উত্তর : ওলামায়ে কেরাম
জনগণের মাঝে ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দানের ক্ষেত্রে মৌলিক ভূমিকা পালন করে
থাকেন। তাই তাঁদের পক্ষ থেকে কোন শিরক ও বিদ‘আতী আমল জনগণের মাঝে ছড়িয়ে
পড়লে তা চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরূপ আলেমদের সংশোধন করা এবং তাদের
থেকে জনগণকে সতর্ক করা হকপন্থী ওলামায়ে কেরামের অন্যতম কর্তব্য। এতে তিনি
বরং নেকীর হকদার হবেন। এছাড়া ছয়টি ক্ষেত্রে গীবত হয় না। যার একটি হ’ল, কেউ
কোন পাপ ও বিদ‘আতে লিপ্ত হলে তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে (মুসলিম হা/২৫৮৯ ‘গীবত হারাম হওয়া’ অনুচ্ছেদ, নববীর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।
তবে এক্ষেত্রে ভুল সংশোধনকারীর জন্য কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য
রাখতে হবে, (১) সমালোচনা স্রেফ ইছলাহের উদ্দেশ্যে হ’তে হবে। (২) পরস্পরের
সম্মানের প্রতি খেয়াল রেখে বিনীতভাবে সুন্দর ভাষায় বলতে হবে এবং (৩)
আল্লাহর নিকট ছওয়াবের আশায় খালেছ নিয়তে করতে হবে।