উত্তর :
উপরোক্ত শ্লোগানটি যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ যে দাওয়াত নিয়ে আগমন করেছিলেন,
তারই প্রতিধ্বনি। সকল নবী-রাসূলই দুনিয়াতে এসেছিলেন এই দাওয়াত নিয়ে যে,
তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে বেঁচে থাকো (নাহল ১৬/৩৬)।
নূহ (আঃ) ৯৫০ বছর যাবৎ দাওয়াত দিয়ে মাত্র ৪০ জন অনুসারী পেয়েছিলেন।
ক্বিয়ামতের দিন কোন নবী উম্মতশূন্য, কেউ একজন, কেউ দু’জন উম্মত নিয়ে হাযির
হবেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৯৬)। দ্বীনকে রাষ্ট্রে
প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কোন নবী দাওয়াত দেননি। বরং মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে
দেওয়ার জন্যই তারা দাওয়াত দিয়ে গেছেন। বুলেট ও প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতি
দু’টিই নবীদের আদর্শের বিরোধী। আল্লাহ তা‘আলা জোরপূর্বক দাওয়াত গ্রহণ করানো
থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২৫৬; গাশিয়া ৬৮/২২)।
শরী‘আত প্রদর্শিত বৈধ পন্থায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সকলের ঈমানী দায়িত্ব।
ফলাফলের মালিক আল্লাহ। ‘খেলাফত’ ইসলামী জীবন-যাপনের সহায়ক মাধ্যম মাত্র,
কখনোই অপরিহার্য অঙ্গ নয়। যে নে‘মত স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা মুমিন বান্দাদেরকে
দান করার ওয়াদা করেছেন (নূর ২৪/৫৫)। তা অর্জনের জন্য কোন অবৈধ
পন্থা অবলম্বনের সুযোগ নেই। দেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য অহি-র
বিধান অনুসরণের গুরুত্ব এবং তা অনুসরণ না করলে পরকালীন জীবনের ভয়াবহ পরিণাম
সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা ওলামায়ে কেরামের প্রধান দায়িত্ব। সেই সাথে
দল ও প্রার্থীবিহীন ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতির কল্যাণকারিতা বিষয়ে
জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে জাতি ক্ষমতার লড়াইয়ে আপোষে মারামারি ও
হানাহানি থেকে বেঁচে যায়। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ একনিষ্ঠভাবে সে
কাজটিই করে যাচ্ছে। আল্লাহ কবুল করলে কেবল বাংলাদেশেই নয় সমগ্র পৃথিবীতে
একদিন অহি-র বিধান প্রতিষ্ঠা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (বিস্তারিত দ্রঃ ‘ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’ বই)।