উত্তর :
এ বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা তারাবীহ এবং তাহাজ্জুদ উভয়টি রাত্রিকালীন নফল
ছালাত। পরবর্তীতে রামাযান মাসে রাত্রিকালীন এ নফল ছালাতের নামকরণ হয়েছে
তারাবীহ। সুতরাং তারাবীহ, ক্বিয়ামে রামাযান, ছালাতুল লায়েল ও ছালাতুত
তাহাজ্জুদ সব একই ছালাতের নাম (মির‘আত ৪/৩১১)।
অতএব যারা তারাবীহ এবং তাহাজ্জুদকে পৃথক ছালাত বলেন তাদের কথা যে বাতিল তা
প্রমাণের জন্য হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটিই যথেষ্ট। তিনি বলেন, রাসূল
(ছাঃ) রামাযানে ও রামাযানের বাইরে কখনো রাত্রিকালীন নফল ছালাত ১১ রাক‘আতের
বেশী পড়তেন না (বুখারী হা/১১৪৭, মুসলিম হা/১৭৫৭)।
নবী করীম (ছাঃ) রামাযান মাসে রাত্রিকালীন নফল ছালাত ২০ রাক‘আত পড়েছেন মর্মে ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি যঈফ হওয়ার পাশাপাশি বুখারী-মুসলিমের উপরোক্ত ছহীহ হাদীছের বিরোধী। সুতরাং হাদীছটি আমলযোগ্য নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযানের রাতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ দু’টিই পড়েছেন বলে ছহীহ বা যঈফ হাদীছে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না (মির‘আত ৪/৩১১)।