উত্তর : ছহীহ হাদীছ কখনো কুরআন বিরোধী হবে না। যদি কখনো পরস্পর বিরোধী মনে হয়ে থাকে, তবে সেটি আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ফল। কেননা শরী‘আত প্রণেতার কোন বিধানে স্ববিরোধিতা নেই। আর রাসূল (ছাঃ) যা বলতেন তা অহী (নাজম ৫৩/৩-৪)। এক্ষণে কোন হাদীছ বাহ্যত যদি কুরআন বিরোধী মনে হয়, তার সমাধানে মুহাদ্দিছগণের নীতি হ’ল- প্রথমতঃ হাদীছটির সনদ যাচাই করতে হবে। অতঃপর হাদীছটি বিশুদ্ধ হ’লে তার সঠিক ব্যাখ্যা তালাশ করতে হবে এবং আয়াত ও হাদীছের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে উভয়টির মাঝে যাচাই সাপেক্ষে কোন একটি হুকুমকে মানসূখ গণ্য করতে হবে। আর শেষাবধি কোন হুকুমটি মানসূখ তা নির্দিষ্ট করা না গেলে ‘অগ্রগণ্য কারণসমূহে’র (قرائن الترجيح) ভিত্তিতে কোন একটি হুকুমকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং তার উপর আমল করতে হবে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ফিকহী নীতিমালা রয়েছে (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : নববী, শরহ মুসলিম, পৃঃ ১/৩৫; শাওকানী, ইরশাদুল ফুহূল ২/২৬০-২৭৩)।