উত্তর : আয়াতটির অর্থ : তিনি (আল্লাহ) দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমের রব (রহমান ৫৫/১৭)। মুজাহিদ বলেন, দুই পূর্ব বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের দুই উদয়াচল এবং দুই পশ্চিম বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের দুই অস্তাচলকে বুঝানো হয়েছে (তাফসীরে ত্বাবারী ২৩/২৭-২৮; তাফসীরে ইবনু কাছীর)। এখানে দ্বিবচন দ্বারা বহুবচন উদ্দেশ্য। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আমি শপথ করছি উদয়াচল সমূহের ও অস্তাচল সমূহের প্রতিপালকের (মা‘আরিজ ৭০/৪০)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচল সমূহের (ছাফফাত ৩৭/৫)। অত্র আয়াতসমূহে সৌর বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস বর্ণিত হয়েছে যে, পৃথিবী সর্বদা ঘূর্ণায়মান। সূর্যের কিরণ যখনই পৃথিবীর যে অংশে পড়ছে, তখনই সেখানে তা উদয় হচ্ছে এবং যখনই তা চলে যাচ্ছে, তখনই সেখানে তা অস্ত যাচ্ছে। এভাবে প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে উদয়াচল ও অস্তাচলের পার্থক্য ঘটছে। আর এটাই হ’ল পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির বড় প্রমাণ। সূর্য ৩৬০ দিন ৩৬০টি রেখায় চলে। প্রতিটি রেখাই স্বতন্ত্র। ফলে প্রতিদিনই সূর্যের উদয়াচল ও অস্তাচল পরির্বতন হয়।