উত্তর : একথা সত্য। যে ব্যক্তি অন্যায় করে ও যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্ত্বেও উক্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না, পাপের দিক দিয়ে উভয়ে সমান। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি দৃষ্টান্ত পেশ করেন। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহর নির্ধারিত বিধানে অবহেলাকারী এবং অন্যায়ে পতিত ব্যক্তির দৃষ্টান্ত এমন সম্প্রদায়ের ন্যায়, যারা একটি জাহাযে লটারীর মাধ্যমে নিজেদের স্থান নির্ধারণ করল। তদনুযায়ী কারো স্থান নীচের তলায় এবং কারো স্থান উপরের তলায় হ’ল। আর নীচের লোকেরা পানির জন্য উপরের লোকদের নিকট যাতায়াত করলে তাদের অসুবিধা ঘটে। তাই নীচের এক ব্যক্তি একখানা কুঠার নিল এবং জাহাযের তলা ছিদ্র করতে লাগল। এ সময় উপরের লোকেরা এসে জিজ্ঞাসা করতে লাগল তোমার কী হয়েছে? সে বলল, আমাদের কারণে তোমাদের কষ্ট হয়। অথচ আমাদেরও পানির একান্ত প্রয়োজন। এ অবস্থায় তারা যদি তার দু’হাত ধরে নেয়, তবে তাকেও রক্ষা করবে এবং নিজেরাও রক্ষা পাবে। আর যদি তাকে তার কাজে ছেড়ে দেয় তবে তাকেও ধ্বংস করবে এবং নিজেরাও ধ্বংস হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৫১৩৮ ‘ন্যায়ের আদেশ’ অনুচ্ছেদ)।
রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, ‘যখন লোকেরা তাদের মধ্যে কোনরূপ অন্যায় হ’তে দেখে অথচ তার প্রতিরোধ করে না, আল্লাহ তার শাস্তিস্বরূপ তাদের সকলের উপর গযব পাঠিয়ে দেন’ (আহমাদ, তিরমিযী হা/৪০০৫, মিশকাত হা/৫১৪২, সনদ ছহীহ)। অতএব অন্যায় রুখতে হবে। নইলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।