উত্তর : মুছল্ল­ীদের পায়ের সাথে পা ও কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে কাতার সোজা করে দাঁড়ানো ছালাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ (বুখারী হা/৭২৩; মুসলিম হা/৪৩৩; মিশকাত হা/১০৮৭)। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আমাদের মধ্য থেকে একজন পরস্পরের কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে দিতেন’। ছাহাবী নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন, ‘অতঃপর দেখলাম যে, একজন ব্যক্তি মুছল্লীদের পরস্পরের কাঁধে কাঁধ, হাঁটুতে হাঁটু ও গোড়ালিতে গোড়ালি মিলিয়ে দিচ্ছেন’ (আবুদাঊদ হা/৬৬২ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, অনুচ্ছেদ-৯৪)। যার ভিত্তিতে ইমাম বুখারী অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে- ‘ছালাতের কাতারে কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলানো অনুচ্ছেদ’(বুখারী হা/৭২৫, ফাৎহুল বারী, ‘আযান’ অধ্যায়-১০, অনুচ্ছেদ-৭৬)

এখানে পা মিলানো অর্থ পায়ের সাথে পা লাগিয়ে দেওয়া। যাতে কোনরূপ ফাঁক না থাকে এবং কাতারও সোজা হয়। বুখারীর অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা কাতার সোজা কর এবং পরস্পরে ভালভাবে (কাঁধ ও পা) মিলাও’ (বুখারী হা/৭১৯, ‘আযান’ অধ্যায়-১০, অনুচ্ছেদ-৭২; ঐ, মিশকাত হা/১০৮৬ ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ-২৪)। আবুদাঊদের অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘কাঁধগুলি সমান কর ও ফাঁকা বন্ধ কর এবং শয়তানের জন্য কোন জায়গা ছেড়ো না’। ‘কেননা আমি দেখি যে, শয়তান ছোট কালো বকরীর ন্যায় তোমাদের মাঝে ঢুকে পড়ে’ (আবুদাঊদ হা/৬৬৬-৬৭; মিশকাত হা/১১০২, ১০৯৩, ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ-২৪)। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, নু‘মান বিন বাশীরের বর্ণনার শেষাংশে كَعْبَه بكَعْبِه ‘গোড়ালির সাথে গোড়ালি’ কথাটি এসেছে। এর দ্বারা পায়ের পার্শ্ব বুঝানো হয়েছে, পায়ের পিছন অংশ নয়, যেমন অনেকে ধারণা করেন’ (আবুদাঊদ হা/৬৬২; বুখারী হা/৭২৫; ফাৎহুল বারী, ‘আযান’ অধ্যায়-১০)। এখানে মুখ্য বিষয় হ’ল দু’টি-কাতার সোজা করা ও ফাঁকা বন্ধ করা। অতএব পায়ের সম্মুখভাগ সমান্তরাল রেখে পাশাপাশি মিলানোই উত্তম (বিন্তারিত, ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৪৮ পৃ. দ্রষ্টব্য)। এক্ষণে কেউ পায়ের সাথে পা মিলানোর পদ্ধতি বুঝতে না পারলে সুন্নাতপন্থী আলেমের নিকট থেকে তা জেনে নিবে।

প্রশ্নকারী : এম ওমর ফারূক, দিনাজপুর।








বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : আমাদের এখানে মাযহাবী মসজিদে জুম‘আর খুৎবায় নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাহাবীর জন্য দো‘আ করা হয়। এটি কি সঠিক? এছাড়া এ নিয়ম কবে থেকে শুরু হয়েছে? - -আব্দুল বাসেত, মেলান্দহ, জামালপুর।
প্রশ্ন (১৪/১৭৪) : ফরয গোসল আবশ্যক হওয়া অবস্থায় দো‘আ-দরূদ পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৬/৩৬৬) : সূদের টাকা ছওয়াবের আশা ছাড়া কোথায় দান করা সবচেয়ে উত্তম? আমি চাচ্ছি না মাদ্রাসায় এই টাকা ‘তালিবে ইলম’ দের কোন কাজে ব্যবহৃত হোক। - -ওয়াহীদুর রহমান, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/৩৬২) : রামাযান মাসে জান্নাতের দরজা খোলা হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়। তাহ’লে এ মাসে কেউ মারা গেলে সে কি জান্নাতে যাবে? সে যদি পাপী ব্যক্তি হয় তবুও কি জান্নাতে যাবে?
প্রশ্ন (৮/২০৮) : আরব দেশে নামের সাথে পিতা এমনকি দাদার নাম যোগ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এর প্রচলন নেই। এর কারণ কি? কিভাবে নাম রাখা উত্তম?
প্রশ্ন (৩৭/৩৯৭) : জনৈক মাওলানা জুম‘আর খুৎবায় বলেন, আদম (আঃ) ৬০ হাত লম্বা ছিলেন এবং শরীরের প্রশস্ততা ছিল ৭ ফুট। এর সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৬/৪২৬) : কুরবানীর দিন ছিয়াম রাখার ব্যাপারে শরী‘আতের কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (২৯/৩৮৯) : কুরআনের আরবী শব্দাবলী বুঝার জন্য বাংলা অক্ষরে উচ্চারণ করে লেখা যাবে কি? এছাড়া অন্য ভাষাতে লেখা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩০/৩০) : প্রতিবেশী গরীবদের কিছু দান করার জন্য নিজ পরিবারে কিছু ব্যয় সংকোচন করায় পরিবার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না। তাদের মতে, সর্বোত্তম ব্যয় হ’ল নিজ পরিবারে ব্যয় করা। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩/১৬৩) : জনৈক বক্তা বলেছেন যে, নবী করীম (ছাঃ) ঘুমালেও তঁার ওযূ নষ্ট হ’ত না। এটা তার একটা মু‘জিযা। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২২/৪৬২) : বেনামাযী ও নেশাকারী ব্যক্তিদের সাথে ক্রয়-বিক্রয়, চলাফেরাসহ সামাজিক সম্পর্ক রাখা যাবে কি? - -আবুল বাশার, সুজায়েতপুর, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩) : পরিবারে পর্দা রক্ষার স্বার্থে পৃথক বাড়ি বানাতে চাই। কিন্তু পিতা-মাতা রাযী হচ্ছেন না। এক্ষণে আমার আমার করণীয় কি? - -মাসঊদ রানা, ব্রাহ্মণগাঁও, গাযীপুর।
আরও
আরও
.