উত্তর : ভারসাম্য বজায় রেখে উভয়টিই করতে হবে। নিঃসন্দেহে পরিবারের হক আদায় করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইবাদতের পরেই পিতা-মাতার সেবা করার আদেশ দিয়েছেন (ইসরা ১৭/২৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমার উপর তোমার দেহের হক আছে, চক্ষুদ্বয়ের হক আছে, স্ত্রীর হক আছে এবং তোমার অতিথির হক আছে’ (বুখারী হা/১৯৭৫; মুসলিম হা/১১৫৯; মিশকাত হা/২০৫৪)। আরেক বর্ণনায় রয়েছে, ‘আর তোমার উপর তোমার সন্তানের হক আছে’ (মুসলিম হা/১১৫৯)। সুতরাং নিজ পরিবারের মৌলিক হকসমূহ আদায় করার পাশাপাশি দাওয়াতী কাজ করতে হবে। আর আল্লাহর পথে দাওয়াতের নেকী সর্বাধিক (ক্বাছাছ ২৮/৮৭)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে সৎ পথের দিকে আহবান করে, তার জন্য সেই পরিমাণ ছওয়াব রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে। অথচ এতে তাদের নিজস্ব ছওয়াবে কোনরূপ কমতি হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কাউকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করে, তার জন্যও ঠিক সেই পরিমাণ গোনাহ রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে। অথচ তাদের নিজস্ব গোনাহে কোনরূপ কমতি হবে না’ (মুসলিম হা/২৬৭৪; মিশকাত হা/১৫৮)।