উত্তর : দেশের পরিচিতি হিসাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যায় (হুজুরাত ১৩)। কিন্তু তাকে সালাম করার বিধান নেই। বিশেষ বিশেষ সময়ে এটা করা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যুদ্ধের সময় পতাকা উত্তোলন করতেন (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৮৮৭-৮৯; সনদ হাসান)। জাতীয় পতাকার সম্মানে দাঁড়িয়ে থাকা ও দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা ইসলামী শরী‘আতের পরিপন্থী। কেননা তা বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ, যা মুসলমানদের জন্য অবশ্য বর্জনীয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে অর্থাৎ তার হাশর-নাশর তাদের সাথেই হবে’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)।
দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শিরক মিশ্রিত। যা মুখে বলা ও হৃদয়ে বিশ্বাস করা অমার্জনীয় গোনাহের কাজ। নিষ্পাপ বাচ্চাদের হৃদয়ে যারা এই বিশ্বাস প্রোথিত করে দিচ্ছেন, তারা আরও বেশি গোনাহগার হচ্ছেন। উক্ত গানে ‘বাংলা’-কে ‘মা’ সম্বোধন করা হয়েছে এবং গানের মধ্যে উক্ত কল্পিত মায়ের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে মায়ের মুখের ‘মধুর হাসি’, ‘মুখের বাণী’, মায়ের বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামের তাওহীদ বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিরোধী।
তৃতীয়তঃ এ গানটি বাংলাদেশ-এর স্বাধীন অস্তিত্বের বিরোধী। কেননা এ গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১ খৃঃ) রচনা করেছিলেন ১৯০৫ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ’ রদ করে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলাকে একীভূত করার উদ্দেশ্যে। অতএব এ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।