উত্তর : ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যে কোন ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানে যাওয়া বৈধ। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘বলে দাও! তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর। অতঃপর দেখ মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছে’ (আন‘আম ৬/১১)। তিনি আরো বলেন, ‘তুমি বল, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ কিভাবে তিনি সৃষ্টির সূচনা করেছেন’ (আনকাবূত ২৯/২০)। তবে সেক্ষেত্রে নিজের তাক্বওয়া বজায় রাখার বিষয়টি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অমুসলিম দেশে গমনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষত কোন মুমিনের জন্য এমন স্থানে যাওয়া উচিৎ নয়, যেখানে তার ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অন্তর কলুষিত হবে। উল্লেখ্য যে, ওলামায়ে কেরাম অমুসলিম রাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য তিনটি শর্ত উল্লেখ করেছেন (১) তাকে এমন জ্ঞানী হ’তে হবে যেন অমুসলিম পরিবেশে নিজের দ্বীন সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি না হয়। (২) তার হৃদয়ে এমন শক্তিশালী ঈমান থাকতে হবে, যা তাকে পাপাচার ও অবৈধ প্রবৃত্তি থেকে বাধা দিবে। (৩) অমুসলিম রাষ্ট্র সফরে তার প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩২৪)

উল্লেখ্য যে, মুশরিক দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যাওয়া যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হ’তে মুক্ত...’(আবুদাউদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭; ছহীহাহ হা/৬৩৬)। তিনি আরো বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস কর না, তাদের সংসর্গেও যেয়ো না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে’ (তিরমিযী হা/১৬০৫; ছহীহাহ হা/২৩৩০)। তবে তাদের অঞ্চলে যদি যেতে হয় বা তাদের সাথে বসবাস করতেই হয়, তাহ’লে অবশ্যই নিজ ধর্মের বিধি-বিধান মেনে চলবে এবং সুযোগমত তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিবে’ (নাহল ১৬/১২৫)

প্রশ্নকারী : আহনাফ আল-রাফি, বরিশাল।








বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
প্রশ্ন (২১/২১) : ছয় মাসের ভেড়া কুরবানী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/৩২৩) : চিকিৎসা হিসাবে তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? যদি এটা শিরক হয়, তবে অন্যান্য চিকিৎসা গ্রহণ করাও কি শিরক হবে?
প্রশ্ন (৪০/১২০) : সর্বপ্রথম জানাযার ছালাত শুরু করেন কে? মৃত ব্যক্তি ছিলেন কে?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : গরুর প্লীহা, কলিজা, ভূড়ি ইত্যাদি খাওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি? - -রফীক বিন নায়েব, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : আমার নিকটে কেউ কোন গোপন কথা আমানত রাখার পর পরবর্তীতে তা অন্য কোনভাবে প্রকাশ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমার নিকটে তা আমানত রাখার প্রয়োজন আছে কি? - -খন্দকার নাছীফ, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : এমন কোন আমল আছে কি যা করলে আমি কবরের চাপ থেকে মুক্তি পাব?
প্রশ্ন (২৯/১০৯) : মাসবূকের ছালাত কেমন হবে? বাকী ছালাত উচ্চৈঃস্বরে আদায় করবে না নিম্নস্বরে? মাসবূক কখন বাকী ছালাতের জন্য দাঁড়াবে?
প্রশ্ন (১০/৪৫০) : আমার ভাই আমার কাছে কিছু টাকা আমানত হিসাবে জমা রেখেছে। আমি ঐ টাকা কোন হালাল ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করলে এতে আমানতের খেয়ানত হবে কি?
প্রশ্ন (৮/৩২৮) : বহু পুরাতন মসজিদের পশ্চিম দেয়াল থেকে শুরু করে উত্তর দিক ঘিরে প্রায় ৫০টি কবর রয়েছে। উক্ত মসজিদে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (৯/৯) : সম্প্রতি বাংলাদেশে সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালু হয়েছে। যে পদ্ধতিতে এটি করা হয়েছে তা কি ইসলামী শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৩০/৩৫১) : মাসবূকের সামনে সুতরা রেখে কেউ চলে আসতে পারে কি? যেমনটি বর্তমানে শহরের মসজিদগুলোতে দেখা যাচ্ছে।
প্রশ্ন (৩০/৩৯০) : জনৈক যুবক শারীরিক দুর্বলতার কারণে ছিয়াম রাখতে পারছে না। এক্ষণে তার জন্য করণীয় কি? - -তুষার আহমাদজামিরা, পুঠিয়া, রাজশাহী।*[শুধু ‘আহমাদ’ নাম রাখুন (স.স.)]
আরও
আরও
.