উত্তর :
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে পর্দা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবে
পর্দা করাই হচ্ছে যথার্থ পর্দা। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা
যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা
সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন
তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা,
শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র,
স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাঁদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের
গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না
করে। তারা যেন এমনভাবে পদচারণা না করে যাতে তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ
পায়’ (নূর ৩১)।
অনুরূপভাবে তাদেরকে নিজেদের ঘরে অবস্থান করতে হবে। অন্য লোকদের সাথে কথা বলার সময় নরম সুরে কথা বলা যাবে না (আহযাব ৩২-৩৩)। প্রয়োজনে বাড়ীর বাইরে যেতে হ’লে গায়ে বড় চাদর ঝুলিয়ে (বোরকা পরে) পুরা শরীর ঢেকে যেতে হবে’ (আহযাব ৫৯)। কারো কাছে কিছু চাইতে হ’লে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে’ (আহযাব ৫৩)। উপরোক্ত নিয়মে স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে পর্দায় রাখলে তিনি জান্নাত লাভের আশা করতে পারেন।