উত্তর : এরূপ অন্ধ অনুসরণকে তাক্বলীদে শাখছী বলা হয়। অর্থাৎ ‘নবী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির কোন শারঈ সিদ্ধান্তকে বিনা দলীলে মেনে নেওয়া। এর ফলে মানুষ অন্য একজন মানুষের অন্ধ অনুসারী হয়ে পড়ে। অনুসরণীয় ব্যক্তির ভুল-শুদ্ধ সব কিছুকেই সে সঠিক মনে করে। মানুষ যুগে যুগে কখনো তার বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রসম-রেওয়াজের অনুসারী হয়েছে, কখনো কোন সাধু ব্যক্তি অথবা ধর্মনেতার অনুসারী হয়েছে। ফলে নবীদের মাধ্যমে আল্লাহ প্রেরিত ইলাহী সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করেও অনেকে তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে শুধুমাত্র তাক্বলীদী গোঁড়ামীর কারণে।
এভাবে কারো তাক্বলীদ করে কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে অবজ্ঞা করলে সে জাহান্নামী হবে। অপরদিকে কুরআন ও হাদীছের বিশুদ্ধ দলীল অনুযায়ী নবী (ছাঃ)-এর অনুসরণ করাকে বলা হয় ‘ইত্তেবা’। কোন বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ফৎওয়া নিশ্চিতভাবে জানার পর নিঃসংকোচে তা মেনে নেওয়া প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। ইচ্ছাকৃতভাবে বা দুনিয়াবী কোন স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে অথবা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির দোহাই দিয়ে তা পরিত্যাগ করলে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানদার হ’তে পারবে না (নিসা ৪/৬৫)। এভাবে যদি সে কুরআন বা হাদীছের কোন বিশুদ্ধ আমলকে অপসন্দ করে, তাহ’লে তার সমস্ত আমল বরবাদ হবে (মুহাম্মাদ ৪৭/৯, ৩৩)। তবে কোন মুসলিম ব্যক্তিকে কাফের, ঈমানহীন, মুনাফিক, জাহান্নামী ইত্যাদি আখ্যা দেয়া বা সম্বোধন করা শরী‘আতসম্মত নয় (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৪৮১৫)। বরং কারু মাঝে এরূপ দোষ দেখা দিলে বলতে হবে যে, এরূপ কাজ বা চিন্তা কুফরী বা শিরকের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।