উত্তর : শিশুদের খেলার জন্য অস্থায়ী ভাবে ব্যবহার্য খেলনা পুতুল ব্যবহার করা নাজায়েয নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৪১৫; ইবনু হাযম, মুহাল্লা মাসআলা নং ১৯১০; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১২/১২১)। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম আর আমার কিছু সাথীও আমার সাথে খেলা করত। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রবেশ করতেন তখন তারা আত্মগোপন করত। কিন্তু তিনি তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন, অতঃপর তারা আমার সাথে খেলত (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৩২৪৩)। নববী বলেন, মেয়েদের খেলনার বিষয়টি স্বতন্ত্র। কারণ এ ব্যাপারে ছাড় রয়েছে। খেলনাটি মানবাকৃতির হৌক বা প্রাণীর আকৃতির হৌক, দেহধারী হৌক বা দেহহীন হৌক, প্রাণীকুলের মধ্যে তার সাদৃশ্য থাক বা না থাক যেমন দু’ডানা ওয়ালা ঘোড়া (ফাৎহুল বারী ১০/৫২৭; তোহফা ৫/৩৫০)। আয়েশা (রাঃ) মাটি দিয়ে নিজ হাতে এই পুতুলগুলো বানিয়েছিলেন। অতএব এভাবে মাটির পুতুল তৈরি করে তাকে কাপড় পরানো ও সেবা-যত্ন করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সন্তান প্রতিপালনের প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এতে দোষ নেই। অবশ্য একদল বিদ্বান ছবি ও মূর্তি নিষিদ্ধের আম হাদীছের উপর ভিত্তি করে যাবতীয় আকৃতিবিশিষ্ট খেলনা ব্যবহার করা হারাম বলেছেন (ফাৎওয়াশ শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম ১/১৮০-১৮৩; তুয়াইজিরী, ই‘লানুন নাকীর ৯৭ পৃ:)। তবে আম হাদীছের বিপরীতে খাছ হাদীছ বর্ণিত হওয়ায় ছোট শিশুদের জন্য যেকোন আকৃতির খেলনা ব্যবহার করা জায়েয (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/৫০০; কারযাভী, আল-হালাল ওয়াল হারাম ১০৩-১০৪ পৃ:)। উল্লেখ্য যে, এসব খেলনা কেবল খেলনা হিসাবেই ব্যবহার করা যাবে। শোকেসে বা অন্য কোথাও প্রদর্শনীর জন্য তা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
প্রশ্নকারী : ওমর ফারূক, বহরমপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।