উত্তর : যেকোন খুৎবায় বা বক্তব্যের সময় হাতে লাঠি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত সুন্নাত। হাকাম ইবনে হুযন আল-কুলফী বলেন, ‘আমি সপ্তম অথবা অষ্টম দিনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। অতঃপর বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্য এসেছি। আপনি আমাদের কল্যাণের জন্য দো‘আ করুন। ... আমরা সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করলাম। অবশেষে আমরা একদিন তাঁর সাথে জুম‘আর ছালাতে যোগ দিলাম। তিনি লাঠির উপর ভর দিয়ে খুৎবায় দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, ‘হে মানবমন্ডলী! আমি যা আদেশ করছি  তোমরা  তা  পুরোপুরি  আদায় করতে সক্ষম নও। কাজেই মধ্যম পথ অবলম্বন কর এবং মানুষকে সুসংবাদ দাও’ (আবুদাঊদ, হা/১০৯৬, সনদ হাসান; ইরওয়া ৩/৭৮ পৃঃ, হা/৬১৬) 

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লাঠির উপর ভর দিয়ে খুৎবা প্রদান করতেন’ (মুসনাদে আব্দুর রাযযাক হা/৫২৪৬; ইরওয়াউল গালীল ৩/৭৮ পৃঃ, সনদ ছহীহ)

কোন কোন বিদ্বান মিম্বর তৈরীর পর রাসূল (ছাঃ) হাতে লাঠি নেননি বলে মত প্রকাশ করেছেন (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/৪১১ পৃঃ)। কিন্তু এ মতের পক্ষে কোন দলীল নেই। বরং ফাতিমা বিনতে ক্বায়েস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদের মিম্বরে বসে তামীম আদ-দারীর প্রত্যক্ষকৃত দাজ্জালের হাদীছটি বর্ণনার সময় স্বীয় লাঠি দিয়ে মিম্বরে আঘাত করে বললেন, ত্বাইয়েবা অর্থাৎ মদীনা শহর... (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৮২)। এটি ছিল নবম হিজরীর ঘটনা। সুতরাং এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, মিম্বরে বসা অবস্থাতেও তার হাতে লাঠি ছিল। এছাড়া ছাহাবীগণের মধ্যেও মিম্বরে দাঁড়িয়ে হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন হিশাম বিন উরওয়া বলেন, আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ)-কে খুৎবা দিতে দেখেছি। এমতাবস্থায় তাঁর হাতে লাঠি ছিল’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৬৫৯)

উল্লেখ্য যে, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অসুস্থ থাকার কারণে হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিয়েছিলেন’ বলে সমাজে প্রচলিত কথাটির স্বপক্ষেও কোন দলীল নেই। সুতরাং জুম‘আ এবং অন্যান্য যেকোন খুৎবা বা বক্তব্য প্রদানের সময় হাতে লাঠি রাখা সুন্নাত, যা পরবর্তী যুগেও অনুসৃত হয়েছে। ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মিম্বরের উপর বক্তব্যের জন্য দাঁড়াতেন, তখন লাঠির ওপর ভর দিতেন। অতঃপর আবূ বকর, ওমর ও ওছমান (রাঃ)ও একইভাবে লাঠির উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন (মারাসীলু আবী দাঊদ, হা/৫৫)






প্রশ্ন (৩৪/৩৫৪) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, ছিয়ামরত অবস্থায় দিনের বেলা সিগারেট খাওয়া যাবে। কারণ এটি শরীরে কোন পুষ্টি যোগায় না। বরং ক্ষতি করে। সুতরাং এটি ছিয়ামভঙ্গকারী খাবার নয়। একথার সত্যতা আছে কি? - -আব্দুন নূর, কোনাবাড়ী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (২১/১৪১) : কোন মুসলিম নারী প্রসাধনী হিসাবে সিঁদুর ব্যবহার করতে পারবে কি? যদি তার স্বামী পসন্দ করে তথা স্বামীকে খুশি করার জন্যে কি ব্যবহার করা জায়েয হবে?
প্রশ্ন (২৭/২৬৭) : ছালাতরত অবস্থায় ঋতুবতী হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেই ছালাতের ক্বাযা আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৯/৪৯) : হে আল্লাহ আপনি আমাকে মিসকীন বেশে দুনিয়াতে বাঁচিয়ে রাখুন এবং মিসকীনদের সাথে পুনরুত্থান ঘটান’ মর্মে বর্ণিত দো‘আটি রাসূল (ছাঃ) সর্বদা করতেন কি? - -শবনম মুশতারীদুর্গাপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৬/২৬) : এসএসসি, এইচএসসি অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য পরীক্ষার দিনগুলোতে ছিয়াম রাখা যাবে কী?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : বর্তমানে সেলিব্রিটি বা অমুসলিমদের অনুকরণে বিভিন্ন স্টাইলে মাথার চুল কাটা হয়। এরূপ করা জায়েয কি?
প্রশ্ন (৪০/২৮০) : ব্যাংকের সূদ গ্রহণ না করলে কর্তৃপক্ষ তা ভোগ করে। এক্ষণে সূদ নিজে গ্রহণ না করে গরীব-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করলে শরী‘আতে এটা জায়েয হবে কি? - .
প্রশ্ন (২৮/৩০৮) : শেষ যামানায় হযরত ঈসা (আঃ) আগমন করলে তখন কি তাঁর আনীত শরী‘আত অনুসরণ করতে হবে, না শরী‘আতে মুহাম্মাদীই অনুসৃত হবে?
প্রশ্ন (২৭/৩০৭) : বিবাহের রাত্রে বর ও কনেকে জামা‘আতবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : এক ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করে। কিন্তু ঘটনাক্রমে তা ইবতেদায়ী মাদরাসার নামে ওয়াকফ হয়ে যায়। এখন উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা হচ্ছে। এরূপ ওয়াকফ বিহীন মসজিদে ছালাত শুদ্ধ হবে কি? মসজিদটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে বর্তমান স্থানটি অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : মোহরানা ছাড়া বিবাহ বৈধ কি? যে মোহরানা পরিশোধ করে না তার পরিণাম কী? জনৈক মুফাসসির বলেছেন, তারা হাশরের ময়দানে ব্যভিচারীদের লাইনে দাঁড়াবে। উক্ত বক্তব্যের দলীল জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৪০/৪০০) : রাসূল (ছাঃ) তায়েফের সফরে নির্যাতিত হওয়ার পর একটি আঙ্গুর বাগানে বসে ‘মযলূমের দো‘আ’ হিসাবে পরিচিত যে দো‘আটি করেছিলেন, তা ছহীহ কি?
আরও
আরও
.