উত্তর : দুর্নীতির অভিযোগে নয়, বরং অন্য অভিযোগের কারণে ওমর (রাঃ) প্রশাসনিক শৃংখলা রক্ষা ও জনগণকে শান্ত করার জন্য তদন্তের পূর্বেই আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বাহরাইনের গভর্ণরের দায়িত্ব হ’তে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিলেন। যেমন সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ)-কে কূফার গভর্ণরের দায়িত্ব থেকে অনুরূপ অব্যাহতি দিয়েছিলেন (ফাৎহুল বারী ২/২৩৮, হা/৭৫৫-এর ব্যাখ্যা)। পরে তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। এজন্য ওমর (রাঃ) পরে সে দায়িত্ব আবারো আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আবু হুরায়রা তা গ্রহণ করেননি। ইবনু সীরীন বলেন, ওমর (রাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বাহরাইনের গভর্ণর নিযুক্ত করার পর তিনি ১০ হাযার স্বর্ণ মুদ্রা উপার্জন করেন। কারো অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওমর (রাঃ) তাকে বলেন, তুমি এত সম্পদ কোত্থেকে অর্জন করলে? তিনি বললেন, এসব এসেছে আমার ঘোড়ার বংশ বৃদ্ধি, যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশ ও আমার কাজের সীমিত প্রতিদান গ্রহণের মাধ্যমে। পরে তদন্তে সেটি সঠিক প্রমাণিত হয়। তখন ওমর (রাঃ) পুনরায় তাকে গভর্ণরের দায়িত্ব প্রদানের জন্য ডেকে পাঠালে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান। তখন ওমর (রাঃ) বলেন, তোমার থেকে উত্তম ব্যক্তি দায়িত্ব পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। জবাবে আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তিনি কে? তিনি বললেন, ইউসুফ (আঃ)। আবু হুরায়রা (রাঃ) উত্তরে বললেন, ইউসুফ (আঃ) নিজে আল্লাহর নবী এবং নবীর পুত্র ছিলেন। আর আমি উমায়মার পুত্র আবু হুরায়রা (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/২০৬৫৯; সিয়ারু আ‘লামিন-নুবালা ২/৬১২, বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত-আরনাঊত্ব; আল-ইছাবাহ, ক্রমিক ১০৬৭৪, ৭/৪৪২)

অত্র বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, খিয়ানতের কারণে তাকে অপসারণ করা হয়নি। কারণ ওমর (রাঃ) তাকে আবারো দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। উল্লেখ্য যে, আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে বহু সনদ বিহীন বর্ণনা রয়েছে। সেগুলো দ্বারা প্রতারিত হওয়া থেকে সাবধান থাকতে হবে (আব্দুল মুন‘ইম ছালেহ, দিফা‘ ‘আন আবী হুরায়রা পৃঃ ১৩৯-১৪২)






প্রশ্ন (৪০/১২০) : ক্রোধবশতঃ পৃথক জায়গায় ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয হবে কি? মদীনার ‘মসজিদে যেরার’ ওয়াক্তিয়া ছিল, না জামে মসজিদ ছিল? - -আব্দুর রহমানপিরুজালী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : সম্প্রতি তুরষ্কে আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এভাবে কোন গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরিত করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/৪৩৬) : যৌথ পরিবারে কোন ভাই উপার্জন করে, কোন ভাই করে না। যারা উপার্জন করে তারা মা-বাবা, ভাই-বোনসহ সবার ভরণ-পোষণ দেয়। এক্ষণে উপার্জনকারী কোন ভাইয়ের ক্রয়কৃত সম্পদে কি অন্যরা ভাগ পাবে?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর সংগৃহীত হাদীছের সংখ্যা নাকি চল্লিশ হাযার? এর সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৮/১২৮) : জনৈক কলামিস্ট একটি পত্রিকায় লিখেছেন যে, মহানবী (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা ধর্মের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে তার ব্যবহারিক দিকগুলো অবশ্যই যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংশোধন ও পরিবর্তন করবে’। উক্ত মর্মে সত্যিই কোন হাদীছ আছে কি? - -এ্যাডভোকেট এস এম আব্দুর রশীদ,সিরাজগঞ্জ জজকোর্ট, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৮/২১৮) : একই ঘরে পৃথক বিছানায় পিতা ও প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে অথবা ভাই ও বোন থাকতে পারবে কি? - -মাহমূদুল হাসান, ইশ্বরদী, পাবনা।
প্রশ্ন (৭/৭) : আমি তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করার চেষ্টা করি। অনেক সময় জাগতে না পারায় ছুটে যায়। এমতাবস্থায় কিভাবে বিতর পড়তে হবে?
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : জনৈক আলেম বলেন, কেউ যখন রোগীর নিকট যাবে তখন সে তার কাছে দো‘আ চাইবে। কারণ তার দো‘আ ফেরেশতাগণের দো‘আর ন্যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৯/৭৯) : যে সমস্ত পাপী মুমিন জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে তারা কি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করবে?
প্রশ্ন (২৭/৬৭) : রাসূল (ছাঃ) পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। এক্ষণে চা, কফি ফুঁ দিয়ে পান করা যাবে কি? - -আবু সাঈদ, দক্ষিণ সালনা, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : ছহীহ মুসলিমের একটি হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, ওয়াসওয়াসাই সুস্পষ্ট ঈমান। উক্ত হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৩/৩৩) : আমার খামারের লেয়ার মুরগীর বিষ্ঠা বা মল দিয়ে মাছের জন্য খাদ্য তৈরি করি। এটা ব্যবহার করা যাবে কি?
আরও
আরও
.