উত্তর: বন্ধক এবং ঋণের হুকুম একই। ঋণের বিপরীতে লাভ নেওয়া যেমন সূদ, ঠিক তেমনি বন্ধক নেওয়া জিনিস থেকেও কোনরূপ লাভ গ্রহণ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। বন্ধক মূলত ঋণের বিপরীতে যামানত স্বরূপ। সেটার সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঋণগ্রহীতার উপর। শর্তানুযায়ী তার ঋণ পরিশোধ করলে তাকে তার বন্ধকী বস্ত্ত ফেরত দিবে। আর ঋণ পরিশোধে অসম্মতি জানালে তার ঋণের পরিমাণ অনুযায়ী সে তা থেকে উসুল করে নিবে। তবে বন্ধকী বস্ত্ত যদি পশু হয়, সে ক্ষেত্রে রাসূল (ছাঃ) বলেন, বন্ধক নেওয়া পশুর উপর সওয়ার হ’তে পারবে, তার খরচ অনুপাতে এবং তার দুধও পান করতে পারবে তার খরচ অনুপাতে (বুখারী হা/২৩৭৭, মিশকাত হা/২৮৮৬)। উল্লেখ্য যে, একমাত্র পশুর ক্ষেত্রে উপকার গ্রহণ করার অনুমতি পাওয়া যায়। যেহেতু পশুর জীবন রক্ষার জন্য তার দেখাশুনা করা অপরিহার্য, সেহেতু তার উপর ব্যয়কৃত অর্থ অনুপাতে সে তা থেকে উপকার গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু জমির ক্ষেত্রে তা জায়েয নয় (সুবুলুস সালাম হা/৮০৯-এর ব্যাখ্যা, ৩/১০২ পৃঃ)।
উল্লেখ্য যে, বন্ধকী জমির ফসল ভোগ করা অনুরূপ সূদ, যেমনভাবে কাউকে ১০০ টাকা ঋণ দিয়ে ১১০ টাকা নেওয়া সূদ। কেননা ‘ঋণের বিনিময়ে যদি কোন লাভ নেওয়া হয়, তবে সেটাই সূদ’। বন্ধক রাখা হয় কেবলমাত্র ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার স্বার্থে, বাড়তি লাভের জন্য নয়। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ দেয়, আল্লাহ তাকে বহুগুণ বেশী দান করে থাকেন। আল্লাহ রূযির কম-বেশী করে থাকেন এবং তার কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে’ (বাক্বারাহ ২/২৪৫)।