উত্তর : ওযূ করা যরূরী নয়। তবে সর্বদা ওযূ অবস্থায় থাকা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক’ (মুসলিম হা/২২৩; মিশকাত হা/২৮১)। তিনি আরো বলেন, ওযূ করার মাধ্যমে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে ছগীরা গুনাহ ঝরে যায় (মুসলিম হা/২৪৫; মিশকাত হা/২৮৪)| একদিন ফজরের পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বেলালকে ডেকে বললেন, কোন কাজ তোমাকে আমার আগে আগে জান্নাতে নিয়ে যাচ্ছে? কেননা যখনই আমি জান্নাতে প্রবেশ করি, তখনই আমার আগে আগে তোমার গমনের আওয়ায শুনি। জবাবে বেলাল বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আযান দিলেই তার পরে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করি এবং যখনই ওযূ নষ্ট হয় তখনই ওযূ করি এবং মনে করি যেন আমার উপরে আল্লাহর জন্য দু’রাক‘আত ছালাত আবশ্যিক হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ, এজন্যই হ’তে পারে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩২৬; কাছাকাছি একই মর্মের হাদীছ মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩২২ নফল ‘ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। এমনকি রাতে শোয়ার সময়ও যে ব্যক্তি ওযূ করে শয়ন করে, তাঁর সাথে একজন ফেরেশতা থাকে এবং সে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত দো‘আ করতে থাকে যে, হে আল্লাহ! তোমার অমুক বান্দাকে তুমি ক্ষমা কর। কেননা সে ওযূ অবস্থাতেই শয়ন করেছে (ইবনু হিববান হা/১০৫১, ছহীহাহ হা/২৫৩৯)।