উত্তর :
মামার পরিবার এই মন্দ আচরণের মাধ্যমে কবীরা গুনাহগার হয়েছে। এর বিপরীতে
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে যারা অপমানিত হয়েছে তারা অশেষ নেকীর
অধিকারী হয়েছে। জনৈক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর
রাসূল (ছাঃ)! আমার আত্মীয়-স্বজন আছে। আমি তাদের সাথে সদাচরণ করি, কিন্তু
তারা আমাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার
ক্ষতি করে। আমি তাদের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শন করি, কিন্তু তারা আমার সঙ্গে
মূর্খতাসুলভ আচরণ করে। তখন তিনি বললেন, তুমি যা বললে, এটিই যদি প্রকৃত
অবস্থা হয়, তাহ’লে তুমি যেন তাদের উপর জ্বলন্ত অঙ্গার নিক্ষেপ করছ (অর্থাৎ
তারা এই আচরণের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির উপযুক্ত হয়েছে)। আর সর্বদা তোমার
সঙ্গে আল্লাহর তরফ থেকে তাদের বিপক্ষে একজন সাহায্যকারী (ফেরেশতা) থাকবে,
যতক্ষণ তুমি এ অবস্থায় বহাল থাকবে’ (মুসলিম হা/২৫৫৮; মিশকাত হা/৪৯২৪; ছহীহাহ হা/২৫৯৭)। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত সম্পর্কছিন্নকারী আত্মীয়দের উপর নিঃসন্দেহে আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, আত্মীয়দের সাথে ন্যূনতম হ’লেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সালাম প্রদানের মাধ্যমে হ’লেও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৬০২; ছহীহাহ হা/১৭৭৭)। তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিদানের বিনিময়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী প্রকৃত আত্মীয়তা রক্ষাকারী নয়। বরং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হ’লে যে ব্যক্তি তা যুক্ত করে সেই হ’ল আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী’ (বুখারী হা/৫৯৯১; আবূদাঊদ হা/১৪৮৯)। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মানুষের আমলসমূহ জমা করে আল্লাহর নিকট পেশ করা হয়। কিন্তু আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর আমল কবুল করা হয় না (আহমাদ হা/১০২৭৭; ছহীহুত তারগীব হা/২৫৩৮)। সুতরাং কোনভাবেই আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না।