উত্তর : ছালাতের ওয়াক্ত সমূহ নিম্নরূপ : (১) ফজর : ‘ছুবহে ছাদিক হতে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বদা গালাস বা ফজরের অন্ধকারে ফজরের ছালাত আদায় করতেন এবং জীবনে একবার মাত্র ইসফার বা চারদিক ফর্সা হওয়ার সময়ে ফজরের ছালাত আদায় করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এটাই তার নিয়মিত অভ্যাস ছিল (আবুদাঊদ, নায়ল ২/৭৫ পৃঃ)। অতএব গালাস ওয়াক্তে অর্থাৎ ভোরের অন্ধকারে ফজরের ছালাত আদায় করাই সুন্নাত। (২) যোহর : সূর্য পশ্চিম দিকে ঢুলে পড়লেই যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং বস্ত্তর নিজস্ব ছায়ার এক গুণ হলে শেষ হয় (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮১)। (৩) আছর : বস্ত্তর মূল ছায়ায় এক গুণ হওয়ার পর হ’তে আছরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দ্বিগুণ হলে শেষ হয়। তবে কোন কারণবশত সূর্যাস্তের প্রাক্কালে রক্তিম সময় পর্যন্ত আছর পরা জায়েয আছে (নায়ল ২/৩৪-৩৫ পৃঃ)। (৪) মাগরিব : সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং লালিমা শেষ হওয়া পর্যন্ত বাকী থাকে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮১)। (৫) এশা : মাগরিবের পর হ’তে এশার ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মধ্য রাতে শেষ হয়। তবে যরূরী কারণ বশতঃ ফজরের পূর্ব পর্যন্ত এশার ছালাত আদায় করা জায়েয (মুসলিম হা/১৫৯৪; দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৪৩-৪৪পৃঃ)






বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (৩৪/১৫৪) : পিতা ও মাতার মধ্যে সন্তানের নিকট অধিক সেবা পাওয়ার হকদার কে? - -মুহসিন, খুলনা।
প্রশ্ন (১৬/৫৬) : যে গার্মেন্টসে আমি কাজ করি সেখানে অনেক নারী ও পুরুষ একত্রে কাজ করে। এক্ষণে আমার চাকুরী করা জায়েয হবে কি? - -মিরাজ আহমাদ, সাভার, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : হজব্রত পালনরত অবস্থায় কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার জন্য বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি? - -সফীউদ্দীন আহমাদপাঁচদোনা, নরসিংদী।
প্রশ্ন (২৯/১৪৯) : পরামর্শের ক্ষেত্রে মন্দের ভালো কারো ব্যাপারে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে যদি সুফারিশ করা হয়, তারপর সে যদি দায়িত্বে এসে কোন অন্যায় করে, তাহ’লে পরামর্শদাতাকে এর জন্য গুনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (৭/৩৪৭) : নামের শেষে ভুইয়া, চৌধুরী, পন্ডিত, হাওলাদার, মজুমদার ইত্যাদি যোগ করা কি জাহেলিয়াতের অন্তর্ভুক্ত? - -হাবীব, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (২১/৪৬১) : হজ্জকারী ব্যক্তির নামের শুরুতে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী’ লেখা হয় কেন? এগুলো লেখা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/১৮৪) : ভাটা মালিকরা ভাটা চালু হবার ৪ মাস পূর্বে জনগণের কাছে অগ্রিম ইট বিক্রয় করে। ইট যখন বের হয় তখন ক্রেতাদেরকে ইট সরবরাহ করে। এতে ইটের দাম প্রতি হাযারে তিন হাযার টাকা কম লাগে। এই ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (১/১২১): ঢাকার একটি পুরাতন মাসিক ইসলামী পত্রিকার অক্টোবর ২০১০ সংখ্যায় প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি বা প্রিয় নবী (ছাঃ)-এর নামে নফল নামায পড়া শুধু জায়েযই নয়, বরং অনেক ভাল কাজ। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৬/৩৫৭) : ইমাম ও মুক্তাদী এক সঙ্গে সমান্তরাল কাতার করে স্থায়ীভাবে ছালাত আদায় করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৯৩) : জনৈক ইসলামবিদ্বেষী লেখক লিখেছেন, রাসূল (ছাঃ) মানুষের কথায় সন্দেহ করে তার সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ও খলীফা আবুবকরের মত মানুষের সন্তান আয়েশার প্রতি যে আচরণ করেছেন তা কি নবীসুলভ বা অনুকরণীয়? অহী যদি না আসতো তবে কি আয়েশা বঞ্চনার শিকার হ’তেন না? বর্তমানে তো অহী আসবে না। তাহ’লে একজন সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে যদি উক্ত ঘটনার অবতারণা হয়, তবে সে কি করবে? তার জন্য নবী (ছাঃ) কী আদর্শ রেখে গেছেন? একজন মানুষ হিসাবে কী রাস্তা দেখিয়ে গেলেন? নবীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে কি তার স্ত্রীকে তালাক দেবে না? এভাবেই কি তালাকের অভিশাপ সমাজকে কলুষিত করছে না? উক্ত প্রশ্নের জবাব কি?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : আমি বড় ভাইয়ের টাইলসের ব্যবসায় বেশ কিছু অর্থ বিনিয়োগ করেছি এই শর্তে যে, ব্যবসায় তার লাভ যাই হৌক না কেন প্রতি লাখে প্রতি মাসে তিনি আমাকে দুই হাযার টাকা লাভ দিবেন। এরূপ চুক্তি শরী‘আত সম্মত কি?
প্রশ্ন (৩৬/১৫৬) : কথিত আছে এক ইহুদী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মিরাজকে অস্বীকার করে। একদা সে মাছ ক্রয় করে স্ত্রীকে কুটা-বাছার জন্য বলে নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের জন্য নদীতে ডুব দিলে স্ত্রীলোকে পরিণত হয়। তারপর তার অন্যত্র বিবাহ হয় এবং তিনটি সন্তান হয়। কোন একদিন আবার গোসল করতে এসে নদীতে ডুব দিলে পুরুষ হয়ে যায়। সে বাড়ীতে ফিরে এসে দেখে তার স্ত্রী মাছ কুটা-বাছা তখনও করছে। সে বলে আমি তিন সন্তানের মা হয়ে আসলাম আর তুমি এখনও মাছ কুটা-বাছাই শেষ করনি। এ ঘটনা কি সত্য?
আরও
আরও
.