উত্তরঃ ইমাম আবু আব্দুল্লাহ
মুহাম্মাদ ইবনু ওমর ফখরুদ্দীন রাযী (রহঃ) ৫৪৪ হিজরী সনে ইরানের রায় শহরে
জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬০৬ হিজরী সনে আফগানিস্তানে মারা যান। তিনি আশ‘আরী
আক্বীদায় বিশ্বাসী একজন উঁচুদরের আলেম, মুফাসসির ও দার্শনিক ছিলেন। তিনি
বিখ্যাত তাফসীর ‘তাফসীরে কাবীর’-এর প্রণেতা। তবে তাঁর রচিত ‘আস-সিররুল
মাকতূম ফিস সিহরে ওয়া মুখাতাবাতুন-নুজূম’ নামক গ্রন্থে তিনি নক্ষত্র ও
মূর্তিপূজাকে সমর্থন করে বই লিখেন। এর পক্ষে প্রমাণ সমূহ উপস্থাপন করেন।
সেকারণ ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রাঃ) বলেন, ‘এটি মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য মতে
ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শামিল (وَهَذِهِ رِدَّةٌ عَنْ الْإِسْلَامِ
بِاتِّفَاقِ الْمُسْلِمِينَ)। যদিও কখনো কেউ তওবা করে ইসলামের দিকে ফিরে
আসে’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৫৫)।
তবে শেষ জীবনে তিনি পূর্ববর্তী কর্মকান্ডের জন্য লজ্জিত হন এবং তওবা করে সালাফে ছালেহীনের অনুসৃত পথে ফিরে আসেন (ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ১৩/৫৫; ইবনুল ক্বাইয়িম, ছাওয়ায়েকুল মুরসালাহ ৩/১১৬৬)। ইমাম যাহাবী বলেন, আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিবেন। কারণ তিনি প্রশংসিত পথের উপর মৃত্যুবরণ করেন (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২১/৫০০)।