উত্তর : প্রথমতঃ ইউসুফ (আঃ)-এর মাধ্যমে দেশের নেতার কাছে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরে তা ব্যবহারের মাধ্যমে আসন্ন দুর্ভিক্ষ পীড়িত সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার সুযোগ প্রার্থনা করেছিলেন মাত্র। যেমনটি এ যুগেও যেকোন কর্মের ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরা হয়। ইবনু কাছীর বলেন, এর মধ্যে নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার দলীল রয়েছে ঐ ব্যক্তির জন্য, যিনি কোন বিষয়ে নিজেকে আমানতদার ও যোগ্য বলে নিশ্চিতভাবে মনে করেন’ (আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ১/১৯৬)। কুরতুবী বলেন, মিসরে ঐ সময় ইউসুফের চাইতে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় যোগ্য ও আমানতদার কেউ ছিল না বিধায় ইউসুফ উক্ত দায়িত্ব চেয়ে নিয়েছিলেন’ (কুরতুবী, ইউসুফ ৫৫ আয়াতের তাফসীর)।
দ্বিতীয়তঃ উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য কেবল শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আনীত শরী‘আতই অনুসরণীয়। পূর্ববর্তী উম্মতগণের জন্য প্রবর্তিত কোন বিধান অনুসরণীয় নয় (মায়েদাহ ৫/৪৮; মুসলিম হা/১৫৩, মিশকাত হা/১০)। আর শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮০, ৩৬৮৩)।
তৃতীয়তঃ গণতন্ত্রে কেবল নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া হয় না বরং এখানে মানুষের মনগড়া আইন রচনার ও মানুষের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ভোট চাওয়া হয়। ইউসুফ (আঃ) দায়িত্ব চেয়ে নিয়ে নিজের মনগড়া আইন চালু করতে চাননি। বরং নবী হিসাবে তিনি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মিশরের ভঙ্গুর অর্থব্যবস্থা সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং এর সাথে প্রচলিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের তুলনা করার কোন সুযোগ নেই (নবীদের কাহিনী ১/২০৭ পৃঃ)।