উত্তর : অমুসলিম রাষ্ট্র বেষ্টিত মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বিধানে যারা জড়িত, তারা যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে একাজে নিযুক্ত থাকেন, তবে তারা হাদীছে বর্ণিত সীমান্ত পাহারা দেওয়ার নেকী লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে তাদের জন্য মৌলিক শারঈ বিধি-বিধান সমূহ মেনে চলা আবশ্যক। সেই সাথে কোনরূপ পাপের কাজে সহযোগিতা করা চলবেনা। রাসূল (ছাঃ) সীমান্ত প্রহরীদের ফযীলত বর্ণনা করে বলেন, আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম (বুখারী হা/২৮৯২; মিশকাত হা/৩৭৯১)। তিনি আরও বলেন, ‘একটি দিন ও রাত্রি আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত পাহারায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা, এক মাস দিনে ছিয়াম ও রাত্রিতে ছালাতে দন্ডায়মান থাকার চাইতে উত্তম (মুসলিম হা/১৯১৩; মিশকাত হা/৩৭৯৩)। এছাড়াও সীমান্ত পাহারা দেওয়া এমন একটি আমল যা ছাদাক্বা জারিয়ার সমতুল্য। এর ছওয়াব সে ক্বিয়ামত পর্যন্ত পেতে থাকবে (আহমাদ হা/১৭৩৯৬; ছহীহুত তারগীব হা/১২১৮)।
প্রশ্নকারী : মুহসিন, পীরগাছা, রংপুর।