উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, আবুল ফযল আল-মাক্বদেসী, ৩৯ পৃঃ, হা/৪০)।
তবে মসজিদে অপ্রয়োজনীয় দুনিয়ারী কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
ওমর ফারূক (রাঃ) দুনিয়াবী কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকার জন্য মসজিদে নববীর
পার্শ্বে বুতাইহা নামক একটি চত্বর তৈরী করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘যে ব্যক্তি
অনর্থক কথা, কবিতা পাঠ কিংবা উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতে চায়, সে যেন ঐ স্থানে
চলে যায়’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক, মিশকাত হা/৭৪৫)।
হাসান বছরী বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এমন এক যুগ আসবে যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবী বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবে। তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না। তাদের সাথে আল্লাহ তা‘আলার কোন আবশ্যকতা নেই’ (বায়হাক্বী, শো‘আব, মিশকাত হা/৭৪৩ ‘মসজিদ ও ছালাতের স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। হাফেয ইরাকী (রহঃ) বলেন, হাদীছটির সনদ ছহীহ (দ্রঃ আলবানী, মিশকাত ঐ-টীকা)।