম্পর্কিত মাসআলা :মোযার উপর মাসাহ করার হুকুম :মোযা দুই প্রকার। যথা- ১- اَلْخُفُّ
গত ২৯ নভেম্বর ফেসবুকে পবিত্র কুরআন ও রাসূল (ছাঃ)-কে অবমাননা করে ছবি ট্যাগ করার প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় পুলিশ, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয়পক্ষে পঁচিশ ব্যক্তি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশের গুলিতেও আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি
ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ’ল ছালাত। সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণকে হৃদয়ে সঞ্চারিত রাখার প্রক্রিয়া হিসাবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। আল্লাহ বলেন, وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِىْ ‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর আমাকে
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।দাসপ্রথা নিষিদ্ধতা প্রসঙ্গ :জাতিসংঘ সর্বজ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।২. আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কুরবানী করা : আল্লাহর নামে ও তাঁর উদ্দেশ্যে কুরবা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।তায়াম্মুম সম্পর্কিত মাসআলাالتيمم -এর শাব্দিক অর্থ- القصد অর্থাৎ ইচ্ছা করা।التيمم -এর পারিভাষিক অর্থ- আল্লাহ তা‘আলার
অভ্যাসগত বিশ্বাস থেকে চিন্তাশীল বিশ্বাসের পথে যাত্রামানুষের সাথে পশুর একটি বড় ব্যবধান হচ্ছে পশুর ভবিষ্যৎ বলে কোন বিষয় নেই। একটি কুকুরকে কিছু গোশত, হাড় দেখিয়ে আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহে খেলে বেশী পাবে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে না। তার কাছে আগামীকাল ব
পর্ব ১। শেষ পর্ব।শর্ত সাপেক্ষে বিতর্ক করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিতর্কের সময় করণীয় বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। করণীয়গুলো নিম্নে তুলে ধরা হ’ল।-বিতর্কের সময় করণীয় :(১) বিতর্কের উত্তম লক্ষ্য স্থির করা :বিতর্কের উদ্দেশ্য হ’তে হবে উত্তম এবং কল্য
ভূমিকা :প্রাক ইসলামী যুগে দাস প্রথার প্রচলন ছিল। ইসলাম আগমনের পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাস প্রথাকে বিলুপ্ত না করলেও, বিভিন্নভাবে এই প্রথাকে নিরুৎসাহিত করেছেন এবং দাস মুক্ত করার ফযীলত বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পাপের কাফ্ফারা আদায়ের জন্য দাস মুক্ত ক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু আহকাম :(১) জামা‘আতে ছালাত আদায় করা : ছালাত আদায় করা যেমন ফরয তেমনি প্রত্যেক পুরুষের জন্য জামা‘আতে ছালাত আদায় করাও যরূরী।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।দাড়ি পুরুষের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দাড়ি রাখার যেমন দুনিয়াবী উপকারিতা রয়েছে তেমনি এটি রেখে সুন্নাত পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর লক্ষ লক্ষ ছাহাবীর কেউ দাড়ি মুন্ডন বা শেভ ক
মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে আগত নবী-রাসূলগণের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। যিনি এসে মানুষকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছেন। জীবনের করণীয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যেকার সম্পর্ক জানিয়েছেন। স্রষ্টার প্রতি দা
সীমালংঘন একটি মারাত্মক বিষয়। পার্থিব জগতে মানুষের আয়ত্তাধীন ছোট-বড় যত প্রকারের বস্ত্ত রয়েছে, সমস্তই মানুষের মধ্যে বিভাজন হয়ে আছে। যেমন ভূ-পৃষ্ঠের বিশাল ভূ-খন্ড বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠী দ্বারা নির্দিষ্ট সীমারেখায় বিভক্ত হয়ে আছে। আবার বিশাল জলভাগ
হাদীছ থেকে দলীল :প্রথম দলীল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَّنْظُرَ إِلَيْهَا إِذَا كَانَ إِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا لِخِطْبَتِهِ وَإِنْ كَانَتْ لاَ تَعْلَمُ-‘যখন তোমাদের কেউ কোন মেয়েকে বিয়ের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।৬. আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকটে বরকত চাওয়া :বরকতের মালিক কেবল আল্লাহ তা‘আলা। তাই
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।হায়েয ও নিফাস সম্পর্কিত মাসআলামহিলাদের লজ্জাস্থান হ’তে নির্গত রক্ত তিন প্রকার। যথা-(ক) دم الحيض (হায়েযের রক্ত) : এটা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।দাস প্রথা নিষিদ্ধতা প্রসঙ্গ :ইসলাম দাস প্
‘ভালবাসা দিবস’কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী উন্মাতাল হয়ে উঠে। বাজার ছেয়ে যায় নানাবিধ উপহারে। পার্ক ও হোটেল- রেস্তোরাঁগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে। পৃথিবীর প্রায় সব বড় শহরেই ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-কে ঘিরে পড়ে যায় সাজ সাজ রব। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি প্র
১১ নং দলীল :বিশুদ্ধ দৃষ্টিকোণ ও প্রচলিত যুক্তি, এই পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত যাকে নিয়ে এসেছে। আর সেটা হ’ল কল্যাণময় কর্মসমূহ ও তার মাধ্যমগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তার প্রতি উৎসাহিত করা। অপরদিকে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি ও তার মাধ্যমগুলোকে অস্বীকার করা এবং পরিহার করা।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়েই তাকে বাস করতে হয়। সমাজে একে অপরের সহযোগী হয়ে জীবনের পথ চলতে হয়। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানবতার দ্বীন ইসলাম এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিধি-বিধান বর্ণনা করেছে।ইসলাম যেমনিভাবে ব্যক্তিগ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।৩য় উপায় : আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করা :মানব জাতির সাফল্য লাভের অন্যতম উপায় হচ
মানবজাতিকে আল্লাহ তা‘আলা আশরাফুল মাখলূক্বাত হিসাবে স্বাধীন চিন্তাশক্তি দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। ফলে তার মাঝে তিনপ্রকার নফসের সম্মিলন ঘটেছে। নাফসে আম্মারাহ, নফসে লাউওয়ামাহ এবং নাফসে মুতমাইন্নাহ। এর মধ্যে নফসে আম্মারাহ বা কুপ্রবৃত্তি মানুষকে জৈবিক
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।দাসপ্রথা নিষিদ্ধতা প্রসঙ্গ :ইসলাম প্রদত্ত
চরিত্র মানুষের মুকুট স্বরূপ। মানব জীবনের জন্য চরিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চরিত্র অর্থ-সম্পদ দিয়ে ক্রয় করার মতো কোন বস্ত্ত নয়। বরং তা জীবন চলার পথে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ সাধনার মাধ্যমে তিলে তিলে অর্জন করতে হয়। পাড়া-প্রতিবেশী,
মুসলমানদের স্পেন বিজয় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। স্পেন বিজয়ের পূর্বমুহূর্তে সেখানে উইতিজা নামক এক রাজা রাজত্ব করত। হঠাৎ উইতিজাকে সিংহাসনচ্যুত করে রডারিক সিংহাসন অধিকার করে। রডারিক ছিল অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ও অত্যাচারী ব্যক্তি। সে সম্রাট উইতিজাকে নৃশংসভাবে হত্
ভূমিকা :ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা মাসিক ‘আত-তাহরীক’ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মুখপত্র। শিরক ও বিদ‘আতের বিরুদ্ধে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ সদৃশ এ পত্রিকার খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। এটি বিজাতীয় ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী
যখন পৃথিবীর আবহাওয়া ছিল উত্তপ্ত, পরিবেশ ছিল বিষাক্ত, চারিদিকে লংঘিত মানবতার করুণ আর্তনাদ, মযলূম জনতার হাহাকার, শোষকের অত্যাচারে শিশু-নারী-অসহায় মানুষের ক্রন্দনরোল দ্যুলোক-ভুলোককে করেছিল কম্পমান; একই ভাবে দেশে যখন চরম আকার ধারণ করেছিল শাসনের নামে দুঃশ
‘আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম’ (আলে ইমরান ৩/১৯)। যা আমরা প্রাপ্ত হয়েছি মানবতার মুক্তির একমাত্র কান্ডারী বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইয়ে ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে। যিনি দীর্ঘ ২৩ বছরের নবুওতী জীবনে নানা লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ও যুলুম-নির্যাতনের মধ্
পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকের কথা। গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র আমি। ইতিমধ্যে অজ মফঃস্বলেও ভাষা আন্দোলনের ঢেউ লেগেছে। আন্দোলনমুখী আজকের এই মানুষটি আমিও ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায়। মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে কয়েকজন সহপাঠী বন্ধুসহ থানা হাজ
আত-তাহরীক অফিস থেকে ‘আত-তাহরীক-এর সাহিত্যিক মান’ এ বিষয়ের ওপর একটি নিবন্ধ লিখে দেবার পত্রটা যখন এল, তখন একেবারেই বিপন্ন বোধ করলাম। হাতের কাছে রাখা তাহরীকের একটি সংখ্যা চোখের সামনে তুলে ধরলাম। এর প্রথম প্রচ্ছদের ওপরেই লেখা আছে ‘ধর্ম সমাজ ও সাহিত্য বিষ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।কোন মানুষের ওপর নির্যাতন, অমানবিক যন্ত্রণ
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাই। আমরা নিজেদের আত্মার কুমন্ত্রণা এবং অশুভ কর্ম হ’তে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়াত দান করেন, তাকে বিভ্রা
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার এবং একে অাঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ এমন কাজ না করে, যা তাকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। এ ব্যাপারে দাওয়াত দেওয়ার জন্যই আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা‘
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মন
পরাক্রমশালীর আভিধানিক অর্থ-পরাক্রান্ত, প্রবল প্ররাক্রান্ত, শক্তিমান, বলশালী, বীর্যবান, প্রতাপশালী প্রভৃতি। আল্লাহ পরাক্রমশালী এর অর্থ স্বতন্ত্র। কারণ ফেরাউন, নমরূদ, আবরাহার মত সীমালংঘনকারীদেরকে প্রতাপশালী বলা হ’লেও আল্লাহর ক্ষমতার কাছে এরা কি
বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। তিনি মাত্র ২৩ বছরের প্রচেষ্টায় আরবের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। তৎকালীন পৃথিবীর মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিল সমাজ পরিবর্তনের এই দৃশ্য। বহু দোষে দুষ্ট মানুষগুলিকে মুহূর্
আপনি এমন সম্প্রদায়ের ব্যাপারে আশ্চার্যান্বিত হবেন, যারা রাসূল (ছাঃ)-এর নিম্নোক্ত বাণী সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। إِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكٌلَّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ ‘ধর্মের নামে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।যে সকল মালের যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য এক বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত নয় :যাকাত ফরয হওয়ার জন্য যেসব মালে পূর্ণ এক বছর মালিকানার শর্তারোপ করা হয়েছ
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মানুষ পরস্পর একতাবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বাড়ীর পাশাপাশি বসবাসকারী আত্মীয় বা অনাত্মীয় লোকজনই প্রতিবেশী। মানুষের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে এরাই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসে এবং সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করে। কাজেই এই প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ
আমাদের দেশে মৌলবাদের উত্থান হচ্ছে বলে একদল প্রগতিশীল ব্যক্তি শংকিত। এই প্রগতিশীলেরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। ইসলাম এদের কাছে অপসন্দের। এরা ইসলামে ধর্মান্ধতা এবং সন্ত্রাস দেখতে পায়। তাই এরা সর্বদা ইসলামের অনুসারী নিষ্ঠাবান মুসলমানদের প্রতি অসন্তুষ্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।১. العلم إن طلبته كثير والعمر عن تحصيله قصير فقدمِ الأهم منه فالأهم ‘জ্ঞানার্জনের বিষয়বস্ত্ত অসীম। কিন্তু মানুষের বয়স সসীম। তাই জ্ঞানার্জনের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেই অগ্রাধিকার দাও’।২. الحق
ভূমিকা :পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সকল জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হ’তে’ (আম্বিয়া ২১/৩০)। জীব বিজ্
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।সকল মানুষের সকল স্থানে আইনের আশ্রয় পাবার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।গৃহপালিত পশুর যাকাতবিভিন্ন প্রকার পশুর মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা কেবলমাত্র بهيمة الأنعام তথা উট, গরু ও ছাগলের যাকাত ফরয করেছেন। মহিষ গরুর অন্
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন তৎপরতা সবসময়ই চলছে। কারণ শিক্ষা গতিশীল। তাই একে যুগোপযোগী করার নিরন্তর প্রচেষ্টাই কাম্য। সেই সাথে সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যও আছে। তবে শিক্ষা সমন্বয়ে স্থান, কাল, পাত্র বা অবস্থা মোটেই এড়িয়ে যাবার মত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । আল্লাহ তা‘আলা পাপিষ্ঠ বান্দাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত করে রেখেছেন। যারা অবাধ্য, অস্বীকারকারী, পাপী তাদেরকে জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুনে পুড়তে হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলার বিধান অনুযায়ী তার নির্দেশিত পথে চললে জাহান্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।২৩. আহলেহাদীছ প্রসঙ্গে :(ক) একবার পাকিস্তানের আহলেহাদীছগণ একটি দাওয়াতী সম্মেলনে শায়খ আলবানীকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তিনি তাতে অংশগ্রহণে আগ্রহী হ’লেন না। তখন তারা তাঁর ছাত্র শায়খ হাশেমীকে অনুর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।স্বর্ণ ও রৌপ্যের যাকাতস্বর্ণ ও রৌপ্য খনিজ সম্পদের অন্যতম। এ সম্পদের অপ্রতুলতা ও শ্রেষ্ঠত্বের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই বহু জাতি এ দু’টি ধা
ভূমিকা : ছিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার মাধ্যমে তাক্বওয়া অর্জিত হয়, আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নৈকট্য হাছিল হয়, জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ ও জান্নাত লাভ হয়। তাই সঠিকভাবে ছিয়াম পালন করা যরূরী। ছিয়ামের অনেক আদব রয়েছে, যার প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রত্যেক ছায়ে
ভূমিকা :একটি সমাজে নানাধরনের মানুষের বসবাস। কেউ অর্থ-বিত্তের মালিক, কেউ অসহায়-নিঃস্ব, কেউ মালিক, কেউ শ্রমিক, কেউ অনাথ-ইয়াতীম প্রভৃতি। এসবই মহান আল্লাহ তা‘আলার ব্যবস্থাপনা। কেননা সকলেই যদি মালিক হন, তাহ’লে মালিকের প্রয়োজনে শ্রমিক পাওয়া যাবে কোথায়? আবা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি কারো উপর যুলুম করেন না। পৃথিবীতে মানুষের কর্মকান্ডের উপরে ভিত্তি করেই তার পরকালীন জীবনের চূড়ান্ত ঠিকানা নির্ধারিত হবে। আল্লাহ মানুষের মধ্যে ফায়ছালা করবে
পর্ব ১। পর্ব ২। শেষ পর্ব ।জঙ্গীবাদী ও চরমপন্থীদের উদ্দেশ্যেপ্রথমতঃ কোন বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় প্রবেশের পূর্বে কিছু বিষয় স্মরণ রাখা যরূরী। জ্ঞানীগণ বলেন, ما بُني على فاسد فهو فاسد ‘বাতিলের উপর যা প্রতিষ্ঠিত, তা নিজেও বাতিল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।জমিতে উৎপাদিত ফল ও ফসলের যাকাতআল্লাহ তা‘আলা মানুষকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর পৃথিবীকে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।চতুর্থ উপায় :তাক্বওয়া অবলম্বন করাতাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি অবলম্বনের মাধ্যমে মানব
ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎকারীর পরিণতি :ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎকারীর শাস্তি অত্যন্ত মর্মান্তিক। দুনিয়াতে ক্ষমতার দাপটে ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা সম্ভব হ’লেও পরকালে ঐ ব্যক্তির বাঁচার কোন উপায় থাকবে না। অন্যান্য পাপীদের ন্যায় সেও বাম হাতে আমলনামা পেয়ে সেদিন
পর্ব ১। শেষ পর্ব। বিতর্ক ও ঝগড়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মুমিনের ইসলামী জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান অন্বেষণ ও গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করে এবং বিতর্ক ও ঝগড়া করতে নিষেধ করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে, ছাহাবী-তাবেঈগণের যুগ
পর্ব ১। শেষ পর্ব। চতুর্থ অভিযান :কন্সটান্টিনোপল বিজয়ের তৃতীয় অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাতশ’ বছর মুসলমানরা এ প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে। যদিও ওছমানীয় সুলতান বায়েজীদ এ ব্যাপারে কিছু প্রচেষ্টা চালান। তবে তা ব্যর্থ হয়।অতঃপর ১৬ই মুহ
ভূমিকা :মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম একটি বড় মাধ্যম হ’ল দান-ছাদাক্বাহ। এই আর্থিক ইবাদতের একটি আত্মিক রূপ আছে, যা অন্যের মনস্পটে আবেগ-অনুভূতি সঞ্চারের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তাই ছাদাক্বাহ কেবল সম্পদ বিসর্জন বা অন্যকে খাদ্য খাওয়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মসজিদে বৈধ কাজসমূহ :মসজিদ আল্লাহর ঘর, যেখানে মুসলমানগণ প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেন, রামাযান মাসের শেষ দশকে ই‘তিক
[দিনাজপুরের কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. আফতাব আহমদ রহমানী (১৯২৬-১৯৮৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগ (১৯৬২) এবং আরবী বিভাগের (১৯৭৮) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘তর্জুম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের উপায় :জাহান্নামের আযাবের ভয়াবহতা, লেলিহান আগুনের তীব্রতা ও প্রখরতা অত্যন্ত কঠিন। এজন্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা একটি খেজুর দান করে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।৮ম উপায় : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অনুসরণরাসূল (ছাঃ)-এর অনুসরণেই সকল কল্যাণ নিহিত।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।যাকাতুল ফিতরআল্লাহ তা‘আলা সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য আনন্দ ও খুশির দিন হিসাবে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা নামক দু’টি দিন নির্ধারণ করেছেন। ঈদুল ফ
(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’।[1] কু
(১) ‘মীক্বাত’ থেকে ইহরাম বেঁধে সরবে ‘তালবিয়াহ’ পড়তে পড়তে কা‘বা গৃহে পৌঁছবেন।(২) ‘হাজারে আসওয়াদ’ হ’তে ত্বাওয়াফ শুরু করে পুনরায় হাজারে আসওয়াদে এসে এক তাওয়াফ, এভাবে সাত ত্বাওয়াফ সমাপ্ত করবেন এবং ‘রুক্নে ইয়ামানী’ ও ‘হাজারে আসওয়াদ’-এর মধ্যে ‘রববানা
প্রারম্ভিকা :একটি বিশেষ সময়সীমায় নিবদ্ধ আমাদের এ জীবন। জীবন রেখাটি একদিন বিলীন হবে মৃত্যুর পরিসমাপ্তি বিন্দুতে। এরপর অপেক্ষা পরকালের অনন্ত জীবনের। সেখানে আর মৃত্যু নেই। কিন্তু সব জীবন তো আর সফল হয় না। মৃত্যুর পর যে জীবন পরকালের অনাবিল সুখ লাভে ধন্য হ
মানবতার হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হ’লেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে হেদায়াতের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছেন। হাদীছ বা সুন্নাত হচ্ছে কুরআনের নির্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।১২তম উপায় : হক্বের উপর অটল থাকাকুরআন ও ছহীহ হাদীছ জানার সাথে সাথে তার প্রতি আম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মন
ফযীলত :১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম অর্থাৎ
প্রাথমিক কথা :পৃথিবীতে যেকোন বস্ত্তর একটা সুনির্দিষ্ট উৎস রয়েছে। এগুলো সৃষ্টির অন্তরালে মহান স্রষ্টার সদিচ্ছা ও সদুদ্দেশ্য বিরাজমান। অতঃপর এগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় নিঃসন্দেহে তাঁর একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত। তিনি সবকিছুর অধিপতি, বাদশাহ, রাজা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।ইবাদত সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি(ক) অহি-র বিধানের অনুসরণই আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের একমাত্র
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।১৫. ইলম অর্জন করা :দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা সবার জন্য আবশ্যক। দুনিয়াতে চলার জন্
পূর্বোক্ত ঘটনাবলীসহ নানা উপদেশমালা পবিত্র কুরআনের বিশাল কলেবরে স্থান পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পবিত্র কুরআন বিশ্ব মানবতার একমাত্র সংবিধান। এক আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাসীদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ আকাঙ্ক্ষার বস্ত্ত। আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে নবী-
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights) :Articl
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।সুন্নাতের পরিচয়সুন্নাতের আভিধানিক অর্থ : السنة (সুন্নাত) শব্দটি আরবী, একবচন। বহুবচনে السنن (সুনান)
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।১৯. আল্লাহর উপর ভরসা করা :মুমিন ব্যক্তি সৎ আমলের মাধ্যমে পরকালে সুখময় জান্নাতে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানুষ একে অপরের সাথে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িত। মানুষের মাঝের এই সম্পর্কের নাম হচ্ছে ‘আত্মীয়তা’। পরস্পরের সাথে জড়িত মানুষ হচ্ছে একে অপরের ‘আত্মীয়’। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বতোভাবে জড়িত। আ
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে বন্দী করা ব
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বা complete code of life. মানব জাতির জন্য প্রয়োজন এমন কোন বিষয় নেই যার বিবরণ ও সুষ্ঠু সমাধান ইসলামে নেই। ইসলাম মানব সমাজকে যা দিয়েছে, অন্য কোন ধর্ম তা দিতে অধ্যাবধি সক্ষম হয়নি। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনেও ইসলামের
উপক্রমণিকা :ইসলাম একটি শাশ্বত ও সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। জীবনের প্রতিটি স্তরে রয়েছে এর কল্যাণমুখী দিকনির্দেশনা। বিশ্বজাহানের মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাববুল আলামীনের বিধানাবলী জানা এবং তদনুযায়ী আমল করার অন্যতম মাধ্যম হ’ল শিক্ষা। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।বিদ‘আতের উৎপত্তিশায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, ‘ইলম ও ইবাদত বিষয়ক সর্বপ্রকার বিদ‘আত খুলাফায়
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার ফযীলত :আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার ফযীলত বহুবিধ। তন্মধ্যে কতিপয় দিক এখানে উল্লেখ করা হ’ল।-১. আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমানের পরিচায়ক :আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ঈম
[বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) ইলমে হাদীছে অপরিসীম অবদান রাখার পাশাপাশি বিশুদ্ধ ইসলামের আলোকে মুসলিম জাতিকে সঠিক পথের দিশা দানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর প্রদান করেছেন। এলাহী জ্
ইসলাম একটি সার্বজনীন পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এতে কোন কিছু সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ নেই। এটা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় পূর্ণতা লাভ করেছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলাম পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেছে। সাথে সাথে তাবীয জাতীয় জিনিস ব্যবহার নিষেধ করেছে
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধ
একজন মুসলমান বিশ্বাস করে তার তাকদীরকে। আর নিশ্চিতভাবে এটাও তাকে বিশ্বাস করতেই হয় যে, এই তাকদীর বা ভাগ্যের বন্টক ও নিয়ন্ত্রক মহান আল্লাহ তা‘আলাই। এই তাকদীরের বিষয়ে কোন রদবদল, কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, কিঞ্চিৎ সংশোধন কিংবা অন্যভাবে কিছু এদিক ওদিক
বর্তমান পৃথিবীতে যত জটিল ও মারাত্মক সমস্যা রয়েছে, তন্মধ্যে মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তি হ’ল সবকিছুর শীর্ষে। যুদ্ধবিগ্রহের চেয়েও এটা ভয়ংকর। কারণ কোন যুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতি-গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে চাইলেও একেবারে তা নির্মূল করা সম্ভব নয়; যা কিনা মাদকতার মাধ্য
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পেশ করে আক্বীদা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই। ইহা এমন এক ভিত্তি, যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সার্বিক জীবন পরিচালনা
(৮) মোহরানা নির্ধারণ : বিবাহের আগে মোহরানা নির্ধারণ করা এবং বিবাহের পর তা স্ত্রীকে দিয়ে দেওয়া ফরয। আল্লাহ বলেন, وَآتُوا النَّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা খুশী মনে প্রদান কর’ (নিসা ৪/৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, فَآتُوْهُنّ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অর্থ :আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট ও ছিন্ন হওয়ার অর্থ ও তাৎপর্য হচ্ছে জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর সাথে দুর্ব্যবহার করা, তাদের প্রতি অনুগ্রহ, অনুকম্পা পরিহার করা, পূর্ববর্তী আত্মীয়দ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।শারঈ মানদন্ডে বিদ‘আতে হাসানাহ্ ও সায়্যিআহ্যারা বিদ‘আতকে হাসানাহ্ ও সায়্যিআহ্ তথা ভাল ও মন্দ শ
পর্ব ১। শেষ পর্ব। ভূমিকা : মধ্যযুগ অবধি রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কন্সটান্টিনোপলকে বলা হ’ত পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত নগরী। শত শত বছর ধরে একের পর এক আক্রমণের পরেও এই নগরী টিকে ছিল সগৌরবে। রাসূল (ছাঃ) এই নগরীর ব্যাপারে খুব কৌতুহলী ছিলেন। এই শহর বিজয়
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মসজিদে অবস্থানের ফযীলত :মসজিদ পবিত্র স্থান, যেখানে আল্লাহর ইবাদত করা হয়। মসজিদে ইবাদতের আগে ও পরে অবস্থান করার মধ্যেও বান
ভূমিকা :শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ব্যাপারে ইসলাম মানুষকে জোর তাকীদ দিয়েছে। অসুস্থ হ’লে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি নিজে অসুস্থ হ’লেও চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। আর চিকিৎসার জন্য স্বভাবতই ডাক্তারদের শরণাপন্ন হ’ত
মানুষ অসুস্থ হ’লে অনেক সময় ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি অনেকে পানাহার ছেড়ে দেয়; নিজের তাক্বদীরের প্রতি দোষারোপ করে। কিন্তু এগুলি কোন মুমিনের কাজ নয়। বরং এ অবস্থায় ধৈর্যধারণ করে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করা এবং সাধ্যমত চিকিৎসা করানো কর্তব্য। এ প্রবন্ধে রো
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদে গমনের আদবসমূহ :ইতিপূর্বে আমরা মসজিদে গমনের অনেক ফযীলত উল্লেখ করেছি। উক্ত ফযীলতগুলো লাভের জন্য মসজিদে গমনের আ
‘যে দেউটি নিভে গেছে, তারই জ্বালা শত দীপশিখাজ্বলেছে যে ঘরে ঘরে।....জ্ঞানের সাধক তার মহৎ জীবনেগভীর সাধনালব্ধ সুচিন্তিত ধ্যানেযা কিছু পেয়েছে তারে ভরিয়া অঞ্জলীছড়ায়ে দিয়েছে। সত্য প্রকাশে কেবলিপ্রয়াস পেয়েছে বার বার,স্রষ্টার অমৃতবাণী করেছে প্রচারযুগে যুগে য
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
ভূমিকা : মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর পৃথিবী হচ্ছে কষ্ট-ক্লেশের স্থান। কষ্টের অন্যতম দিক হ’ল রোগ-ব্যাধি। মানব জীবনে রোগ-শোক নিত্যকার ঘটনা। রোগ এমন এক ভয়াবহ জিনিস, যাতে আক্রান্ত হয়ে অহংকারী ব্যক্তিও শক্তিহীন হয়ে পড়ে। এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদ নির্মাণের ফযীলত : ইসলামে মসজিদ নির্মাণের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন- (১) মসজিদ নির্মাণ নবীদের কাজ : নবী
জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করা এবং সম্পদ ভোগ করার অনুমতি ও নির্দেশ প্রত্যেক ধর্ম ও সভ্যতায় রয়েছে। কিন্তু অন্য কোন ধর্ম বা সভ্যতায় ইসলামের মত আয়-ব্যয়কে নিয়ম-নীতির ফ্রেমে আবদ্ধ করা হয়নি। ইসলাম একদিকে যেমন হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জনের নির্দেশ
পর্ব ১ । পর্ব ২।পাঁচ. কুরআন তেলাওয়াত : সাধারণভাবে কুরআন তেলাওয়াতের ছওয়াব মৃতের জন্য বখশানো যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পূর্বে তাঁর একাধিক স্ত্রী ও ছয় সন্তান মৃত্
ভারতীয় ‘গুন্ডে’ ছবি নিয়ে বাংলাদেশের একশ্রেণীর পত্রপত্রিকায় ঘোর প্রতিবাদ চলছিল। আরেক শ্রেণীর পত্রপত্রিকা এই ব্যাপারে মোটামুটি খামোশ মেরে ছিল। ওরা হয়তো সরকারের খয়ের খাঁ। তখনই কথা উঠেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী আসলে কোন বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেছ
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ (ليلة البراءة) বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফারসী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভাগ্য
‘মি‘রাজ’ সংঘটিত হয়েছিল রজব মাসে। মি‘রাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) ছাড়া অন্য কোন নবী এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বশ্রেষ্
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না (বাক্বারাহ ২/২৮৫)। মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা রাসূলদের মাঝে কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না। তিনি আরো বলেন, যে বলে আমি ইউনুস বিন মাত্তা চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সে মিথ্যুক- ইত্যাদি
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।ন্যায় বিচার প্রসঙ্গArticle-10 : Every one
শিক্ষার্থী মূল্যায়ন :শিক্ষার্থী মূল্যায়ন অনুচ্ছেদের ২য় ও ৩য় লাইনে বলা হয়েছে, ‘পঞ্চম শ্রেণী শেষে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে’। ইতিমধ্যে এ পদ্ধতি চালু হয়ে গেছে। বাস্তবে দেখা গেছে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ বিষয় আরবী ও ধর্
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।যোগাযোগ, গোপনীয়তা, সম্মান ও সুনাম রক্ষার
মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল নন মর্মে পেশকৃত দলীল সমূহের সঠিক ব্যাখ্যা১. মহান আল্লাহ বলেন, لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ ‘আমরা রাসূলগণের মাঝে পার্থক্য করি না’ (বাক্বারাহ ২/১৩৬)। যারা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল বলতে চান না তাদের
ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদান করা হ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।পঞ্চম দলীল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় কুরআন লিপিবদ্ধ ছিল না। ছাহাবায়ে কেরাম তাঁর মৃত্যুর পরে ক
[মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক ভাট্টি (জন্ম : ১৫ই মার্চ ১৯২৫) পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আহলেহাদীছ আলেম, লেখক ও আহলেহাদীছ ঐতিহ্যের শেকড়সন্ধানী গবেষক। এই কলমসৈনিক আহলেহাদীছ মনীষীদের জীবনী ও আহলেহাদীছ ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অবিরাম লিখে চলেছেন। সমকালীন ভারতীয়
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা
শুনতে খটকা লাগলেও সত্যি জমিদার রবীন্দ্রনাথও জীবনের কোন এক সময়ে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন, টাকার প্রয়োজনে হাত পেতেছেন অন্যের কাছে। মহৎ কিছু কাজ সম্পাদন করতেই তার এই দুরবস্থা।অন্য জমিদাররা যেখানে লক্ষ মুখ দিয়ে অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুষে পান করছে- সেখানে দর
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। পর্ব ১০। পর্ব ১১। পর্ব ১২। পর্ব ১৩। পর্ব ১৪। পর্ব ১৫। পর্ব ১৬।চলাফেরা ও বসবাসের অধিকারArticle-13 : 1.
মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়। বাক্যটির অর্থ খুব কঠিন নয়, তাই বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় বাক্যটির অর্থ মোটেও সহজ নয়, বরং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। ভুল অর্থে আমরা সাধারণত ভ্রম, ভ্রান্তি, বিস্মৃতি, মনে না থাকা প
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।প্রচলিত বিদ‘আত সমূহইসলাম মানব জাতির জন্য আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। যার প্রত্যে
পূর্ববর্তী পৃষ্ঠাসমূহে (প্রবন্ধে) কুরআন মাজীদের অনুবাদ ও তাফসীরে ভারতীয় উপমহাদেশের আহলেহাদীছ আলেমগণের অগ্রণী ভূমিকার কথা সংক্ষিপ্তাকারে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন হাদীছে তাঁদের অগ্রণী ভূমিকার কথা আলোচনা করছি। তবে তার পূর্বে কিছু যরূরী কথা লক্ষণীয়।উপ
সন্তান জন্ম দেয়া সহজ। কিন্তু সফল ও যোগ্য পিতা-মাতা হওয়া কঠিন। সন্তান মানুষ করা আরও কঠিন। পিতা-মাতার কাছে সন্তান অমূল্য সম্পদ। তাদের ঘিরেই থাকে সব স্বপ্ন। অথচ সফল পিতা-মাতা কি করে হ’তে হয় অধিকাংশ মানুষই তা জানেন না বা জানলেও অনুসরণ করেন না। ফল
সূচনা :কুরআন মাজীদের আয়াত ও হাদীছে নববী দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, মানুষের ইবাদত ও সৎ আমল কবুল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে ঈমান-আক্বীদা বিশুদ্ধ হওয়া। আর তা হচ্ছে শিরক মুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদ ভিত্তিক আক্বীদা হওয়া। নানা কারণে অনেক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ঈমান ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ঈমান ব্যতীত মানুষ তার কোন সৎ আমলের প্রতিদান পরকালে লাভ করতে পারবে না। আবার ঈমানহীন মানুষ জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে চিরকাল। তাই ঈমানকে ইসলামের ম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।মীলাদপন্থীদের দলীলের জবাবপ্রচলিত প্রত্যেকটি বিদ‘আতের পিছনেই কিছু না কিছু দলীল লক্ষ্য করা যায়। অথচ যাচা
মাওলানা শামসুল হক আযীমাবাদী :ভারতের বিহার প্রদেশে অসংখ্য আলেম জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা পাঠদান ও গ্রন্থ রচনায় অপরিসীম খিদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক বিশাল ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা শামসুল হক আযীমাবাদী।[1] তিনি ১২৭৩ হিজরীর ২৭শে যিলকদ (১৮৫
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধির প্রমাণে হাদীছে নববী (ছাঃ) :ঈমান বাড়ে ও কমে এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বহু প্রমাণ রয়েছে। ইতিপূর্বে আমরা কুরআনের দলীলগুল
ভূমিকা : হজ্জ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। যা সামর্থ্যবান সকল মুসলমানের উপর ফরয। এটা এমন একটি ইবাদত যা মুমিনকে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছিয়ে দেয় এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী মহাজাতিতে পরিণত হ’তে উদ্বুদ্ধ করে। আ
শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর :এখন সিন্ধু প্রদেশের দিকে আসুন! শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী- যাকে শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর বলা হয়- যিনি কুরআন, হাদীছ ও ফিকহে গভীর পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। এই মৌলিক জ্ঞান সমূহের অসংখ্য প্রাচীন গ্রন্থের তিনি হাশিয়া ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদের ফযীলত :ইসলামী শরী‘আতে মসজিদের অনেক ফযীলত রয়েছে। এসব ফযীলতেও রয়েছে ভিন্নতা। কোন কোন মসজিদকে ফযীলতের দিক
(১) মীরজাফর : ৮০ বছর বয়সে তাকে নবাব করা হয়। তাকে ‘ক্লাইভের গাধা’ বলা হ’ত। দুর্নীতির দায়ে ২ বছর পর বহিষ্কার করা হয় এবং তার জামাতা মীর কাশিমকে নবাব করা হয়। ২ বছর পর মীর কাশিমকে সরিয়ে মীরজাফরকে পুনরায় নবাব করা হয়। ২ বছর পর আবার হটানো হয় এবং ইংরে
রবার্ট ক্লাইভ (১৭২৫-১৭৭৪ খ্রি.) ১৭৫৭ সালে ২৩শে জুন বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মধ্যে সংঘটিত পলাশী যুদ্ধে বিজয়ী ইংরেজ সেনাপতি। উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম স্থপতি। আয়ারল্যান্ডের একটি মাঝারি জমিদার পরিবারের সন্তান
পলাশী বাংলার ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ বিষাদময় ঘটনার সাক্ষী। ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীতে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে, তার মধ্য দিয়ে বাংলার সাড়ে পাঁচশ’ বছরের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। বিপন্ন হয় রাষ্ট্রীয় সত্তা। কিছু সংখ্যক নিকৃষ্ট বিশ্বাসঘাতক, সুযো
আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির উপর শাস্তি কিংবা পরীক্ষাস্বরূপ নানারূপ মহামারী প্রেরণ করেন। আর এই মহামারী কখনও সৎকর্মশীল বান্দাদের উপরও নেমে আসতে পারে।[1] এতে মুমিনদের জন্য যেমন শিক্ষা রয়েছে, তেমনি আত্মসংশোধনেরও সুযোগ রয়েছে।[2] তাছাড়া এটি মুমিনদের জন্য রহমতও
ইমাম গাযালী একজন রক্ষণশীল, যুক্তিবাদী, খিলাফতপন্থী ছিলেন এবং বাস্তবতামুখী জীবনধারা ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন। তাঁর ‘মা‘আরিজুল কুদস’ নামক গ্রন্থে ইমাম গাযালী বলেন, ‘পারস্পরিক সহানুভূতি ও সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের বেঁচে থ
(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ঈমান বৃদ্ধির উপায় সমূহ :(১) মানব জীবনে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা : তাওহীদ তিন প্রকার। যথা- (ক) তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ (খ) তাওহীদে উলূহিয়্যাহ (গ) তাওহীদে আসমা ওয়াছ
ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা বার মাসের মধ্যে মুহাররম, রজব, যুলক্বা‘দাহ ও যুলহিজ্জাহ এই চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। এই মাসগুলো ‘হারাম’ বা সম্মানিত মাস হিসাবে পরিগণিত। ঝগড়া-বিবাদ, লড়াই, খুন-খারাবী ইত্যাদি অন্যায়-অপকর্ম হ’তে দূরে থেকে এর মর্যাদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, আর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর বংশধর ও তাঁর ছাহাবীদের সকলের উপর। অতঃপর খেয়াল-খুশির অনুসরণ ভাল
‘মুনাযারা’ অর্থ কোন বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করা। চাই সেটি ধর্মীয়, রাজনৈতিক বা অন্য কোন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হোক। মানুষ যখন অস্তিত্ব লাভ করে এবং জ্ঞান-বুদ্ধির সাথে পরিচিত হয়, তখন থেকেই মুনাযারা ও পারস্পরিক বাদানুবাদের সূচনা হয়ে গিয়েছিল। ধর্মীয় বি
নিয়মের রাজত্ব এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর। এ রাজত্বের আয়তন ও সীমা তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। তবে আমরা তাঁর দৃশ্য ও অদৃশ্য, জানা ও অজানা জগতের কথা অবগত হয়ে অনুমান করে থাকি, তিনি অসীম রাজত্বের মালিক। তাঁর কোন শরীক বা অংশীদার নেই। এমনকি তাঁর স্ত্রী, পুত
ভূমিকা : ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে আজকের সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ারমূকের ময়দানে মুসলিম ও খ্রিষ্টান বাহিনীর মধ্যে ছয়দিনের এক সিদ্ধান্তকারী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। যাতে মুসলিম বাহিনী ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করে। যার ফলে এতদঞ্চল থেকে রোমক শাসনের প
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।(৪) কুরআনুল কারীম অর্থ বুঝে পড়া এবং সে অনুযায়ী আমল করা : ঈমান বৃদ্ধি ও তা সুদৃঢ় করণের অন্যতম উপায় হ’ল অর্থ বুঝে পবিত্র কুরআন পড়া, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।খেয়ালখুশির অনুসরণের ক্ষতি :খেয়ালখুশির ইহকালীন ও পরকালীন বহুবিধ ক্ষতি রয়েছে। যা মানুষকে তার কাংখিত বস্ত্ত লাভে বাধা প্রদান করে এবং আল্লাহর যে নে‘মত সে লাভ করেছে তার কথা বেমালূম ভুলিয়ে দেয়
উপমহাদেশে ইংরেজ শাসনের সময় তাদের ফিতনা-ফাসাদ লালনকারী মেধা যেসব ফিতনা সৃষ্টি করেছে এবং সেগুলো প্রতিপালনে রসদ যুগিয়েছে, তন্মধ্যে এক বিশাল বড় ফিতনা কাদিয়ানী মতবাদ।[1] এই ফিতনাকে দমন করার জন্য যারা সর্বপ্রথম ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তারা ছিলেন আহ
আল্লাহর মহারাজত্বে নিয়মের কোন শেষ নেই এবং তা বর্ণনা করাও সম্ভব নয়। মানুষ মরণশীল, এজন্যে আল্লাহ তা‘আলা ‘মৃত্যু’ নামে একটি বস্ত্ত সৃষ্টি করেছেন। যা পৃথিবীর কোন মানুষই দেখতে পায় না। তবে ইহকাল ও পরকালের মধ্যে যে সুদৃঢ় সীমারেখা রয়েছে, মৃত্যুর মাধ্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।বিভিন্ন সৎ আমলের মাধ্যমে যেমন মানুষের ঈমান বৃদ্ধি পায়, তেমনি নানাবিধ কারণে ঈমান কমে যায়। যেসব কারণে ঈমান কমে যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হ’ল-(১) অজ্ঞতা :
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।খেয়ালখুশির বিরুদ্ধাচরণের উপকারিতা :ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেছেন, أَفْضَلُ الْجِهَادِ جِهَادُ الْهَوَى ‘কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদই সর্বোত্তম জিহাদ’।[1] সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেছেন, أَشْج
এখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উপমহাদেশে আহলেহাদীছগণের অগ্রগণ্য কৃতিত্বের দিকে আসুন!হিজরী ত্রয়োদশ ও ঈসায়ী ঊনবিংশ শতক উপমহাদেশে মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের যুগ ছিল। যে সমস্ত ব্যক্তি মুসলমানদের এই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা দর্শনে চরমভাবে মর্মাহত ও উদ্ব
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাঃ)-কে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন (ছাফফাত ৩৭/৯, ফাতহ ৪৮/২৮)। তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ
ভূমিকা :বর্তমান ইরাক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এখানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পশ্চিমা হায়েনারা বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে চলেছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। ধ্বংস করে যাচ্ছে হাযার হাযার বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা। কেউ বলছে না মানবতার কথা। সাম্রাজ্যবাদীদের স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :সকল প্রশংসা সমগ্র সৃষ্টির মালিক মহান আল্লাহর। অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর পরিবার-পরিজন এবং তাঁর ছাহাবীগণের উপর।মুনাফিকী একটি মারাত্মক ব্যাধি। এ ব্যাধি মানুষকে ইসলাম
৩. মালদহ বিদ্রোহ মামলা :ভারতের বিভিন্ন এলাকা ও শহরে মুজাহিদগণের প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি ছিল মালদহ। এই কেন্দ্রটি বঙ্গ প্রদেশে ছিল। Our Indian Musalmans গ্রন্থের ইংরেজ লেখক ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ১৮৭০ সালের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে (উর্দূ
ব্রেলভীদের স্বতন্ত্র কিছু আক্বীদা-বিশ্বাস[1] রয়েছে যেগুলো তাদেরকে সাধারণতঃ ভারতীয় উপমহাদেশের হানাফী মাযহাবের অনুসারী অন্যান্য ফিরক্বা বা দল থেকে আলাদা করে রেখেছে। তাদের অনেক আক্বীদা শী‘আদের মতো। এটা বলা অযৌক্তিক হবে না যে, ব্রেলভী মতবাদ আ
ভূমিকা :পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া যে সকল ঘটনা ইতিহাসের মোড় পরিবর্তন করেছে, মুসলমানদের মাদায়েন বিজয় তন্মধ্যে অন্যতম। এ বিজয়ের মাধ্যমে সমগ্র ইরাক অঞ্চলের উপর মুসলমানদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পারস্য ও রোম বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।১০. আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি এবং ইবাদতে অলসতা :আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদের এ আচরণ সম্পর্কে বলেন, إِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ يُخَادِعُوْنَ اللهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوْا إِلَى الصَّلاَةِ
ভূমিকা :ইসলাম শান্তির ধর্ম। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের আগমন। যারা ইসলামী শরী‘আত ভিত্তিক জীবন পরিচালনা করতে চায়, তারা মানুষের জীবন শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে পরিচালিত হউক এটাই চায়। আরবের পথহারা মানুষগুলো যখন ইসলামের ছায়াতলে আগমন করল
ভূমিকা :মানুষ সৃষ্টির সেরা। অনেক ক্ষমতার দাপট তার। অন্যান্য প্রাণীসহ নিজ জাতির দুর্বল অংশের উপরও সে খবরদারী করে। গোটা পৃথিবী যেন তার হাতের মুঠোয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে পৃথিবীতে সে এখন সুখের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। অপরদিকে পৃথিবীক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।২৬. মুমিনদের ক্ষয়ক্ষতিতে উল্লসিত হওয়া :মুমিনদের যে কোন ক্ষয়ক্ষতিতে উল্লসিত হওয়া মুনাফিকদের খুবই নীচ স্বভাব। তারা মুমিনদের শত্রু ভাবে বলেই এমনটা হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ
ভূমিকা :পার্থিব দৃষ্টিকোণে সহায়-সম্পদ মর্যাদার কারণ হ’লেও আখেরাতের বিচারে তা মর্যাদার বিষয় নয়। জান্নাত পিয়াসী মুমিন তাই দুনিয়াপূজারী হ’তে পারে না। পার্থিব মোহে সে মোহাচ্ছন্ন হয় না। কেননা মহান আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ার প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকার ন
ভূমিকা : আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহিভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের এক বৈপ্লবিক আন্দোলন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’। সর্বস্তরের মানুষের নিকট ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরার জন্য দেশব্যাপী চারটি পর্যায়ে দাওয়াতী কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে এ সংগঠন। বত্রি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : সাহায্যপ্রাপ্ত দল, নাজাতপ্রাপ্ত ফিরক্বা এবং হক্বের অনুসারীদের বৈশিষ্ট্যগত নাম ‘আহলেহাদীছ’। এরা ঐ সমস্ত মহান ব্যক্তি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সারা জাহানের মালিকের জন্য সকল প্রশংসা। দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক নবী আল-আমীনের উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও ছাহাবীদের সকলের উপর। অতঃপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মোহ আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে মানুষের আন্তরিকতা
হিজামা (حِجَامَة) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়।
বিনয় ও নম্রতা মানুষের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বিনয় মানুষকে উচ্চাসনে সমাসীন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করতে সহায়তা করে। বিনয়ীকে মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। যে যত বেশী বিনয়ী ও নম্র হয় সে তত বেশী উন্নতি লাভ করতে পারে। এ পৃথিবীতে যারা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । [২০০৫ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৬ সালের ৮ই জুলাই। ১ বছর ৪ মাস ১৪ দিন]ফেব্রুয়ারী আসলেই কেন যেন মনের কোণে জেগে ওঠে তৌহীদি শিহরণ। জান্নাত পিয়
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।আহলেহাদীছ নামটি কি সঠিক?প্রশ্ন : আমরা কেন আহলেহাদীছ? আমরা কেন মুসলিম নই? কোন
আমরা মুসলিম, আমাদের ধর্মের নাম ইসলাম। আর ইসলামই পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। সকলের মধ্যেই ধর্মীয় অনুভূতি কমবেশী বিদ্যমান। তারা তাদের জীবন চলার পথে বিভিন্ন বিষয়ে ইমাম ছাহেবের শরণাপন্ন হয়। সাথে সাথে ইমাম ছাহেবের কথাক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ক্ষমতা প্রকাশের ক্ষেত্র (مظاهر حب الرئاسة) :শাসন ক্ষমতা যাহির করার নানাক্ষেত্র রয়েছে। তন্মধ্যে নিম্নোক্তগুলো অন্যতম।১. আল্লাহর সার্বভৌম ও সার্বিক ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ কর
কখনও ভাবিনি নিজেকে কোর্ট-কাচারীতে যেতে হবে। ভাবিনি উকিল-মুখতার হ’তে হবে অথবা জজ-ব্যারিস্টার ইত্যাদি! তবে একথা সত্য যে, পরিবার ও সমাজের হিতাকাঙ্ক্ষীদের বড় স্বপ্ন ছিল যে, অমুকের ছেলে অমুক বড় একটা কিছু হবে। কিন্তু না! কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।[২০০৫ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৬ সালের ৮ই জুলাই। ১ বছর ৪ মাস ১৪ দিন]আমীরে জামা‘আতের নওগাঁ জেলখানায় আগমন :২৫শে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ইবাদতগুলোর মধ্যে ছালাত হচ্ছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যা ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্
ভূমিকা :জিহাদ ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া। এটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে ইবাদতকে শয়তান সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। চূড়া বা ছাদ না থাকলে যেমন কোন ঘরে আশ্রয় নেওয়া যায় না। তেমনি জিহাদ বিহীন ইসলামের মাধ্যমেও সফলতার আশা করা যায় না। কেননা দ্বীনের বিজ
সূচনা : করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু। প্রশংসার মালিক কেবলই তিনি। অনুকম্পা ও শান্তি বর্ষিত হোক তার রাসূল, মানবজাতির মহান শিক্ষক মুহাম্মাদ (ছাঃ) এবং তাঁর পরিবার ও ছাহাবীদের উপর। শিক্ষকতাকে একটি মহৎ ও মানবিক পেশা হিসাবে গণ্য করা হ’লেও শিক্ষণ-
ওযূ হচ্ছে পবিত্র পানি দ্বারা বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। যার মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গের পাপ সমূহ মুছে যায়। ছালাত আদায়ের জন্য ওযূ হচ্ছে শর্ত। ওযূ ব্যতীত ছালাত কবুল হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ،
পর্ব ১।(মার্চ’২০ সংখ্যার পর)৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাওয়াত :কোন জাতি বা গোষ্ঠীকে সুষ্ঠু-সুন্দর ও ন্যায়নিষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ফরাসী দার্শনিক ভলতেয়ার (Voltaire)-এর ভাষায় Education is the backbone of a nation ‘শিক্ষা জাতির
(১) ‘আন্দোলন’-এর একজন যেলা সেক্রেটারীকে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের জনৈক বিভাগীয় কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে ডাক দিলেন। সেক্রেটারী নিজেও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তিনি গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন। অতঃপর ‘সংগঠন’ সম্পর্কে বহু কথা জিজ্ঞেস করলেন। নিঃশঙ্কচিত্তে ত
ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদ
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ (ليلة البراءة) বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফারসী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘
২০০৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারীতে চার দলীয় জোট সরকারের ঐতিহাসিক মিথ্যাচারে আমরা আদৌ বিচলিত ও ভীত ছিলাম না। কারণ আমাদের মনে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ছিল যে, ‘আমরা হকের ওপরে আছি। মহান আল্লাহর ইচ্ছাতেই আমরা ঈমানী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি। যার ফল আমরা পরবর্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।আহলেহাদীছ একটি গুণবাচক নাম ও ইজমা :সালাফে ছালেহীন-এর আছার হ’তে নিম্নে ৫০টি উ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।ভূমিকা :দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাপ্রীতির কারণ (أسباب حب الرئاسة) :পৃথিবীর সকল কাজের পেছনেই কারণ রয়েছে। এটা মহান আল্লাহরই কৌশল ও ব্যবস্থাপনার অংশ। তাই এমন কোন কাজ নেই যার পেছনে কারণ নেই।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।[২০০৫ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৬ সালের ৮ই জুলাই। ১ বছর ৪ মাস ১৪ দিন]২৫ তারিখ ফজর ছালাতের পর কুরআনের দরস দেওয়
ঈদায়নের ছালাত ১ম হিজরী সনে চালু হয়। এটা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুলাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে তা আদায় করেছেন এবং নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এদিন সর্বোত্তম পোষাক পরিধান করতেন ও নিজ স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা ম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকটে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আমাদের হৃদয়ের অনিষ্টতা ও কাজ-কর্মের অপরাধ হ’
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।আহলেহাদীছদের বিরুদ্ধে কতিপয় অভিযোগ ও তার জবাবছহীহ আক্বীদাসম্পন্ন মুহাদ্দিছীন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।(২) توحيد الألوهية أو العبادة (তাওহীদুল উলূহিয়াহ বা তাওহীদুল ইবাদাহ) : এটা হ’ল, إفراد الله عز وجل بالعبادة ‘ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করা’।[1] অ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।৯. মানুষের লক্ষ্য হবে দ্বীনের খেদমত এবং সর্বাবস্থায় সৃষ্টির কল্যাণ সাধন করা :عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَار
আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অকল্পনীয় সত্তা। তাঁর সৌন্দর্যের কোন তুলনা নেই। তাঁর অবয়বের বর্ণনা দেয়ার কোন ক্ষমতা কারো নেই। তাঁকে কেউ কোন দিন দেখেনি। তিনি একমাত্র মহাপবিত্র সত্তা, তাঁর সত্তার সঠিক বা আনুমানিক বর্ণনা দেয়ার কোন অবকাশ নেই। তাঁর সুন্দর সু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।নেতৃবৃন্দের কথা শোনা ও আনুগত্য করা সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছ সমূহ :১৪- عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: صَلَّى
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।[ফিরক্বায়ে মাসঊদিয়াসহ কিছু লোক ও খারেজীরা এই দাবী করতে থাকে যে, আমাদের নাম স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।কোন মানুষকে প্রকৃত ঈমানদার হ’তে হ’লে তিনটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক (একক) বলে বিশ্বাস করতে হবে। (১) তাওহীদুর রুবূবিয়াহ (সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও পরিচালক
ভূমিকা :পোশাক-পরিচ্ছদ মানুষের দেহ সজ্জিত করা এবং সতর আবৃত করার মাধ্যম। ইসলামে পেশাকের গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা লজ্জা নিবারণের পাশাপাশি এটা ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। পোশাকের মাধ্যমে ব্যক্তির প্রকৃতি অনুভব করা যায়। আলোচ্য নিবন্ধে এ ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।[২০০৫ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৬ সালের ৮ই জুলাই। ১ বছর ৪ মাস ১৪ দিন]তিন দিনের রিম্যান্ড শেষে আমরা সিরাজগঞ্জ
এখন থেকে প্রায় ১ হাযার ৩৭০ বছর আগে হাতে লেখা পবিত্র কুরআন শরীফের কয়েকটি পৃষ্ঠা সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআনের এই পৃষ্ঠাগুলো পাওয়া গেছে। বয়স নির্ণয়ের রেডিওকার্বন ডেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা গেছে, উদ্ধার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।জামা‘আতুল মুসলিমীন এবং তাদের ইমামকে অাঁকড়ে ধরবে : ফিরক্বায়ে মাসঊদিয়ার প্রতিষ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।জামা‘আতকে অাঁকড়ে ধরার প্রতি উৎসাহিত করে বর্ণিত হাদীছ সমূহের ফিক্বহী পর্যালোচনা :হাদীছে নববীতে বর্ণিত জামা‘আতের অর্থ : জামা‘আতের শাব্দ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।তৃতীয় প্রকার : توحيد الأسماء والصفات (তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত) তথা আল্লাহর নাম সমূহ ও গুণাবলীর একত্ব : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর ও
পোশাক পরিধান সম্পর্কে কতিপয় আদব :ইসলামে পোশাক পরিধানের কিছু আদব রয়েছে। প্রত্যেক মুমিনকে তা মেনে চলা উচিত। এতে একদিকে যেমন সুন্নাত পালন হবে, অপরদিকে পোশাক পরিধানের জন্য ছওয়াবের অধিকারী হবে। এসব আদবের কতিপয় এখানে উল্লেখ করা হ’ল।-১. ডান দিকে থেকে
মুসলমানদের জন্য বছরে শরী‘আত সম্মত দু’টি ঈদ রয়েছে। তা হ’ল ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা। অনেক মানুষ অজ্ঞতা, অলসতা বা অবহেলা ও উদাসীনতা বশতঃ ঈদে নানা রকম ভুল-ভ্রান্তি করে থাকে। আলোচ্য নিবন্ধে এসব ভুল-ত্রুটি উল্লেখ করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।-১. গোসল না
ফযীলত :১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম
বাস্তবেই আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি, যখন বক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আলেমদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে সত্যবাদী বিশ্বস্ত মুহাম্মাদ (ছাঃ) যে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন, এটা তারই বাস্তবতা। কারণ বর্তমান যুগে আলেম কম ও বক্তা বেশী। স্যা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ক্বিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকা জামা‘আত :যে জামা‘আতকে অাঁকড়ে ধরার নির্দেশ এসেছে সেটি যুগ পরিক্রমায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। জামা‘আতক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।জামা‘আতুল মুসলিমীন দ্বারা কি উদ্দেশ্য?প্রশ্ন : নিবেদন হ’ল যে, ‘জামা‘আতুল মুস
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।আল্লাহর নাম সমূহ ও গুণাবলী প্রসঙ্গে শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-এর অভিমত : তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর কিতাবে নিজেকে যে সকল গুণে গুণান্বিত করেছেন এবং তাঁর প
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।[২০০৫ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৬ সালের ৮ই জুলাই। ১ বছর ৪ মাস ১৪ দিন]আব্দুল মজীদের সাথে নওগাঁ কারাগারে আরো একজ
আল্লাহ তা‘আলা শরী‘আতে এমন কতিপয় আমল বাতলে দিয়েছেন যা সম্পাদন করলে গোনাহ সমূহ মাফ হয়। গোনাহ এমন একটি বিষয়, যা একের পর এক করতে থাকলে মুমিন নারী-পুরুষের ঈমানী নূর নিভে যেতে থাকে। যা এক সময় তাকে জাহান্নামের পথে পরিচালিত করে। আর শয়তান সেটাই চায়। স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।জামা‘আতকে অাঁকড়ে ধরার উপকারিতা এবং তা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অপকারিতা :আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে মুমিনের কোন ন
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِيْ هِيَ أَقْوَمُ ‘নিশ্চয়ই এই কুরআন সেই পথ ও পন্থা নির্দেশ করে, যা সবচেয়ে সরল-সোজা’ (ইসরা ১৭/৯)। কুরআনের দেখানো পথের নাম ইসলাম। ইসলামের প্রচারক মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তিনি ছিলেন আল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।[সালাফে ছালেহীন ও তাক্বলীদ]১১. হারামের উস্তাদ আবুবকর মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম ই
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । [২০০৫ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৬ সালের ৮ই জুলাই। ১ বছর ৪ মাস ১৪ দিন]আমীরে জামা‘আত পরকালের পথ নির্দেশক : ক
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নাবী সালামু আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জ
যখন আমরা কুরআন মাজীদের একটি ভাল অনুবাদ গ্রন্থ খুলি, তখন আমরা সবাই স্পর্শ অনুভব করি। আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি এবং এর অন্তর্ভুক্ত শব্দ ও মর্মার্থের সৌন্দর্যতে বিস্মিত হই। কিন্তু বাস্তবিকভাবে কুরআন যে একটি প্রকৃত মূল্যবান সম্পদ তা আমরা শুধুমাত্র
বর্তমানে আমাদের দেশে অশ্লীলতার সয়লাব চলছে। ফলে নানা রকম মরণব্যাধি মহামারীর আকারে ধেয়ে আসছে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার ফলে অশ্লীলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এ কারণে প্রতিনিয়ত ব্যভিচারের প্রসার ঘটছে এবং মানুষ জটিল সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিবাহ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব । মানবিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, হক ও বাতিল বুঝার দ্বীনী জ্ঞান যদি কোন সমাজের মানুষের মধ্যে না থাকে, তাহ’লে সেটাকে সভ্য সমাজ বলা যায় না। তখন সেটা হয় আর এক মানব নেকড়ের চারণভূমি। নেকড়ের কাছে যেমন
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।জমি জরিপের মূল দায়িত্ব পালন :(১) কর্মক্ষেত্রে সময়মত আসা-যাওয়া এবং উপস্থিত থাকা মূল দায়িত্বের অন্যতম অংশ। এই সময়ের বিপরীতে কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পান। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া দেরিতে উপস্থিতি এবং আগেভা
ইমারতে আহলেহাদীছ ছাদেকপুর, পাটনার আমীর, উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত ছাদিকপুরী পরিবারের কৃতীসন্তান, প্রখ্যাত আলেম মাওলানা সাইয়িদ আব্দুস সামী‘ জা‘ফরী গত ৪ঠা অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত ১০-টা ৪৫ মিনিটে পাটনার শ্রী রাম হাসপাতালে মৃত্যুবর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।অন্যায়কে প্রত্যাখ্যান করা জামা‘আতের অপরিহার্যতাকে নাকচ করে না :পূর্বের আলোচনায় বর্ণিত দলীলসমূহ উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের কাছে সুস্পষ্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । শেষ পর্ব ।[সালাফে ছালেহীন ও তাক্বলীদ]৭৬. ছিক্বাহ লেখক, ইমাম আবু ওছমান সা‘ঈদ বিন মানছূর ব
মুহতারাম আমীরে জামা‘আতকে যেদিন আমাদের থেকে পৃথক করে বগুড়া জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হ’ল, সেদিন থেকেই আমার অন্তরে কি যেন এক অজানা শংকা কাজ করত। জেল জীবনের বয়স প্রায় ষোল মাসের কোঠায়। দু’একটি মামলায় যামিন হচ্ছে আর এমন সময় মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের পৃথকীকরণ আমা
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।৫. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কবরের আযাবের সম্মুখীন হবে :কেউ যদি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা যায় এবং মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সেই ঋণ পরিশোধ না করা হয়, তাহ’লে সে কবরে শাস্তির সম্মুখীন হবে। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব ।নিম্নের বিষয়গুলো পিতা-মাতার পক্ষ থেকে আদায় করলে তা ছাদাক্বা হিসাবে গণ্য হবে(ক) অছিয়ত পূর্ণ করা : পিতা-মাতার অছিয়ত পূর্ণ করলে তারা এর ছওয়াব পাবেন এবং ওয়ারিছরা দায়মুক্ত হবেন। পিতা-মাতার কোন ন্যায়সঙ্গত অছিয়ত থাকলে তা
মহান আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে। সুতরাং মানুষ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, এটা তার জন্য ফরয কর্তব্য। কিন্তু মানুষ বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে, তাঁর অবাধ্য হয়। সে আল্লাহর শাস্তির কথা ভুলে গিয়ে ধরাকে সর
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯।(৩০৬/৩৩) পৃ. ১১৩ চতুর্থ তাকবিরে (হাত না উঠিয়ে)...চতুর্থ তাকবির বলে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে সালাতুল জানাজা শেষ
ছওম বা ছিয়াম : অর্থ বিরত থাকা। শরী‘আতের পরিভাষায় আল্ললাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হ’তে বিরত থাকাকে ‘ছওম’ বা ‘ছিয়াম’ বলা হয়। ২য় হিজরী সনে ছিয়াম ফরয হয়।ছিয়ামের ফাযায়েল : রাসূলুল্ললাহ (ছা
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফার্সী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভাগ্য রজনী’
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ঋণ গ্রহণকারীর আদব ১. সূদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ না করা : সূদের উপর ঋণ গ্রহণ করা এবং সেই সূদী অর্থ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারা
মহান আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। সাথে সাথে মানুষ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, এটা তার জন্য ফরয। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা তাঁর ইবাদতের অন্তর্গত। কিন্তু মানুষ বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে, আল্লাহর অবাধ্য হয়। এ
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।আকাইদ ও ফিকহদাখিল সপ্তম শ্রেণি(২৮২/৯) পৃ. ৬৫ সৃজনশীল প্রশ্ন ...কুরআন হাদিসের গবেষণালব্ধ সমাধা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আর এই সামাজিকতার এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা হচ্ছে কোন মানুষ একা সবসময় নিজের সব প্রয়োজন পূরণে সক্ষম হয় না।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। একে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া মানুষ একদিনও চলতে পারে না। তাই সামাজিক জীবনে পরস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম সমাজকল্যাণমূলক ধর্ম। মানব কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ ইসলামের
যিনি শিক্ষা দান করেন, তিনিই শিক্ষক। কিন্তু সবাই আদর্শ শিক্ষক হন না। একজন আদর্শ শিক্ষকের মাঝে কি কি মৌলিক গুণাবলী থাকা দরকার সেটাই আলোচ্য নিবন্ধে উপস্থাপন করা হ’ল।-আদর্শ শিক্ষকের পরিচয় :শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিত মানুষকে আমরা শিক্ষক বলে জানি। আন
মানুষের ইহকালীন জীবনের আমল সমূহ পরকালে মীযানে (পাল্লায়) ওযন করা হবে। ঐসব আমলের মধ্যে কিছু পাল্লাকে ভারী করবে এবং কিছু হালকা করবে। এগুলো জেনে মুমিন আমল করতে পারলে অল্প আমলই তার নাজাতের কারণ হ’তে পারে। আবার যেসব আমল পাল্লাকে হালকা করবে সেগুলো জেন
পর্ব ১। পর্ব ২।ভূমিকা : পৃথিবীতে আল্লাহর কালেমাকে সমুন্বত করার জন্য দাওয়াতের কোন বিকল্প নেই। নবী-রাসূলগণ সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্ব স্ব কওমের নিকটে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জাহেলী যুগে যুল-মাজায বাযারে গিয়ে
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব । ‘ঈছালে ছওয়াব’ (ايصال ثواب) ফারসী শব্দ। আরবীতে হবে ‘ঈছালুছ ছওয়াব’ (ايصال الثواب)। তবে এক্ষেত্রে আরবীতে অন্য শব্দ বেশী ব্যবহৃত হয়। যেমন ইহ্দাউছ ছওয়াব (إهداء الثواب)। এর আভিধানিক অর্থ হ’ল ছওয়াব পৌঁছানো। পরিভাষায়
[আলহামদুলিল্লাহ। ওয়াছ ছালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদ। গত ৮-১০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে দুবাইয়ে অবস্থিত মসজিদে খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদে ঊর্দূভাষী ভাইদের উদ্দেশ্যে তিন দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ওলামায়ে কেরাম ঊ
ছালাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর উপরেই অন্যান্য ইবাদত কবুল হওয়া বা না হওয়া নির্ভর করে। ছালাত সঠিক হ’লে অন্যান্য সব ইবাদত সঠিক হবে। আর ছালাত বাতিল হ’লে অন্যান্য সব ইবাদত বাতিল হবে। তাই ছালাতকে মানদন্ড বলা যায়। ছালাত সম্পাদনের কতিপয় আদব কুরআন ও
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।বিষয় : আকাইদ ও ফিকহইবতেদায়ি চতুর্থ শ্রেণি(২১০/১১) পৃ. ৩৮ পাঠ-৪ সালাতের ওয়াজ
আমরা লক্ষ্য করি যে, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা, মাদরাসার সিলেবাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীগুলো দ্বীনী জ্ঞান ও শারঈ বিষয়াবলী মুখস্থ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে না। এতে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনে দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে তারা জ্ঞানার্জন, পাঠদান, দাও
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা :যে বাবা-মা একসময়ে নিজে না খেয়ে সন্তানকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন, তারা আজ কোথায়, কেমন আছেন, সেই খবর নেয়ার সময় যার নেই, তার নিজের সন্তানও হয়তো একদিন তার সঙ্গে এমনই আচরণ করবে। বিভিন্ন উৎসবে, যেম
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।আমরাও বিশ্বাস করি যে, তিনি একজন আলেম ফাযেল মানুষ। তবে আমাদের উভয়ের বিশ্বাসের মাঝে পার্থক্য এই যে, আমরা ভুলে যাই না যে, আলেম ফাযেল হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভুলের ঊর্ধ্বে নন। কিন্তু তারা এ সত্যকে ভুলে যান। ফলে তারা তাদের ইমামের
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সে একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। নানা কারণে তাকে অন্যের সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে হয়। সমাজের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক আচার-ব্যবহার সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্যের সাথে চলাফেরা ও আচার-আচরণে তার শিষ্টাচার কেমন হবে, সে বিষয়ে ইসলা
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।(১৫৯/৪) পৃ. ১১৩ একাত্তরের দিনগুলি -জাহানারা ইমাম (জন্ম : মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ ১৯২৯; মৃত্যু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।বৃদ্ধাশ্রম থেকে পিতা-মাতার হৃদয় বিদারক চিঠি :১. পিতার পক্ষ থেকে পুত্রের নিকট :খোকা তুই কেমন আছিস? নিশ্চয়ই ভাল আছিস। আমি জানি এ চিঠি পড়ার মতো সময় তোর হবে না। তবুও বাবার মন, না লিখে পারলাম না। কারণ তুই এখন
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।তাছফিয়াহ (পরিশুদ্ধিতা) ও তারবিয়াহ (পরিচর্যা) :হামদ ও ছানার পর আপনারা সবাই জানেন যে, আজকের দিনে আমাদের মুসলমানদের অবস্থা এতটাই খারাপ ও নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে যে তার থেকে নিচে নামা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মুসলমানের পক্ষে
আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। পরকালীন জীবনে স্থায়ী আবাস নির্ধারিত হয় ইহকালীন জীবনের ইবাদত তথা সৎ আমলের মাধ্যমে। ইবাদতের মধ্যে কুরআন তেলাওয়াত অন্যতম। কুরআন তেলাওয়াতের শিষ্টাচার সম্পর্কে ইসলামে বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। যেগুলি
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।বইয়ের নাম : সাহিত্য কণিকা দাখিল অষ্টম শ্রেণি, ২০১৫ শিক্ষাবর্ষ; বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত।
ভূমিকা :আল্লাহ রাববুল আলামীন যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন মানবজাতিকে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ প্রদর্শনের জন্য। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাধ্যমে যার ধারাবাহিকতা শেষ হয়েছে। অতঃপর যুগের পরম্পরায় নবীগণের উত্তরাধিকার হিসাবে ওল
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।পরস্পরের মাঝে ভালবাসা বৃদ্ধির উপায়বর্তমানে মানুষ স্বীয় স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। নিঃস্বার্থভাবে একমাত্র আল্লাহর জন্য অন্যকে ভালবাসার বিষয়টি অনেকেই ভুলে গেছে। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করা দরকার। তাহ’ল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব । বৃদ্ধ ও আশ্রম শব্দ দু’টি মিলে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। শব্দগতভাবে অর্থ দাঁড়ায় বৃদ্ধনিবাস বা বৃদ্ধের আশ্রয়স্থল। অন্য অর্থে জীবনের শেষ সময়ের আবাসস্থল, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে বৃদ্ধাবস্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।কোত্থেকে মুহাসাবা শুরু করব?আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, প্রথমেই ফরয আমল দিয়ে নিজের হিসাব শুরু করবে। তাতে কোন ত্রুটি বুঝতে পারলে কাযা অথবা সংশোধনের মাধ্যমে তার প্রতিবিধান করবে। তারপর নিষিদ
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।বাংলা : সপ্তম শ্রেণীবইয়ের নাম : সপ্তবর্ণা দাখিল সপ্তম শ্রেণিবোর্ড প্রকাশিত, আগস্ট ২০১৮এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব । [মুহাসাবার ফল]২. হেদায়াত লাভে সমর্থ হওয়া এবং তার উপর অটল থাকা :মুহাসাবার ফলে মানুষ যেমন আল্লাহর দেওয়া সরল পথ লাভ করতে পারে, তেমনি তার উপর অটল থাকতে পারে। কাযী বায়যাভী (রহঃ)
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।পূর্বোক্ত আলোচনায় আমরা দেখেছি যে, উদ্ধৃত ইমামগণ প্রত্যেকেই আহলুল হাদীছকে ‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত’ তথা নাজী ফের্কা অর্থে গ্রহণ ক
পর্ব ১ । শেষ পর্ব । একে অন্যের প্রতি ভালবাসা একটি স্বভাবজাত বিষয়। মানুষ নিজের প্রয়োজনে, ভবিষ্যতে কারো সাহায্য পাওয়ার জন্য, অতীতে কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার কারণে একে অপরকে ভালবেসে থাকে। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার কোন স্বার্
ইসলাম মানুষকে অনন্য শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে নানা নিয়ম-কানূন মেনে চলার জন্য ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে। তেমনি কারো বাড়ীতে বা গৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসলাম অনুমতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِي
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।আমার বাংলা বইইবতেদায়ি দ্বিতীয় শ্রেণিপুনর্মুদ্রণ : আগস্ট ২০১৮(৭৫/৫) পৃ. ২৩বোর্ডে লেখা সংখ্যাগু
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যু
হজ্জ ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম। এটি শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত। আল্লাহ সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর জীবনে একবার হজ্জ ফরয করেছেন। পাশাপাশি হজ্জের মত ফযীলতপূর্ণ এমন কতিপয় আমল ও ইবাদত ইসলামী শরী‘আতে বিধিবদ্ধ করেছেন, যেন অসমর্থ ব্যক্তিরাও সেই আমল সম্প
পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩ | পর্ব ৪ । পর্ব ৫ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত ও আহলুল হাদীছের মধ্যে সম্পর্ক : নিম্নে আমরা কয়েকজন বিশিষ্ট মনীষীর বক্তব্য উদ্ধৃত করব যারা আহলুল হাদীছ বলতে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।মুহাসাবার পদ্ধতিমুহাসাবায় কড়াকড়ি :কৃপণ ও লোভী অংশীদার যেমন তার অন্য অংশীদারদের থেকে নিজের পাওনা কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নেয়, তেমনি করে মানুষ নিজের মনের নিকট থেকে নিজের কথা ও কাজের হিসাব
মুসলমানদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ হ’লে কিভাবে অভিবাদন জানাবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। সেই সাথে কে কাকে সালাম দিবে এবং কখন, কিভাবে সালাম প্রদান করবে এ সম্পর্কিত সবিস্তার আদব বর্ণিত হয়েছে হাদীছে। এগুলি সাধ্যমত মেনে চললে পাস্
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব। আমার বাংলা বইইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণিপূণর্মুদ্রণ : আগস্ট ২০১৮(৫৩) পৃ. ১৫ : ঐশী কিতাব
১. চুল-নখ না কাটা : হযরত উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার, যিনি সৃষ্টিকুলের পালনকর্তা। ছালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর, যিনি নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠ। সেই সঙ্গে ছালাত ও সালাম তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহা
মানুষ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী বা অন্য কারো নিকটে অতিথি হয় ও আতিথ্য গ্রহণ করে। ইসলাম এক্ষেত্রে কিছু আদব পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলি মেনে চলার মাধ্যমে পাস্পরিক সম্পর্ক সুন্দর করা এবং নেকী অর্জনের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলমানের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । (ঙ) আহলুল হাদীছ (أهل الحديث) :শাব্দিক অর্থ : الحديث শব্দটি حَدَث অথবা حُدُوْث মূলধাতু থেকে উৎপন্ন
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব। আকাইদ ও ফিকহ(১৯) ইবতেদায়ী পঞ্চম শ্রেণী, প্রথম অধ্যায়, পৃ. ১০ পাঠ-৬ সুন্নাত ও বিদআতবিদআত
বাংলাদেশে, বিশেষভাবে ঢাকা শহরের মত বড় বড় শহরগুলোতে দূষণ অভিশাপে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বাসীর কাছে দূষণ এক আতঙ্কের নাম। বর্তমানে যেই নামটি আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ধূলা-বালি, যানবাহনের ধোঁয়া, হাইড্রোলিক হর্ন, গৃহের আবর্জনা, ছোট-বড় কলকারখানার ব
রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন পক্ষ দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের সারিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবী করলেও সামাজিক-রাজনৈতিক অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে না পিছিয়ে পড়ছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে। মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতিদিনকার খবরে, সামাজিক যোগাযো
পার্থিব জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদ দান করেছেন। মূলতঃ সম্পদের মালিক আল্লাহ। মানুষ কেবল এসবের ব্যবহারকারী। তাই আল্লাহ কাউকে সম্পদ দিয়ে আবার কাউকে না দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষ ধনীদের সম্পদের মুখাপেক্ষী। তাদে
পর্ব ১ । পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬। পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯। শেষ পর্ব।আত-তাহরীক জুন ২০১৫, ১৮/৯ সংখ্যায় দরসে হাদীছ কলামে ‘ইসলামী শিক্ষা’ শিরোনামে আলিয়া মাদ্রাসার সিলেবাস
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এ
ভূমিকা :দুনিয়াতে বান্দা যা কিছু করে ও বলে সবকিছু লিপিবদ্ধ করা হয়। ‘সম্মানিত লেখক ফেরেশতাবৃন্দ সবকিছু লিখে রাখেন’ (ইনফিত্বার ৮২/১১)। ‘সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে’ (ক্বাফ ৫০/১৮)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَكُلَّ شَيْءٍ أَ
ক্রয়-বিক্রয়ের প্রয়োজনে মানুষ বাজারে গমন করে। সেখানে গিয়ে তারা কেনাকাটায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ায় অনেক সময় আল্লাহকে ভুলে যায়, তাঁর যিকর ও ইবাদতের কথাও বিস্মৃত হয়ে যায়। এজন্য বাজার পৃথিবীতে আল্লাহ্র নিকটে সবচেয়ে অপ্রিয় স্থান। তারপরেও জীবনের বিভিন্ন
পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩(খ) শারঈ বিধান মোতাবেক ব্যয়-বণ্টন না করার মাধ্যমে সীমালংঘন : সম্পদ উপার্জনের ক্ষেত্রে ইসলামে যেমন নীতিমালা রয়েছে, তেমনি তার ব্যয়-বণ্টনেরও সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। যেগুলো লংঘন করলে কঠিন পরিণাম ভোগ করতে হবে।
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা
ছিয়ামের ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ হ’তে সাতশত
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফার্সী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভাগ্য
ভূমিকা :ই‘তিকাফ মানুষকে দুনিয়াবী ব্যস্ততা পরিহার করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হওয়া শিক্ষা দেয় এবং আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক জুড়ে দেয়। এতে আল্লাহর প্রতি মহববত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার গোনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু সুযোগ দি
ভূমিকা :দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুকে রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে হয়। মানুষের এই চলার পথ নিরাপদ, নিষ্কণ্টক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া যরূরী। সেই সাথে পথচারীকেও সজাগ ও সচেতন হ’তে হয়। পথে বা রাস্তায় চলাফেরার সময় বিভিন্ন নিয়ম-কানূন মেনে চলার জন্য ইসলামে দ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।৬. সন্দেহজনক উপার্জন : নিজ হাতের উপার্জনই সর্বোত্তম উপার্জন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَاماً قَطٌّ خَيْراً مِّنْ أَنْ يَأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ، ‘কারো জন্য নিজ হাতের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম খাদ
‘তাহাজ্জুদ’ (التّهَجُّدُ) শব্দটির মূলধাতু (هُجُوْدٌ)। তাহাজ্জুদ এমন শ্রেণীভুক্ত শব্দ, যার অর্থ ঘুমানোও হয়, আবার ঘুম থেকে ওঠা বা রাত্রি জাগরণও হয়। এখানে দ্বিতীয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।[1] পারিভাষিক অর্থে :ما يصلى من نافلة الليل بعد الاستيقاظ من ال
হিন্দুস্থানের প্রাচীন ধর্মীয় ইতিহাস ও সাহিত্যে ‘হিন্দুত্ব’ বা হিন্দুধর্ম-এর সমার্থবোধক কোন শব্দ পাওয়া যায় না। সেখানে ‘সনাতন ধর্ম’ ও ‘বৈদিক ধর্ম’ শব্দগুলোর ব্যবহার পাওয়া যায়। বেদ ও উপনিষদসমূহে বর্ণিত সেই ‘সনাতন ধর্ম’ এবং ‘বৈদিক ধর্ম’-এর স্থলে
মানুষের সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্য সভায় বা বৈঠকে বসতে হয়। আবার বিভিন্ন সময়ে দ্বীনী আলোচনা শ্রবণ করা বা পার্থিব বিষয়ে কারো বক্তব্য শুনতে সভা-সেমিনারে উপস্থিত থাকতে হয়। সেখানে কিছু আদব-কায়েদা ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হয়। এতে সভা-সমাবেশের পরি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।৩. ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ : বর্তমান সমাজে সহজলভ্য বিষয় হচ্ছে ঘুষ বা উৎকোচ। কথায় বলে ‘ফুয়েল না দিলে ফাইল চলে না’। অফিস আদালতের করুণ বাস্তবতা এটাই যে, টেবিলের উপরে থাকা ফাইলও খুঁজে পাওয়
[মির্যা হায়রাত দেহলভী (১৮৫০-১৯২৮খৃঃ) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় আহলেহাদীছ বিদ্বান। যিনি শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহঃ)-এর বিখ্যাত জীবনী গ্রন্থ ‘হায়াতে তাইয়েবা’-এর প্রণেতা ছিলেন। এটি শাহ ছাহেবের জীবনীর উপর কৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এতে তিনি শাহ ছাহেবের জ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর রাসূলকে সত্য পথের দিশা ও সত্য দ্বীন সহ প্রেরণ করেছেন। যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল (বাতিল) দ্বীনের উপরে বিজয়ী করতে পারেন। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। সেই সা
বিশ্ব মানবতার মুক্তি ও কল্যাণে ইসলাম সর্বজনস্বীকৃত আল্লাহ মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। সেকারণ ইসলাম শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ধর্ম। অপরদিকে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হ’তে অবতীর্ণ সর্বশেষ ওহী আল-কুরআনে সকল সমস্যার সমাধান বর্ণিত হয়েছে। সমাজে শা
ভূমিকা : ‘তাবলীগ’ অর্থ প্রচার বা পৌঁছে দেওয়া। আর ‘ইজতেমা’ অর্থ জমায়েত বা সমাবেশ। ‘তাবলীগী ইজতেমা’ অর্থ দাওয়াতী সমাবেশ। দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের লক্ষে যে সমাবেশের আয়োজন করা হয় তাকেই তাবলীগী ইজতেমা বলে। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে
মানুষ জন্মের পর শৈশব-কৈশোর ও যৌবন পার করে এক সময় বার্ধক্যে উপনীত হয়। এ জীবনটা কারো জন্যই শতভাগ সুখকর হয় না। কারো জন্য সুখকর হ’লেও অধিকাংশের নিকট সময়টা হয়ে উঠে তিক্ত ও অসহ্য। এ সময় তাদের প্রয়োজন হয় যথাযথ সহযোগী, যার সাথে নিজের মনের ভাব প্রকাশ
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।দরূদের বিশুদ্ধ শব্দাবলী :রাসূলের (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ ও সালাম প্রদান দু’টি সময়ে হয়ে থাকে। (১) ছালাতের ভিতরে : ছালাতের ভিতরে ঐ সকল সালাম ও দরূদ পাঠ করতে হবে যা রাসূল (ছাঃ) নিজে পাঠ করেছেন ও ছাহাবায়ে কেরামকে শিক্ষা দিয়েছ
পার্থিব জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষের সাথে কথাবার্তা বলতে হয়। মানুষের পক্ষে সমাজে মুখ বন্ধ করে বসবাস করা সম্ভব নয়। নিজের প্রয়োজন যেমন তাকে অন্যের কাছে ব্যক্ত করতে হয়, তেমনি অন্যের প্রয়োজনে তাকে এগিয়ে আসতে হয়। এক্ষেত্রে কথা বলার কোন বিক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।দাওয়াতী সংগঠন সমূহকে হারাম বলে ফৎওয়া দেওয়ার প্রকৃত কারণ :হয়তো কোন প্রশ্নকর্তা প্রশ্ন করতে পারেন যে, এমন সুস্পষ্ট ভুলের মাঝে ঐ ফৎওয়াদাতাদের পতিত হওয়ার কারণ কী?উত্তরে বলব, বিষয়টি বুঝার জন্য খুব একটা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব । ভূমিকা :মানব জীবনে সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সম্পদ বিনে ছোট্ট একটি পরিবার পরিচালনাও দুঃসাধ্য। সেকারণ প্রত্যেক বনু আদমকেই প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য আয়-রোযগারের পথ অবলম্বন করতে
যে সকল দো‘আ ও যিকিরের মাধ্যমে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয় :বান্দার হৃদয়ের ফোয়ারা থেকে যখন কোন পবিত্র বাক্য ও কথা উৎসারিত হয়, তখন আল্লাহ সেটা তাঁর কাছে তুলে নেন। তিনি বলেন, إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠের শরী‘আত অনুমোদিত সময় :রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে কোন মুসলিম ব্যক্তি দিনে বা রাতে যে কোন সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।২৪. অধিক বাজার সৃষ্টি হওয়া : ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হ’ল যেখানে-সেখানে বাজার সৃষ্টি হওয়া। ক্বিয়ামতের পূর্বে এমন অবস্থা হবে যে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দোকান থাকবে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, لاَ تَقُومُ ا
১৩.২২শে আগস্ট বুধবার। মিনার ময়দানে দিনটি প্রায় বিশ্রামেই কেটে গেল। যোহরের পর আন্দোলনের ছানা‘ইয়া আছেমা, রিয়াদ শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর ভাই (নায়ায়ণগঞ্জ) এলেন, যিনি আমাদের পাহাড়ের উপরের তাঁবু থেকে নীচে অদূরে এক তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। আন্দোল
মানুষের পানাহারের প্রয়োজন যেমন আছে তেমনি তার পেশাব-পায়খানা বা প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারারও যরূরত রয়েছে। এক্ষেত্রে মুমিন অবশ্যই কিছু আদব-কায়েদা বা শিষ্টাচার মেনে চলবে। কেননা সে অন্য জাতি-ধর্মের মানুষের মত যেখানে-সেখানে এ প্রয়োজন মিটাতে পারে না। আব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ফরযে কিফায়া সংক্রান্ত আল্লাহর আহবানে উম্মাহর সকল সদস্যই শামিল :পূর্ববর্তী অধ্যায়ে আমরা অবগত হয়েছি যে, মুসলিম শাসকদের উপর অনেক বড় বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সন্দেহ নেই যে, শাসক সহ তার মন্ত্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।দুনিয়ার মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে যেসব নবী-রাসূলকে প্রেরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল।[1] আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সমগ্র বিশে^র জন্য রহমত করে পাঠিয়েছেন (আম্বিয়া ২১/১০৭)। ত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।১৪. ব্যাপক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়া : ক্বিয়ামতের একটি আলামত হ’ল হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাওয়া। হত্যাযজ্ঞ এত বেড়ে যাবে যে, পিতা ছেলেকে, ছেলে তার পিতাকে, চাচাকে ও প্রতিবেশীকে হত্যা করবে। এমনকি হত্যাকারী ও
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । তাক্বলীদের ভয়াবহতা এবং মুসলমানদের ওপর এর কুপ্রভাব :সম্মানিত ভ্রাতৃমন্ডলী! এই ক্ষুদ্র পরিসরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে তাক্বলীদের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক। করুণা ও শান্তি বর্ষিত হোক সেই মহামানবের উপর, যিনি বিশ্ববাসীর জন্য করুণা ও পথপ্রদর্শকরূপে প্রেরিত, যিনি আদম (আঃ)-এর বংশধরদের নেতৃপদে বরিত এবং
[আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর উপর ডক্টরেট থিসিসের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে ৫২ দিনের স্টাডি ট্যুরের এক পর্যায়ে ২.১.১৯৮৯ ইং তারিখে লাহোরের বিখ্যাত লাইব্রেরী দারুদ দা‘ওয়াতিস সালাফিইয়াহ থেকে ফার্সী ভাষায় লিখিত ১০ পৃষ্ঠার
২০০০ সালে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় বা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকেরা বাংলাদেশে নিজেদের আদিবাসী দাবী করে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন শুরু করে। পরবর্তীকালে তারা দেশের সমতলের বিভিন্ন উপজাতীয় ও তফসিলী জনগোষ্ঠীকেও এতে শামিল করে মো
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।(২৬) কাফেরদের উপর লা‘নত : মহান আল্লাহ স্বয়ং যাদেরকে অভিসম্পাত করেন তাদের মধ্যে কাফেররা অন্যতম। তিনি বলেন, إِنَّ الله لَعَنَ الْكَافِرِيْنَ وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيْرًا ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদের লা‘নত করেছেন এবং তাদের জন্য জ
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলা ও সবশ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।৯. নবুঅতের মিথ্যা দাবীদারদের আত্মপ্রকাশ : ভন্ড নবীদের আগমন ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত। এদের আবির্ভাব রাসূল (ছাঃ)-এর যুগেই হয়েছিল। এদের কেউ রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে নবুঅত ভাগাভাগি করতে চেয়েছিল। তাদের একজ
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।৮.১৫ই আগস্ট, বুধবার। বেলা ৯-টায় মতীউর রহমান ভাই আমাদেরকে নিয়ে গেলেন হোটেল হিলটন কনভেনশন সেন্টারে। সকাল ৯-টা থেকে সঊদী হজ্জ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বার্ষিক গ্রান্ড হজ্জ কনফারেন্স ১৪৩৯হিঃ’ শুরু হয়েছে। সঊদী আরব সহ বহির্বিশ্বের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।দলীল বুঝতে অপারগ ব্যক্তির জন্য তাক্বলীদ জায়েয প্রসঙ্গে :কেউ বলতে পারে, সবাই তো এই অর্থে আলেম হ’তে পারবে না। আমরা
বিশ্বে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে বাংলাদেশে, এই খবর আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলথ এক্স’ অতি ধনী বা ‘আলট্রা হাই নেট ওয়ার্থ’-সম্পর্কিত (ইউএইচএনডব্লিউ) একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য পরি
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : মানুষ এমন অনেক কাজ করে থাকে যেগুলি কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এই কবীরা গুনাহগুলির মধ্যে কিছু আছে যা করলে মানুষের উপর অভিশাপ নেমে আসে। অভিশাপকে আরবীতে বলা হয় ‘লা‘নত’। লা‘নতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বলা হয় ‘মাল‘ঊন’। নিম্নে এ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস ধ্বংস হওয়ার পূর্বে সেটি দুর্বল হওয়ার আলামতগুলো প্রকাশ পায়। আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীকে ধ্বংস করার পূর্বে কিছু আলামত প্রকাশ করবেন। যাতে পৃথিবীতে বসবাসরত মানুষগুলো সতর্ক হয় এবং পরকালের স্থায়ী জী
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।তাক্বলীদকে মাযহাব ও দ্বীনরূপে গ্রহণ করাতাক্বলীদের স্বরূপ ও তা থেকে সতর্কীকরণ :অভিধানে ‘তাক্বলীদ’ শব্দটি আরবী ‘ক্
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।১.৭ই আগস্ট ২০১৮ইং (১৪৩৯হিঃ)। ভোরের আভা কেবল ফুটছে। ৫.১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের চাকা আলতোভাবে মদীনার পবিত্রভূমি ছুঁয়ে গেল। এ যেন প্রিয়জনের সাথে কোন দূরাগত মুসাফিরের আবেগময় মিলনস্পর্শ। আনমনে দরূদ পড়ি আছ-ছালাতু ওয়াস-সালাম
মহান আল্লাহ মানুষের জন্য যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করে থাকেন। তাই আল্লাহর কাছেই মানুষকে চাইতে হবে। জুতার ফিতার প্রয়োজন হ’লেও রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর কাছে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি খুশী হন এবং তিনি বান্দার দো‘আ বা প্রার্থনা কবুল করেন। তিনি ব
ফযীলত :১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম
ভূমিকা : সিজদায় গমনকালে আগে হাত নাকি হাঁটু রাখতে হবে এ বিতর্ক নতুন কিছু নয়। অনেকে দাবী করেন যে, সিজদায় যাওয়ার সময় আগে হাঁটু রাখা সুন্নাত। হাত আগে রাখা সুন্নাতের খেলাফ। অথচ আগে হাত রাখা সম্পর্কিত হাদীছগুলি অধিকতর গ্রহণযোগ্য। আগে হাঁটু রাখার দা
১৮. যাদু করা :যাদু করা শয়তানের কাজ। এটা কবীরা গোনাহ। মহান আল্লাহ বলেন,وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ‘আর তারা ঐসবের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।ইলমের ফায়েদা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য খবরের ওপর শারঈ খবরকে ক্বিয়াস করা বাতিল : ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘বাতিল
মানব জীবনের অতি প্রয়োজনীয় বস্ত্ত হচ্ছে আহার ও পানীয়। জীবন ধারণের জন্য পানাহারের কোন বিকল্প নেই। খাদ্য-পানীয় মানুষের দেহ-মন সুস্থ ও সতেজ রাখার প্রধান উপকরণ। এগুলির অভাবে মানুষের শরীর ভেঙ্গে যায় এবং দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইবাদতে মন বসে না এব
১. চুল-নখ না কাটা : হযরত উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।৫. শত্রুতা ও বিদ্বেষ (العداوة والبغضاء) : শয়তান মানুষের মাঝে শত্রুতা ও ঘৃণা সৃষ্টি করে। মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاء
ভুল ধারণা-৯আহলেহাদীছরা জঙ্গীবাদের শিক্ষা দেয় : ইসলামী দাওয়াহর উন্নতি-অগ্রগতি এবং বিশ্বপরিমন্ডলে ইসলাম গ্রহণের স্রোতকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কোথাও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার কোথাও মিশনারী প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়ে ইসলামের উপর এ অপবাদ আরোপ ক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।তিন : আব্দুল্লাহ্ বিন ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ، إِذْ جَ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।তারা জানাযার ছালাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হ’লে পানি পাওয়া সত্ত্বেও তায়াম্মুম করা জায়েয বলেন। এর প্রমাণ হিসাবে তারা নবী করীম (ছাঃ) কর্তৃক সালাম
মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদবকে ইসলামের সারবস্ত্ত বললেও হয়তো অত্যুক্তি হবে না। আদর্শ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তম চরিত্র, ভাল ব্যবহার ও সুসভ্য জাতি গঠনের সর্বোত্তম উপায় ও উপকরণ রয়েছে পবিত্র
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে মানুষের ভিতরে-বাইরে, শয়নে-স্বপনে, দিবা-নিশি সর্বাবস্থায় পথভ্রষ্ট করার সকল প্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আদম (আঃ)-কে জান্নাত থেকে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে সফলতা অর্জন কর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।আহাদ হাদীছ আক্বীদা ও আহকাম উভয় ক্ষেত্রেই হুজ্জত :যারা বলে থাকে যে, আহাদ হাদীছ দ্বারা আক্বীদা সাব্যস্ত হয় না, তার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।[ফিক্বহে শায়খ আলবানীর স্থান] :কিতাব ও সুন্নাহ হ’তে মাসআলা উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের নাম হ’ল ফিক্বহ। কিতাব ও সুন্নাহ যার মূল বিষয়বস্ত্ত নয়, তি
নিজের ছেলের দাসী কিংবা ছেলের উম্মুল ওয়ালাদ[1]-এর সংগে ব্যভিচারী পিতার দন্ড বাতিলে তারা প্রমাণ দিয়েছেন রাসূল (ছাঃ)-এর এই বাণী দিয়ে যে, أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ ‘তুমি ও তোমার ধস-সম্পদ তোমার পিতার’।[2] কিন্তু তারা এই হাদীছের মর্মের বিরোধিতা করে
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এ
ভূমিকা : ঈদের তাকবীরের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়ে থাকে। অনেকেই বিষয়টিতে চরম বাড়াবvাড় করেন। ‘বারো তাকবীর প্রদানের কোন ছহীহ হাদীছ নেই’ বলে মিথ্যাচার করেন। এমনকি বারো তাকবীরের হাদীছের উপর আমল করার কারণে মসজিদ হ’তে বের করে দেওয়া, অপমান-অপদস
নিজের জীবনের প্রতি মমতা মানুষের সর্বাধিক। তাই জীবনের যবনিকায় কেউ উপনীত হ’তে চায় না। কেউ চায় না ধ্বংসের মুখোমুখি হ’তে। কিন্তু মহাপ্রলয় সকল চাওয়া-পাওয়ার অবসান ঘটিয়ে, সবার ইচ্ছা-অনিচ্ছার অবসান ঘটিয়ে সকল প্রাণের মৃত্যু ঘটাবে। সমগ্র সৃষ্টির বিনাশ
১৪ই মার্চ ২০১৮, নিত্য দিনের মতো দিনের আলো প্রকাশিত হ’ল ঠিকই, কিন্তু নীরবে নিভে গেল বিজ্ঞান মহাকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের জীবন। রবার্ট, লুসি ও টিম হকিং বিবৃতি দিলেন আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত, আমাদের প্রিয় বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ৭৬ বছ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।আক্বীদা ও আহকামে সুন্নাতের ইত্তেবা প্রত্যেক যুগে আবশ্যক :প্রিয় ভ্রাতৃমন্ডলী! কিতাব ও সুন্নাতের পূর্বোল্লেখিত দলী
ভুল ধারণা-৮ :আহলেহাদীছগণ উম্মতের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত (ইজমায়ে উম্মত) মানেন না : আহলেহাদীছদেরকে ভ্রান্ত প্রমাণ করার চেষ্টায় একথাও বলা হয় যে, আহলেহাদীছরা উম্মতের ইজমা বা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তকে মানেন না। কিন্তু সাধারণত এ ব্যাপারে উচ্চবাচ্যকারীরা ইজম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।হাদীছ সম্বন্ধে মুক্বাল্লিদদের অবস্থান এবং তার কিছু দৃষ্টান্ত :(১৯) তার থেকেও বিস্ময়কর যে, যখন কোন হাদীছ, চাই তা মুসনাদ কিংবা মুরসাল হোক, ত
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পা.রিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্ব
ছিয়ামের ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছও
ভূমিকা : ‘লায়লাতুল ক্বদর’ তথা ক্বদরের রাত একটি মহিমান্বিত রজনী। এ রাতে সাধ্যমত ইবাদত করা এবং পাপ মোচন করিয়ে নেয়ার যে সুযোগ আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দান করেছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। একজন মুমিন যেভাবে বছরব্যাপী রামাযানের প্রতীক্ষায় প
ভুল ধারণা-৭ :আহলেহাদীছদের দাওয়াতের উদ্দেশ্য মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা :সব মতভেদ কি মন্দ? না, বরং সেই মতভেদ মন্দ, যা হকের বিরোধিতায় করা হয়। হকের বিরোধিতা করা গোমরাহী। কিন্তু বাতিলের বিরোধিতা করা ফরয। ইসলাম এটা শিক্ষা দেয় না যে, আপনি স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।সুন্নাহর দিকে ফিরে যাওয়ার আবশ্যকতা এবং এর বিরোধিতা করার নিষিদ্ধতা : সম্মানিত ভ্রাতৃমন্ডলী! প্রথম যুগের সকল মুসলম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।(৩) মতভেদকৃত বিষয়ে তোমার (ইমামের চেয়ে বেশী বিদ্বান হওয়ার এবং তার নিকটে বিশেষ কোন দলীল থাকার) এ দাবী অবশ্যই তোমার কোন উপকার দিবে না। কেননা
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও সংগঠন সর্বত্র আনুগত্য এক অপরিহার্য বিষয়। এগুলির কোন স্তরে আনুগত্য না থাকলে সেটা ভালভাবে চলবে না, সেখানে নিয়ম-শৃংঙ্খলা থাকবে না। ফলে সেখানে কোন কাজ সুচারুরূপে পরিচালিতও হবে না। তাই সর্বস্তরে আনুগত্যের কোন বিকল্প নেই। নি
ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাধ্যমে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি মুমিনদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন পরিপূর্ণভাবে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করতে এবং নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন অন্য দ্বীন অন্বেষণ করতে। সুতরাং কোন মুমিনের সুয
ভুল ধারণা-৬ :আহলেহাদীছরা আলেমদেরকে মানে না :তাক্বলীদে শাখছী থেকে আহলেহাদীছদের দূরে থাকাকে অনেকে আলেমদের প্রতি অসন্তুষ্টির সমার্থবোধক বানিয়ে দেন। তারা এটা মনে করেন যে, আহলেহাদীছরা যেখানে চার ইমামেরই তাক্বলীদ করে না সেখানে অন্য আলেমদের কিভাবে মান
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।সফর থেকে ফেরার পথে কিছু আদবসফরের কাজ শেষ হ’লে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পরিবারের কাছে ফিরে আসা :সফর হ’ল কষ্টের স্থান। যেখানে খাবারের কষ্ট, থাকার কষ্ট, বিশ্রামের কষ্ট সর্বোপরি পরিবার থেকে দূরে থাকার কষ্ট রয়েছে। তাই সফরের
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ঘ. হাদীছ লিখতে বারণ ও তার কারণ : কোন কোন আলেম ছহীহ মুসলিমের একটি হাদীছকে পুঁজি করে প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাদীছ লিখতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং হাদীছ সংকলন করা বিদ‘আত। হাদীছটি হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (ছা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব ।হাদীছের কতিপয় পরিভাষাসুন্নাহ, হাদীছ, খবর ও আছার :সুন্নাহ শব্দটির শাব্দিক অর্থ সমাজ জীবনে প্রচলিত সাধারণ রীতি (ال
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।ওমর (রাঃ) বিচারপতি শুরাইহ-এর নিকট লেখা পত্রে বলেছিলেন, اقْضِ بِمَا فِي كِتَابِ اللهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي كِتَابِ اللهِ فَبِسُنَّةِ رَس
ভূমিকা : সত্যবাদিতার বিপরীত হচ্ছে মিথ্যাচার। যে মিথ্যা বলে সে মিথ্যাবাদী। মিথ্যাবাদীকে কেউ বিশ্বাস করে না। মিথ্যার ফলে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মিথ্যা মানুষকে ইহকালে ঘৃণিত ও নিন্দিত করে এবং পাপের পথে পরিচালিত করে। আর পাপ তাদের জাহান
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।বিদ‘আতকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অনেকে এমন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিষয়কে বিদ‘আতে হাসানাহর উদাহরণ হিসাবে পেশ করে, যেন প্রমাণিত হয় যে, সকল মুসলমান সর্বান্তকরণে বিদ‘আতে হাসানাহকে গ্রহণ করে নিয়েছে। এমনকি এগুলো বর
ভূমিকা : ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) একটি নাম, একটি ইতিহাস। যুগে যুগে হক্ব প্রচারে যারা রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) অন্যতম। তিনি পরম ধৈর্যের সাথে সকল নির্যাতন সহ্য করেছিলেন। তার নির্যাতন-নিপীড়নের
সৃজনশীল প্রশ্নের ভিত্তিতে এদেশে লেখাপড়া শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। শুরুতে নাম ছিল কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন। এ নামেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ । শেষ পর্ব । ভূমিকা : কুফরী ও ভ্রষ্টতার প্রবল স্রোত মুসলিম উম্মাহর উপর ছড়ি ঘুরাতে এবং তাদেরকে ধ্বংসের অতল গহবরে নিক্ষেপ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।[হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম আল-জাওযিয়াহ (৬৯১-৭৫১হিঃ/১২৯২-১৩৫০খৃঃ) হিজরী ৭ম শতকে সিরিয়ার দামেশকে জন্মগ্রহণকারী ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইমাম। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়
ভূমিকা : সুস্থ জীবন যাপনের জন্য আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো যেমন অপরিহার্য, তেমনি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করে তাদের বিবেককে জাগিয়ে তোলা। জীবনে উচ্ছৃঙ্খলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূলে দায়ী আমরা নিজেরাই। পারি
ভুল ধারণা-৫ :আহলেহাদীছগণ ইমাম চতুষ্টয়কে মানেন না এবং তাদেরকে গোমরাহ বলেন :আহলেহাদীছ সম্পর্কে আরেকটি বিভ্রান্তি হ’ল, তারা ইমাম চতুষ্টয়কে মানে না; বরং তাদের শানে বেয়াদবী করে এবং তাদেরকে গোমরাহ আখ্যায়িত করে। আসুন দেখা যাক এ ব্যাপারে বাস্তবে আহলেহা
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানুষ কোন না কোন কাজে এক স্থান হ’তে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে থাকে। আধুনিক এই যান্ত্রিক যুগে সফর বা ভ্রমণ মানুষের নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ প্রয়োজনে নানাবিধ এবং আল্লাহর নিদর্শন প্রত্যক্ষ করার জন্য প্রতি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।অনুসৃত ইমামগণ ও উক্ত আয়াতের তাফসীর : আল্লামা আলবানী (রহঃ) এই হাদীছটির অধীনে তাফসীরে রূহুল মা‘আনী হ’তে আল্লামা আলূসীর নিম্নোক্ত উক্তিটি বর্ণ
ভুল ধারণা-৪ :আহলেহাদীছগণ আল্লাহর ওলীদেরকে অস্বীকারকারী :কেউ কেউ এটা মনে করেন যে, আহলেহাদীছগণ আল্লাহর ওলীদেরকে মানেন না। কোন কোন বক্তা একথাকে রংচং লাগিয়ে আহলেহাদীছদের বিরুদ্ধে আমজনতাকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে থাকেন। অথচ প্রকৃত সত্য এই যে, আহলে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।যরূরী জ্ঞাতব্য : সামনে অগ্রসর হওয়ার পূর্বে এই বিষয়টিও মনে রাখতে হবে যে, ইমাম মুসলিম উদ্ধৃত উক্ত হাদীছগুলির পর ৭০১৪ নং হাদীছটিأَبُو طَلْح
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।১৩. ইলম অর্জন করা : নেক আমল করার জন্য ইলমের কোন বিকল্প নেই। কোন কাজ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে যেমন তা সুচারুরূপে করা যায় না তেমনি ইবাদত সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে সে ইবাদত যথার্থরূপে আদায় করা যায় না। সেজন্য
ভুল ধারণা-২ :আহলেহাদীছরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর শানে বেয়াদবী করে :আহলেহাদীছদের সম্পর্কে দ্বিতীয় ভুল ধারণা বা অপবাদ এই যে, তারা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে সম্মান করে না। অনেকে অজ্ঞতাবশতঃ আহলেহাদীছদেরকে রাসূলকে অসম্মানকারী মনে করে। এমনকি কোন কোন আলেম ত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।তৃতীয় হাদীছ :শায়খ শু‘আইব (রহঃ) তাঁর উক্ত দাবীর প্রমাণে শায়খ আলবানী (রহঃ) ‘মতনের সমালোচনার’ প্রতি মনোনিবেশ করতেন না মর্মে অভিযোগের প্রেক্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।৮. আছর ছালাত আদায় করা :বস্ত্তর মূল ছায়ার এক গুণ হওয়ার পর হ’তে আছরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দু’গুণ হ’লে শেষ হয়। তবে সূর্যাস্তের প্রাক্কালের রক্তিম সময় পর্যন্ত আছর পড়া জায়েয আছে।[1]ক. ফরযের পূর্বে সু
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলা ও সবশ
ভূমিকা : আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জন্যে উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। আল্লাহর ভয়ে কাঁদা নবী-রাসূল এবং সালাফে ছালেহীনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি হৃদয়ে ঈমান ও আল্লাহর প্রতি ভয়ের নিদর্শন। আমরা কুরআন তেলাওয়াত করি, জাহান্নাম ও আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা শুন
হামদ ও ছানার পর কোন ব্যক্তি বা দল সম্পর্কে মন্তব্য করা বা সিদ্ধান্ত প্রদানের দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত : গোঁড়ামির ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত তথ্য ও তত্ত্বের ভিত্তিতে মন্তব্য করা। এ পদ্ধতিটি স্বয়ং ঈমান ও তাক্বওয়ার দাবী রাখে। দ্বিতীয়ত : শুধু ভুল ধারণাগুলিকে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।দ্বিতীয় হাদীছ :শু‘আইব (রহঃ) তাঁর এ দাবীর প্রমাণে ‘আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) হাদীছের মতনের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করতেন না’ দ্বিতীয় এ হাদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানুষের জীবন কিছু দিন-রাতের সমষ্টি। ইহকালীন জীবনের আমলের বিনিময়ে পরকালীন জীবনে জান্নাত অথবা জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। তাই মানুষের দুনিয়াবী জীবন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় অবহেলায় কাটিয়ে দিলে পরকালে ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।৫ম মূলনীতি: মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ : এর অর্থ- কুরআন ও সুন্নাহর আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং
আল্লাহর সৃষ্ট বস্ত্ত সমূহ প্রধানত দু’ভাগে বিভক্ত (১) দৃশ্যমান ও (২) অদৃশ্য। দৃশ্যমান বস্ত্ত সমূহের মধ্যে আসমান-যমীন, সূর্য-চন্দ্র, গ্রহ-নক্ষত্র, তারকা প্রভৃতি। ক্ষুদ্র বস্ত্ত সমূহের মধ্যে মানুষ, পশু-পাখী, কীট-পতঙ্গ, উদ্ভিদরাজি, জলজপ্রাণী সমূহ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : নিকট অতীতে যেসকল সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ তা‘আলা স্থায়ী প্রসিদ্ধি দান করেছেন এবং স্বীয় বান্দাদের অন্তরে তাঁদের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তাঁদ
ভূমিকা :একজন সত্যিকার মুসলমানের সতত সাধনা থাকে দিন-রাত ইসলামী বিধান মুতাবেক অতিবাহিত করার। তার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি সময় ইসলামী শিক্ষার আলোকে অতিক্রম করে এবং এটা তার জ
ফযীলত :১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম অ
শোকরের ছওয়াব ইচ্ছার সাথে যুক্ত নয় :আল্লাহ তা‘আলা অনেক আমলের প্রতিদান তাঁর ইচ্ছার সাথে যুক্ত করে রেখেছেন। চাইলে তিনি ছওয়াব দিবেন, না চাইলে না দিবেন। যেমন দো‘আ কবুল করা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, بَلْ إِيَّاهُ تَدْعُونَ فَيَكْشِفُ مَا تَدْعُونَ إِلَيْ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।স্বামীর নিকটে স্ত্রীর অধিকার : স্বামীর কাছে স্ত্রীর কিছু হক বা অধিকার আছে, যেগুলি আদায় করা স্বামীর জন্য অবশ্য কর
(১) হজ্জ ও ওমরাহর ছওয়াব : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘এক ওমরাহ হ’তে আরেক ওমরাহ (ছগীরা গোনাহ সমূহের) কাফফারা স্বরূপ। আর কবুল হজ্জের ছওয়াব জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয়’ (বুঃ মুঃ)। তিনি বলেন, ‘রামাযান মাসের ওমরাহ হজ্জের সমান’ (বুঃ
১. চুল-নখ না কাটা : হযরত উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন
সাড়ে তিনশ’ বছর যাবৎ বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রযাত্রা অবিরাম গতিতে বেড়েই চলেছে। অনন্যসাধারণ আবিষ্কার মানুষকে যেমন চূড়ান্ত উচ্চতায় নিয়ে গেছে, সভ্যতাকে দিয়েছে তেমনি এক অনবদ্য রূপ। প্রস্তর যুগ বা আদি যুগ থেকে আমরা আজ কোথায় এসে পৌঁছেছি তা যেমন বিস্ময়ক
যেসব কাজ শোকর আদায়ে সহায়ক :কুরআনুল কারীম ও সুন্নাতে নববী আমাদের এমন কিছু পথ ও পন্থা দেখিয়েছে যা ধরে পথ চললে আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা প্রদত্ত অসংখ্য নে‘মত ভোগের দরুন তার শোকর আদায়ে সক্ষম হব। সেসব পন্থা থেকে নিম্নে কিছু তুলে ধরা হল :নিজের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।বিবাহ পরবর্তী কিছু কু-প্রথা : ১. বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর বরকে দাড় করিয়ে সালাম দেওয়ানোর প্রথা রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।(৩) মানবীয় সাম্যের ব্যাপারে ইসলামের নীতিমালা : আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَ
ভূমিকা :ইসলামে সূদ হারাম। কুরআন ও হাদীছ দ্বারা এটা প্রমাণিত। এই বিষয়টি জানার পরেও মানুষ সূদ খায়। সূদী লেনদেন করে। দুনিয়া ও আখিরাতে এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এ সম্পর্কেই আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা করা হ’ল।-সূদের পরিচয় ও প্রকার :‘রিবা’ অর্থ সূদ। ‘রিব
নফল ইবাদতের মধ্যে নফল ছিয়াম অতি গুরুত্বপূর্ণ। বছরের বিভিন্ন সময়ে নফল ছিয়াম রাখা যায়। বিভিন্ন সময়ের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে একেকটির ফযীলতও একেক ধরনের। নিম্নে নফল ছিয়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল।ছিয়ামের ফযীলত :রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ صَامَ يَ
ভূমিকা :নিশ্চয়ই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজনে ও রাত-দিনের পালাক্রমে আগমন ও প্রস্থানে বহু নিদর্শন আছে ঐসব বুদ্ধিমানের জন্য যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে (সর্বাবস্থায়) আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে (এবং তা লক্ষ্য ক
ভূমিকা :সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক। আর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হৌক নবী-রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠজন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল ছাহাবীর উপর।অতঃপর আমাদের জানা কর্তব্য যে, ঈমান দু’ভাগে বিভক্ত : অ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।২. বিবাহ পরবর্তী কর্তব্য : বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর কিছু করণীয় রয়েছে। যার কিছু অন্য মানুষের জন্য এবং কিছু স্বামী-স্ত্র
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।চতুর্থ মূলনীতি: সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে পরিগ্রহণ : এর অর্থ- ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সম
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক)
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিকভাবে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ একই
উপক্রমণিকা :পার্থিব জীবনে মানুষ নানা রকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়। শরী‘আতে এসব অসুখের চিকিৎসার নির্দেশও রয়েছে। ঔষধ সেবনের পাশাপাশি ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমেও আরোগ্য লাভ হয়। কিন্তু সেসব ঝাড়-ফুঁক শিরকমুক্ত ও কুরআন-হাদীছ সম্মত হওয়া আবশ্যক। আর কুরআন মাজী
সর্বাগ্রে মুছাফাহার অর্থ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে। যাতে মাসআলাটি বুঝতে সহজ হয়। মুছাফাহা-এর অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, هِيَ مُفَاعَلَةٌ مِنَ الصَّفْحَةِ وَالْمُرَادُ بِهَا الْإِفْضَاءُ بِصَ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ইখলাছের নিদর্শনাবলীইখলাছের কিছু আলামত রয়েছে। একজন মুখলিছ মানুষের মধ্যে তা ফুটে ওঠে। যেমন- খ্যাতি প্রত্যাশী না হওয়া, প্রশংসা-গুণ-কীর্তন লাভের আকাঙ্ক্ষী না হওয়া, দ্বীনের জন্য
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।২. অভিভাবকের অনুমতি :বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি অতীব যরূরী। বিশেষ করে মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি একা
ছিয়ামের ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদ
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে উপমহাদেশে ‘শবেবরাত’ বলা হয়। যা ‘সৌভাগ্য রজনী’ হিসাবে পালিত হয়।ধর্মীয় ভিত্তি :মোটামুটি ৩টি ধর্মীয় আক্বীদাই এর ভিত্তি হিসাবে কাজ করে থাকে। (১) এ রাতে কুরআন নাযিল হয় এবং এ রাতে আগামী এক বছরের জন্য বান্দার ভালমন্দ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।[মূল বই পৃষ্ঠা ৮০ থেকে ৯১]তাক্বলীদ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার জবাবশেষে তাক্বলীদ এবং তাক্বলীদপন্থীদের সম্পর্কে কতিপয় মানুষের কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব পেশ ক
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।চতুর্থ কারণ : ব্যক্তিপূজা (التقليد) :তাক্বলীদ ‘ক্বালাদাতুন’ শব্দ থেকে ব্যুৎপত্তি লাভ করেছে। যার অর্থ কণ্ঠহার বা রশি। বলা হয়, ‘ক্বাল্লাদাল বা‘ঈরা’(قلد البعير) ‘সে উটের গলায় রশি বেঁধেছে’। সেখান থেকে মুক্বাল্লিদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ইখলাছ না থাকার ক্ষতি : ইখলাছের যেমন অনেক উপকারিতা ও ফল আছে- যা একজন মুসলিম ইখলাছের বদৌলতে অর্জন করে থাকে, তেমনি ইখলাছহীনতার অনেক কুফলও রয়েছে। ইখলাছহীন লোককে তা ভোগ করতে হবে। তন্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।নিন্দিত নারী :মানুষকে আল্লাহ সম্মানিত করেছেন (ইসরা ১৭/৭০)। কিন্তু তাদের বিভিন্ন স্বভাব-প্রকৃতির কারণে কেউ নন্দিত হয়,
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।তাক্বলীদের ক্ষতিকর দিক : (ক) তাক্বলীদ ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার অন্তরায় : ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সবচাইতে বড় বাধা হ’ল তাক্বলীদে শাখছী বা অ
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।মুসলিম উম্মাহ আজ সোজা-সরল পথ পরিহার করে বাঁকা পথে চলছে। ফলে তারা বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক হ্রাস পেয়েছে। শৌর্য-বীর্য হারিয়ে বাতিলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বাতিলরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করছে। পরস্পরের মযবূত ঈ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।পূর্বসূরি মনীষীদের কথা :বর্ণিত আয়াত ও হাদীছসমূহ অধ্যয়ন করে আমাদের পূর্বসূরিরা ইখলাছের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। ইখলাছশূন্যতার কুফল কী এবং ইখলাছ রক্ষায় কী সুফল পাওয়া য
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।পরিবারে স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য :স্বামী পরিবারের দায়িত্বশীল। তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।২য় মূলনীতি ঃ তাক্বলীদে শাখছী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন‘তাক্বলীদ’ অর্থ- শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে কারো কোন কথা চোখ বুঁজে মেনে নেওয়া। ‘
‘ভালবাসা দিবস’কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী উন্মাতাল হয়ে উঠে। বাজার ছেয়ে যায় নানাবিধ উপহারে। পার্ক ও হোটেল- রেস্তোরাঁগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে। পৃথিবীর প্রায় সব বড় শহরেই ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-কে ঘিরে পড়ে যায় সাজ সাজ রব। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি প্রাচ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতিকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং মানুষের কর্তব্য হ’ল ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য হাছিলের চেষ্টা করা। আর ছালাত আল্লাহর নৈকট্য লাভের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এবং
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।আমানতের কতিপয় দিক ও ক্ষেত্র :আমানতের বিভিন্ন দিক রয়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণ করা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমানত রক্ষা ক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । শেষ পর্ব ।গোড়ার কথা :সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক, দয়াময়, করুণাময়, বিচার দিবসের মালিক, পূর্বাপর সকলের মা‘বূদ, আসমান-যমীনের রক্ষণাবেক্ষণকারী মহান আল্লাহর স
মুসলমানদের স্পেন বিজয় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। স্পেন বিজয়ের পূর্বমুহূর্তে সেখানে উইতিজা নামক এক রাজা রাজত্ব করত। হঠাৎ উইতিজাকে সিংহাসনচ্যুত করে রডারিক সিংহাসন অধিকার করে। রডারিক ছিল অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ও অত্যাচারী ব্যক্তি। সে সম্রাট উইতিজাকে ন
আজকের ফিৎনাপূর্ণ ও দুর্যোগময় সময়ে পৃথিবীর অবস্থা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। মানবতা আহাজারি করছে। ভয়-ভীতির এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যে, জাতি চরমপন্থীদের থেকে বহু দূর-দূরান্তে আত্মরক্ষায় বাধ্য হচ্ছে। অন্যায়-অত্যাচার এবং চরমপন্থার সীমা এতদূর ছাড়িয়ে গেছে যে, ধর্ম
ভূমিকা : ক্বিয়ামতের আলামত সমূহের অন্যতম হ’ল দাজ্জালের আবির্ভাব। সে ক্বিয়ামতের পূর্বে বের হয়ে আসবে। হাদীছে তার সম্পর্কে সবিস্তার বিবরণ উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কেউ কেউ দাজ্জালের আবির্ভাবের কথা ফলাও করে প্রচার করছে। আবার তাদের দাবীর পক্ষে
আভিধানিক অর্থে ‘খারেজী’ শব্দটি আরবী ‘খুরূজ’ (الخروج) শব্দ হ’তে নির্গত, যার অর্থ ‘বের হওয়া বা বেরিয়ে যাওয়া’। বহুবচনে ‘খাওয়ারিজ’ ব্যবহৃত হয়। পারিভাষিক অর্থে শাহরাস্তানী (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ) এর মতে খারেজী হ’ল- ‘প্রত্যেক এমন ব্যক্তি যে এমন হক ইমামের (শাসক) বিরু
মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর তিনটি আমল ব্যতীত কোন আমল কাজে আসে না। ছাদাক্বায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম ও নেক সন্তানের দো‘আ।[1] ওছমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর নবী করীম (ছাঃ) যখন অবসর গ্রহণ করতেন তখন তিনি সেখানে দাঁড়াতেন এবং উপস্থি
[মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ আনওয়ার ১৯৩৯ সালে অবিভক্ত ভারতের লাহোর যেলার পাট্টী নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফায়ছালাবাদের সরকারী স্কুলে ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। অতঃপর জামে‘আ সালাফিইয়ায় ভর্তি হন। এরপর তিনি মাওলানা আব্দুল্লাহ বীরুওয়ালাবী প্রতিষ্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :মানব সমাজের ভিত্তি পরিবার। স্বামী-স্ত্রীকে কেন্দ্র করে যা শুরু হয়। আদম-হাওয়া (আঃ)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম মানব পরিবার গড়ে ওঠে। সৃষ্টির স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :‘আহল’ অর্থ অনুসারী। ‘হাদীছ’ অর্থ বাণী। এ বাণী আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী। সুতরাং ‘আহলেহাদীছ’ অর্থ কুরআন ও হাদীছের অনুসারী। কেননা আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআন
‘ভালবাসা দিবস’কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী উন্মাতাল হয়ে উঠে। বাজার ছেয়ে যায় বাহারী উপহারে। পার্ক ও হোটেল- রেস্তোরাঁগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে। পৃথিবীর প্রায় সব বড় শহরেই ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-কে ঘিরে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি প্রা
প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আসে ক্লাছে, যারা স্লো-লার্নার বা পড়াশোনায় পিছিয়ে। তারা সম্পূর্ণ অমনোযোগী না হ’লেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠ যেন ঠিকঠাকভাবে বুঝে উঠছে না। তারা হয়তো মনোযোগ দিয়েই পাঠ শুনছে। ক
মসজিদ আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক প্রিয় স্থান।[1] সেখানে কেবল তাঁরই ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلاَ تَدْعُوا مَعَ اللهِ أَحَدًا- ‘আর মসজিদগুলো কেবলমাত্র আল্লাহরই জন্য, কাজেই তোমরা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে ডেক ন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।(১৪) শায়খ, বড় আলেম, মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ ফাখের বিন মুহাম্মাদ ইয়াহ্ইয়া বিন মুহাম্মাদ আমীন আববাসী সালাফী ইলাহাবাদী (১১২০-১১৬৪ হিঃ) তাক্বলীদ করতেন না। ব
উপক্রমনিকা :ঈমানের অন্যতম রুকন হচ্ছে তাক্বদীরে বিশ্বাস। জগত সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টিকুলের ভাগ্য নির্ধারণ করে স্বীয় দফতর লাওহে মাহফূযে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এ বিশ্বাসই তাক্বদীরে বিশ্বাস। এর বিপরীত বিশ্বাস বা ধারণা করা হ’ল ঈমান
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক। দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠজন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহাবীদের সকলের প্রতি।অতঃপর মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমার পক্ষ
ভূমিকা : রোহিঙ্গারা আমাদের প্রতিবেশী ও মুসলিম ভাই। তাদের উপর যে অত্যাচার নেমে এসেছে তা মানুষ হিসাবে কারো কাম্য নয়। মিয়ানমারের বৌদ্ধদের টার্গেট একমাত্র মুসলিম জাতি। রোহিঙ্গাদের কোন অপরাধ নেই। তাদের একটি মাত্র অপরাধ তারা মুসলিম। মহান আল্লাহ আমা
‘ক্ষমা’ অর্থ- দোষ-ত্রুটি, অপরাধ মার্জনা করে দেওয়া। আলোচ্য প্রবন্ধে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমাই উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল। পবিত্র কুরআনের এই সুসংবাদ হ’তেই মানুষ তাঁর নিকট বিভিন্নভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তওবা করে, নিজের পিতা-মাতা, পরিবারবর্গ, আ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।কুরআন মাজীদ দ্বারা তাক্বলীদের খন্ডন :(ক) আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ‘যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তার পিছে পড়ো না’ (বণ
মানব জীবনে পারিবারিক বন্ধন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বামী ও স্ত্রীর মাধ্যমে এই পরিবার গড়ে ওঠে। বিবাহের মাধ্যমেই এ সম্পর্কের সূত্রপাত। আবার কখনো যদি সম্পর্কের টানাপোড়নে একত্রে বসবাস সম্ভব না হয়, তাহ’লে তালাকের মাধ্যমেই তার পরিসমাপ্তি ঘটে। তাই তা
ছালাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত। এ ইবাদত কবুল হওয়ার উপরেই অন্যান্য ইবাদত নির্ভর করে। অথচ মানুষ ছালাতের যথার্থ গুরুত্ব অনুধাবন না করে যেনতেনভাবে ছালাত আদায় করে। এ ধরনের ছালাত আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না; বরং এসব ছালাত আদায়কারীর জন্য পরকালে কঠিন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।(মুক্বাল্লিদদের) একটি চালাকি :আধুনিক যুগে দেওবন্দী ও ব্রেলভী আলেমগণ এই চালাকি করেন যে, তারা তাক্বলীদের অর্থই পরিবর্তন করে দেন। যাতে সাধারণ মানুষ তাক্ব
[দেশের প্রখ্যাত আলেম, মাসিক ‘মদীনা’ পত্রিকার সম্পাদক এবং বাংলা ভাষায় ইসলামী ভাবধারায় সাহিত্য রচনার অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (১৯৩৫-২০১৬)। তিনি ছিলেন দেশের ইসলামী আন্দোলনের একজন সাহসী মুরববী। মাযহাবী মতভিন্নতা সত্ত্বেও ‘আহলেহাদীছ
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব । তাওয়াক্কুল : মনোবিদ্যা ও মনের কাজআল্লাহর উপর ভরসা মন সংক্রান্ত বিদ্যা ও মনোবৃত্তি সংক্রান্ত কাজের সমষ্টি। মনসংক্রান্ত বিদ্যা এজন্য যে, বান্দার জানা আছে যে, আল্লাহই সকল কাজের পরিকল্পনাকারী ও নিয়ন্ত্রক .
সংজ্ঞা :‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নাবী সালামু আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :চোখ বন্ধ করে, চিন্তা-ভাবনা ছাড়া, দলীল ও প্রমাণ ব্যতীত নবী ছাড়া অন্য কারো কথা মানাকে (এবং সেটাকে নিজের উপর আবশ্যিক মনে করাকে) তাক্বলীদ (মুত্বলাক বা নিঃশর্ত তাক্বলীদ) বলা হয়।তাক্
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব ।তাওয়াক্কুলের আলোচিত ক্ষেত্র সমূহ :যেসব ক্ষেত্রে তাওয়াক্কুল আবশ্যক তা আলোচনার দাবী রাখে। এরূপ ক্ষেত্র অনেক রয়েছে। নিম্নে তার কিছু তুলে ধরা হ’ল :১. ইবাদতে তাওয়াক্কুলের আদেশ : আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
পর্ব ১। শেষ পর্ব ।১৩. সশব্দে আমীন : ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَرَأَ (وَلاَ الضَّالِّينَ) قَالَ آمِينَ وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন ‘ওয়ালায যাল্লীন’ পড়তেন, তখন
প্রারম্ভিকা : বিজ্ঞান ও ধর্ম এ দু’টি কি পরস্পর বিরোধী, না-কি একে অপরের পরিপূরক? এটা একটা কঠিন প্রশ্ন, তাই নয় কি? তবে হ্যাঁ, শুরুটাই হ্যাঁ দিয়ে করা যাক। ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং এ ধর্মের মহাগ্রন্থ আল-কুরআনও বিজ্ঞানময়। ইসলাম শুধু কিছু আচারসর্বস
ফযীলত : ১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম অর্থা
পর্ব ১ । পর্ব ২। শেষ পর্ব ।ভূমিকা :সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রতিপালনকারী। ছালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর, যিনি নবী ও রাসূলকুলের শ্রেষ্ঠ। সেই সঙ্গে ছালাত ও সালাম তাঁর পরিবার ও ছাহাবীগণের উপর।অতঃপ
পর্ব ১। শেষ পর্ব । ১. আমাদের আক্বীদা :আমরা অন্তর, যবান ও আমল দ্বারা একথার সাক্ষ্য প্রদান করি যে, لا إله إلا الله ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই’। আল্লাহই প্রধান বিচারপতি, আইনপ্রণেতা, প্রয়োজন পূরণকারী, বিপদ দূরকারী এবং ফরিয়াদ শ্রবণকারী। প্রকৃতি বা স্ব
কখনো তালেবান, কখনো আল-কায়েদা, কখনো জেএমবি, কখনো আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, কখনো আইএস; এভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে, যাদেরকে আমরা জঙ্গী গোষ্ঠী বলে জানি। সময়ের ব্যবধানে এক পর্যায়ে এদের সাময়িক পতনও হয়। কিন্তু মাঝখান দিয়ে প
ভূমিকা :হজ্জ ইসলামের অন্যতম রুকন ও ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। এটি একটি ফরয ইবাদত। যা সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের উপর ফরয। এর গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমনি ফযীলতও সীমাহীন। পৃথিবীতে যত নেক আমল রয়েছে তন্মধ্যে হজ্জ শ্রেষ্ঠতম। রাসূল (ছাঃ) অন্য সকল আমলের উপর হজ্জ
(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্
(২৬) ভুলকারী থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং এই আশায় বিতর্ক পরিহার করা যে, সে সঠিক পথে ফিরে আসবে :ইমাম বুখারী আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ بِنْتَ رَ
হজ্জের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূল : আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বাযঅনুবাদ : ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলামসমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য এবং আখেরাতের শুভ পরিণতি মুত্তাক্বীদের জন্য। আর দরূদ ও সালাম (রহমত ও শান্তি) বর্ষিত হউক আল্লাহর বান্দা, তাঁর
ঊনিশ আর বিশ শতককে বলা যায় মুসলমানদের জন্য এক ক্ষয়িষ্ণুতার যুগ। একালে এসে মুসলমানরা যা পেয়েছে, তার চেয়ে হারিয়েছে অনেক বেশি। সাম্রাজ্যবাদের রক্তাক্ত থাবা একালে মুসলমানদের যত বেশি রক্ত ঝরিয়েছে বোধ হয় এর নযীর ইতিহাসে খুব একটি পাওয়া যাবে না। দেখতে দেখতে ম
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। শেষ পর্ব।(২০) পাওনাদারের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া এবং ভুলকারীর মান-মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা :ইমাম মুসলিম (রহঃ) আওফ বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন,
২২. পিতামাতার সাথে সদাচরণ করা :পিতা-মাতার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়াতে আসে। তাই তাদের প্রতি সদাচরণ করা প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য করণীয়। এটা আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক পসন্দনীয় আমলও বটে। এর বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-ক
মাহে রামাযান আল্লাহর এক অনন্য নে‘মত। বান্দাদের পরকালীন মুক্তি ও জান্নাত লাভের সুযোগ করে দিতে এ মাস আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুদান, অতি বড় ইহসান ও অনুগ্রহ। ছহীহ হাদীছে রামাযান ও ছিয়ামের অশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। তারপরেও এ মাসের ফ
নফল ইবাদতের মধ্যে নফল ছিয়াম অতিগুরুত্বপূর্ণ। বছরের বিভিন্ন সময়ে নফল ছিয়াম রাখা যায়। বিভিন্ন সময়ের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে একেকটির ফযীলতও একেক ধরনের। নিম্নে নফল ছিয়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল।ছিয়ামের ফযীলত :রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ صَامَ يَو
আযান :আযান অর্থ আহবান করা, ঘোষণা করা। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে শরী‘আত সম্মত উপায়ে উচ্চৈঃস্বরে ছালাতের ঘোষণা প্রদানকে আযান বলা হয়। মুওয়াযযিনের বহু ফযীলত রয়েছে। যেমন মুওয়াযযিনের আযানের আওয়ায যত দূর যাবে তত দূর পর্যন্ত সকল মানুষ, জি
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। শেষ পর্ব।(১৪) সরাসরি ভুলকারীর নাম না বলে আমভাবে বলা :আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَرْفَ
১২. মসজিদে গমন করা : মসজিদে গমন ছওয়াব লাভের অন্যতম মাধ্যম। মসজিদে গমনকারীর জন্য ফিরিশতারা আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَاحَ أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَو
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ
ঈদায়নের ছালাত ১ম হিজরী সনে চালু হয়। এটা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে তা আদায় করেছেন এবং নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এদিন সর্বোত্তম পোষাক পরিধান করতেন ও নিজ স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে ঈদগা
পবিত্র রামাযান সর্বশ্রেষ্ঠ মাস : আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্যে পৌঁছাতে বান্দাকে অবশ্যই তাঁর সন্তুষ্টির জন্য সংগ্রাম করতে হয়। বান্দা যখন সচেতন হৃদয়ে শরী‘আত সম্মত পদ্ধতিতে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করে তখন এ কাজটা সহজসাধ্য হয়। বছরের অন্য সময় অনেকের পক্ষে এটা সহজ হ
পৃথিবী এবং সূর্য আপন আপন কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। এই ঘূর্ণনের ফলে আবর্তিত হয় দিন ও রাত; পরিলক্ষিত হয় ঋতুবৈচিত্র্য। এই ঋতুবৈচিত্র্যের কারণে পৃথিবীর সর্বত্র সর্বদা দিন-রাত্রি সমান হয় না। এর পেছনে কারণ হিসাবে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা যায়। যেমন, পৃথিবীর আহ্ন
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। শেষ পর্ব।(৯) ভুলের ভয়াবহতা বর্ণনা করা :ইবনু ওমর, মুহাম্মাদ বিনু কা‘ব, যায়েদ বিন আসলাম ও কাতাদা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, এ বর্ণনা অবশ্য তাদের পরস্পরের বর্ণনার সং
জান্নাত লাভের কতিপয় উপায় ভূমিকা : ইহকালীন জীবনে মানুষের কৃতকর্মের মাধ্যমে অর্জিত নেকী পরকালীন জীবনে পরিত্রাণ লাভের অসীলা হবে। তাই দুনিয়াতে অধিক নেক আমলের দ্বারা বেশী বেশী ছওয়াব লাভের চেষ্টা করা মুমিনের কর্তব্য। কিন্তু পার্থিব জীবনের মায়াময়তায় জড়িয়ে আ
প্রশ্ন : আমরা কি চাই? উত্তর : আমরা আমাদের সার্বিক জীবনে তাওহীদে ইবাদত তথা আল্লাহর দাসত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই।প্রশ্ন : কেন চাই? উত্তর : ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির জন্য এটা চাই।প্রশ্ন : কিভাবে চাই? উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের
ফাযায়েল :(ক) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[1](খ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদ
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’(ليلة البراءة) বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফারসী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।আমানত আদায়ের আরো কিছু নমুনা :জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘ওহোদের দিন তার পিতা ছয় মেয়ে ও কিছু ঋণ তার উপর রেখে শাহাদত বরণ করেন। (তিনি বলেন,) এরপর যখন খে
(খ) মাওকূফ বর্ণনাসমূহ :দলীল-১ : ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) লিখেছেন,رَوَاهُ أَبُو عُبَيْدٍ فِيْ كِتَابِ الطُّهُورِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ عَنْ الْمَسْعُودِيِّ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ قَا
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। শেষ পর্ব।৫. উপদেশ ও পুনঃপুনঃ ভয় দেখানোর মাধ্যমে ভুলের প্রতিকার :জুনদুব বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুশরিকদের
[মাওলানা আব্দুস সাত্তার দেহলভী ভারতীয় উপমহাদেশের একজন উঁচুদরের আলেম, মুফাসসির ও মুহাদ্দিছ ছিলেন। তিনি ১৩২৩ হিঃ/১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় বছর বয়সে তাঁর শিক্ষার হাতে খড়ি হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কুরআন মাজীদ মুখস্থ করেন। অতঃপর
ইসলামের অন্যতম রুকন ছালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য ওযূ যরূরী। ওযূ ঠিকভাবে করা না হ’লে ছালাত হয় না। তাছাড়া ওযূ একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে ওযূকারীর শরীর থেকে ছগীরা গোনাহগুলি ঝরে যায়। ছালাত সিদ্ধ হওয়া এবং ওযূর উক্ত ফযীলত লাভের জন্য ওযূ রাসূল (ছাঃ) প্রদর্শিত তরীকায়
পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত :মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,إِلَّا الْمُصَلِّيْنَ، الَّذِيْنَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُوْنَ ‘ছালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, যারা তাদের ছালা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। শেষ পর্ব।ইতিপূর্বে যা কিছু আলোচনা করা হয়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য। অস্বাভাবিক অবস্থায় পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা
এই প্রশ্ন জাগে যে, আমীর নিযুক্ত করা কি যরূরী এবং এর প্রমাণ কি? জওয়াব : জওয়াবদানের পূর্বে একথা স্মরণ রাখা উচিত যে, সেই দলীলগুলিই গ্রহণযোগ্য এবং শক্তিশালী হয়, যার প্রমাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈন থেকে পাওয়া যায়। আর কুরআন মাজীদ সে বি
মুমিনের সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জন্য নিবেদিত হবে। তার প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত হবে আল্লাহর স্মরণে এবং তাঁর বিধান পালনের মাধ্যমে। তার সকল কর্ম সম্পাদিত হবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অনুসরণ-অনুকরণের মধ্য দিয়ে। যেমনভাবে মুমিনের দিন অতিবাহিত করার আদব শিক্ষা দেওয়
ভূমিকা : কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ এলাহী কিতাব। এ কিতাবের মাঝে যেমন মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে, তেমনি এটি তেলাওয়াত করলে এর প্রতিটি বর্ণের বিনিময়ে দশটি করে নেকী পাওয়া যায়।[1]
ভূমিকা :মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদই হচ্ছে মীরাছ, যা মৃতের নিকটাত্মীয়রা লাভ করে। প্রাচীনকাল থেকে মৃতের সন্তানাদি ও আত্মীয়দের মাঝে সম্পত্তি বণ্টনের নিয়ম চলে আসছে। সম্পদ বণ্টনে অনিয়ম হ’লে উত্তরাধিকারীদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে
দেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে আছে
[প্রফেসর হাফেয আব্দুল্লাহ বাহাওয়ালপুরী পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, মাসলাকে আহলেহাদীছ-এর অনেক বড় দাঈ ও মুবাল্লিগ ছিলেন। তিনি ১৯২৪ সালের দিকে পূর্ব পাঞ্জাবের আম্বালা যেলার রোপাড় তহসিলের ডুগরী নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলভী নূর ম
‘ফৎওয়া’ মুমিন জীবনের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ। যেকোন জিজ্ঞাসার জবাবে দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে শরী‘আতের বিধান বর্ণনা করাকে ফৎওয়া বলে। পবিত্র কুরআনে ‘ফৎওয়া’ শব্দটি ৯টি আয়াতে মোট ১১ বার এসেছে। মহান আল্লাহ নিজের শানেও ফৎওয়া শব্দটি ব্যবহার করেছেন। যেমন-
মানুষকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। তাদের এই শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ আসমানী কিতাবসহ অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সৃষ্টির সেরা হিসাবে মানুষ তাঁরই ইবাদত করবে এটাই স্বাভাবিক। ইসলাম আল্লাহ মনোনীত জীবন ব
দেশে বিভিন্ন দল ও উপদল রয়েছে। এদের উদ্ভব ভিন্ন ভিন্ন কারণে। বস্ত্তবাদী ও অনৈসলামিক দলের পাশাপাশি ইসলামের নামেও দেশে বহু দল রয়েছে। যাদের সকলের ধর্ম ইসলাম, ধর্মগ্রন্থ কুরআন, লক্ষ্য জান্নাত। কিন্তু তাদের অনেকের আক্বীদা ইসলাম বিরোধী, কর্ম কুরআন-হাদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।দেশ ও জাতির কল্যাণে আমানতদার নেতৃত্ব :বিশ্বস্ত আমানতদার, যোগ্য ও মেধাবী ব্যক্তি বর্তমানে সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। পিতা-মাতার সীমাহীন ত্যাগে গড়ে ওঠা মেধাবী সন্তান আজ অযো
ভূমিকা : ‘সিজদা’ এক অনন্য বা অদ্বিতীয় সম্মাননা, যা শুধু আল্লাহরই প্রাপ্য। মহান আল্লাহ বলেন, وَاسْجُدُوا لِلَّهِ ‘তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর’ (ফুছছিলাত ৪১/৩৭)। সিজদা দ্বারা মানব জাতির পিতা আদম (আঃ)-কে প্রথম অভ্যর্থনা জানান হয়। এর দ্বারা মানুষকে শ্র
ভূমিকা : কোন কোন মুসলিম ভাই বিভিন্ন অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা দ্বারা নারী-পুরুষের ছালাতের মাঝে পদ্ধতিগত পার্থক্য নিরূপণের চেষ্টা করেন। তারা ১৮টি পার্থক্য তুলে ধরে থাকেন। বঙ্গানুবাদ ‘বেহেশতী জেওর’ বইয়ে ১১টি পার্থক্য উল্লেখ করা হয়েছে।[1] তারা মারফূ‘, মাওকূফ
পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।(7) عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ الْعَامِرِىُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم حَجَّتَهُ، فَصَلَّيْتُ مَعَهُ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِى مَسْجِدِ الْخَيْفِ. قَالَ فَلَمَّا قَضَى ص
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭। শেষ পর্ব।৫. ভুল সংশোধনে প্রবৃত্ত ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান মূল্যায়ন (اعتبار موقع الشخص الذي يقوم بتصحيح الخطأ) :সমাজে কিছু লোকের কথা মান্য করা হ’লেও ঐ কথ
[প্রখ্যাত আহলেহাদীছ আলেম মাওলানা আব্দুল কাদের হিছারী ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের হিছার যেলার গঙ্গা গ্রামে ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা ও পিতা উভয়ে আলেম ছিলেন। পিতা মাওলানা মুহাম্মাদ ইদরীসের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর উচ্চশিক্ষা অর্জনের ন