উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী ওয়াদাকারী আল্লাহর নামে ওয়াদা করেছেন, যা কসমের শামিল। অতএব এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে। আর কসম ভঙ্গের কাফফারা হ’ল দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো অথবা বস্ত্র দান করা অথবা একটি দাস মুক্ত করা। এতে অসমর্থ হ’লে তিন দিন ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)।
মাথায় কুরআন রেখে বা কুরআনে হাত রেখে কসম করা জায়েয নয়। এটি রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর ছাহাবীগণ করেননি। বরং ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হি.) বলেন, ইয়ামনের রাজধানী ছান‘আর বিচারপতি মুত্বার্রিফ বিন মাযেন (মৃ. ১৯১ হি.)-কে শপথের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য আমি এটি করতে দেখেছি’ (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং ৮৪৩৩, ১০/২০৭)। বরং যে কোন কসম আল্লাহর নামেই করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করল, সে শিরক করল’ (তিরমিযী হা/১৫৩৫; মিশকাত হা/১৪১৯; ছহীহাহ হা/২০৪২)।