উত্তর : জেহরী ছালাতে ইমামের পিছনে মুক্তাদী কেবল সূরা ফাতেহা পড়বে। অতঃপর মনোযোগ দিয়ে ক্বিরাআত শুনবে।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, (একদিন) রাসূল (ছাঃ) উঠে ওযূ করলেন এবং ছালাতে দাঁড়ালেন। অতঃপর কাঁদতে আরম্ভ করলেন। কাঁদতে কাঁদতে তাঁর বুক ভিজে গেল। এমনকি একপর্যায়ে (পায়ের নীচের) মাটি পর্যন্ত ভিজে গেল। বেলাল তাঁকে (ফজরের) ছালাতের সংবাদ দিতে এসে দেখেন, তিনি কাঁদছেন। বেলাল বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কাঁদছেন! অথচ আল্লাহ আপনার পূর্বের ও পরবর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন! রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে বেলাল! আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হব না? আজ রাতে আমার উপর কয়েকটি আয়াত ...إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ (আলে-ইমরান ১৯০) নাযিল হয়েছে। যে এগুলো পড়বে, কিন্তু চিন্তা-ভাবনা করবে না, সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (ছহীহ ইবনু হিববান; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬৮)।
এছাড়া রাসূল (ছাঃ) ছালাতে মৃত্যুকে স্মরণ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তুমি ছালাতে মৃত্যুকে স্মরণ কর। কারণ যে ব্যক্তি ছালাতে মৃত্যুকে স্মরণ করবে, তার ছালাত যথার্থ সুন্দর হবে। আর তুমি সেই ব্যক্তির ন্যায় ছালাত আদায় কর, যে জীবনে শেষবারের মত ছালাত আদায় করে নিচ্ছে’ (দায়লামী; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪২১)।
মূলতঃ শয়তান মুছল্লীর মনে ওয়াসওয়াসা দিয়ে ছালাত ও ক্বিরাআতের মধ্যে গোলমাল সৃষ্টি করে। এরূপ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন তুমি এদের অস্তিত্ব বুঝতে পারবে, তখন শয়তান থেকে আল্লাহর পানাহ চেয়ে আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রাজীম বলে বাম দিকে তিনবার থুক মারবে। রাবী ওছমান বিন আবুল ‘আছ বলেন, এরূপ করাতে আল্লাহ আমার থেকে ঐ শয়তানকে দূরে সরিয়ে দেন (মুসলিম হা/২২০৩; মিশকাত হা/৭৭)।
ছালাতে খুশূ-খুযূ বা একাগ্রতা আবশ্যক (মুমিনূন ১-২)। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুনিয়াবী চিন্তা আসায় একাগ্রতার ঘাটতি হ’লে ছালাত বাতিল হবে না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৫)। বরং ছালাত ত্রুটিপূর্ণ হবে এবং নেকীতে কম-বেশী হবে।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুছল্লী ছালাত আদায় করে, কেউ পায় দশভাগ নেকী, কেউ নয়ভাগ, আটভাগ, সাতভাগ, ছয়ভাগ, পাঁচভাগ, চারভাগ, তিনভাগ আবার কেউ অর্ধেক নেকী পায়’ (আহমাদ হা/১৮৯১৪, ছহীহুল জামে‘ হা/১৬২৬)।