উত্তর : (ক) হাদীছের ব্যাপারে এরূপ বক্তব্য স্পষ্ট কুফরী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের। যদি তারা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহ’লে (তারা জেনে রাখুক যে,) আল্লাহ কখনোই কাফেরদের ভালবাসেন না’ (আলে ইমরান ৩/৩২)। তিনি বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা কখনোই মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের বিবাদীয় বিষয়সমূহে তোমাকেই একমাত্র সমাধানকারী হিসাবে গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমার দেওয়া ফায়ছালা সম্পর্কে তারা তাদের মনে কোনরূপ দ্বিধা-সংকোচ পোষণ করবে না এবং অবনতচিত্তে তা গ্রহণ করবে’ (নিসা ৪/৬৫)

(খ) ‘হাদীছ’ সরাসরি আল্লাহর ‘অহী’। আল্লাহ বলেন, ‘রাসূল তাঁর ইচ্ছামত কিছু বলেন না। কেবলমাত্র অতটুকু বলেন, যতটুকু তাঁর নিকটে ‘অহী’ করা হয়’ (নাজম ৫৩/৩-৪)

(গ) হাদীছের বিরোধিতা করার কোন সুযোগ মুমিনের নেই। আল্লাহ বলেন, ‘কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর পক্ষে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দেওয়া ফায়ছালার ব্যাপারে (ভিন্নমত পোষণের) কোনরূপ এখতিয়ার নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল, সে স্পষ্ট ভ্রান্তির মধ্যে নিপতিত হ’ল’ (আহযাব ৩৩/৩৬)। তিনি বলেন, ‘আর রাসূল  তোমাদেরকে যা প্রদান করেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক’ (হাশর ৫৯/৭)। কুরআন ও হাদীছ দু’টিই রাসূল (ছাঃ) দিয়েছেন। অতএব দু’টিই গ্রহণ করতে হবে। একটি গ্রহণ ও অপরটি বর্জন তাঁর অবাধ্যতা করার শামিল।

(ঘ) হাদীছের অনুসরণ অর্থ আল্লাহর অনুসরণ। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল, আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল, আমরা তাদের উপরে তোমাকে পাহারাদার হিসাবে প্রেরণ করিনি’ (নিসা ৪/৮০)

(ঙ) হাদীছের বিরোধিতা করলে দুনিয়া ও আখেরাতে ফিৎনায় পড়া অবশ্যম্ভাবী। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘যারা রাসূলের আদেশ-নিষেধের বিরোধিতা করে, তারা যেন এ বিষয়ে ভয় করে যে, তাদেরকে (দুনিয়াবী জীবনে) গ্রেফতার করবে নানাবিধ ফিৎনা এবং (পরকালীন জীবনে) গ্রেফতার করবে মর্মান্তিক আযাব’ (নূর ২৪/৬৩)।

(চ) হাদীছ হ’ল কুরআনের ব্যাখ্যা। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার নিকটে ‘যিক্র’ (কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে তুমি লোকদের উদ্দেশ্যে নাযিলকৃত বিষয়গুলি তাদের নিকটে ব্যাখ্যা করে দাও এবং যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহ্ল ১৬/৪৪)। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, আল্লাহ পবিত্র কুরআনের অনেক জায়গায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘তোমরা ছালাত প্রতিষ্ঠা কর’। এক্ষণে ছালাত কিভাবে আদায় করতে হবে? ফজর, যোহর, আছর, মাগরিব ও এশার ছালাত কত রাক‘আত কিভাবে আদায় করতে হবে? তা জানতে হ’লে হাদীছের দিকে ফিরে যেতে হবে। এভাবে ছালাত, ছিয়াম, যাকাত ও হজ্জের নিয়ম-কানূন ইত্যাদি ইবাদতগত বিষয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, হালাল-হারাম, বিভিন্ন অপরাধের শাস্তিবিধানসহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলীর বিস্তারিত বিধি-বিধান সমূহ কেবলমাত্র হাদীছের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। সুতরাং হাদীছের অনুসরণ ব্যতীত ইসলামের অনুসরণ বিলাসী কল্পনা বৈ কিছুই নয়।

‘ফরয’ ব্যতীত বাকী সবই ‘নফল’ বা অতিরিক্ত। তন্মধ্যে যেসব ‘নফল’ নিয়মিত করা হয়, সেগুলিকে ‘সুন্নাত’ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অনিয়মিত ও নিয়মিত আচরণ ও কর্মের ভিত্তিতে এগুলি শারঈ পরিভাষা হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে। প্রকৃত মুমিন কখনো কেবল ফরয আদায়ে সন্তুষ্ট হবে না। বরং সে অবশ্যই সুন্নাত ও নফল সমূহ আদায় করবে। কেননা কিয়ামতের দিন ফরযের কোন ত্রুটি হ’লে নফল ইবাদতের নেকী দিয়ে সে ঘাটতি পূরণ করা হবে (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৩০)






বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (২৯/৩৮৯) : ছেলে-মেয়ে অভিভাবক ছাড়া বিবাহের পর মেয়ের পিতা মেনে নিলেও নতুনভাবে আর বিবাহ হয়নি। কিছুদিন পর ছেলেটি মেয়েটিকে তালাক দিয়ে দেয়। এক্ষণে উক্ত বিবাহ বৈধ না হ’লে তালাক দেয়া সঠিক হয়েছে কি? সেক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ করে আবার সংসার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : মোযার উপর মাসাহ করার হুকুম ও শর্ত কী?
প্রশ্ন (২০/৪২০) : আমার জীবিত পিতা আমাদের দশ ভাইবোনের মধ্যে ভাইদের কাউকে বেশী কাউকে কম জমি লিখে দিয়েছেন এবং বোনদের কোন জমি দেননি। এক্ষণে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১০/২৫০) : ক্বিয়ামতের দিন উম্মতে মুহাম্মাদীকে চিনা যাবে তাদের ওযূর চিহ্ন দেখে। কিন্তু পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতকে কিভাবে চেনা যাবে বা নবীগণ কীভাবে তাদের উম্মতকে চিনবেন? - - হাসীনুর রহমান, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (২৩/৪২৩) : বিতর ছালাতের পরে আর কোন ছালাত আছে কি? - -ইকরামুল হোসাইন, জলঢাকা, নীলফামারী।
প্রশ্ন (৩০/২৭০) : যমযমের পানি দাঁড়িয়ে এবং ক্বিবলামুখী হয়ে পান করা কি সুন্নাত?
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : ঈদুল আযহার ছালাতের সময় শেষ রাক‘আতে ইমাম ছাহেব সিজদা দিতে ভুল করার পর পুনরায় সিজদা দিয়ে শেষে সহো সিজদা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই বলছে ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। এক্ষণে করণীয় কি? - -দাঊদ হোসাইনবোয়ালমারী, ফরিদপুর।
প্রশ্ন (৩৪/৪৭৪) : ইহরাম অবস্থায় অধিক হাটহাটির ফলে দুই উরুতে ক্ষতের সৃষ্টি হ’লে তাতে ক্রিম ব্যবহার করা যাবে কি? - -আব্দুর রহমান, সুরিটোলা, ঢাকা।
প্রশ্ন (২/৪৪২) : ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে ইশরাক্ব ছালাতের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, একটি কবুল হজ্জ ও একটি কবুল ওমরার ছওয়াব পাওয়া যাবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৫/৪০৫) : ওযূ করার সময় জুতার উপর মাসাহ করা যাবে কি? - -সাবিনা খাতুন, গোভীপুর, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (২৩/৩৪৩) : ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করা যায় কি? এছাড়া মহিলারা নিজ বাড়ীতে ই‘তিকাফ করতে পারে কি? - -খাদীজা আখতার মালোপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/৩২২) : আমি মানুষকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করছি। কিন্তু তার অধিকাংশই নিজে পালন করতে পারি না। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা কর না তা বল কেন?’। এক্ষণে আমি কি দাওয়াত থেকে বিরত থাকব?
আরও
আরও
.