
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি জায়েয হ’লেও বর্তমান ফিৎনার যুগে নারী-পুরুষের মাঝে স্বতন্ত্র পর্দা টাঙিয়ে বা প্রতিবন্ধক দেয়াল রেখে ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা করাই উত্তম (বুখারী হা/৩৮০; মুসলিম হা/৬৫৮; আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ, শরহ সুনান আবু দাউদ ৪/৮৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, ‘ছালাতে পুরুষদের জন্যে সবচেয়ে উত্তম কাতার হচ্ছে প্রথম কাতার এবং নিকৃষ্ট হ’ল পিছনের কাতার। আর মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাতার হ’ল পিছনের কাতার এবং সবচেয়ে অনুত্তম হচ্ছে প্রথম কাতার’ (ছহীহ মুসলিম হা/৪৪০; মিশকাত হা/১০৯২)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘পুরুষদের কাতারসমূহের যে বর্ণনা হাদীছে দেয়া হয়েছে তা স্বাভাবিকভাবে প্রযোজ্য তথা পুরুষদের জন্য প্রথম কাতার সর্বদাই উত্তম এবং শেষ কাতার সর্বদাই কম ছওয়াব অর্জনের কারণ। পক্ষান্তরে নারীদের কাতারসমূহের যে বিবরণ হাদীছে এসেছে তা মূলত ঐ সকল নারীদের কাতার যারা পুরুষদের সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে। অন্যদিকে যদি তারা পুরুষদের থেকে আলাদা হয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে তাহ’লে তাদের জন্যও প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করা অধিক ছওয়াবের কারণ। আর শেষ কাতারে ছালাত আদায় করা ছওয়াব কম হওয়ার কারণ (নববী, শরহে মুসলিম ৪/১৫৯)। এখান থেকে বুঝা যায়, মসজিদে জামা‘আতে পুরুষ ও নারীর মাঝে ব্যবধান ও আড়াল রাখাই কাম্য এবং অধিকতর নিরাপদ। উল্লেখ্য যে, হজ্জের সময়েও বর্তমানে মহিলাদের কাতার পৃথক করা হচ্ছে।
প্রশ্নকারী : আমানুল্লাহ, ডালাস, টেক্সাস, আমেরিকা।