উত্তরঃ
বীমার ধারণাটাই ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুসঙ্গ।
ইসলামী শরী‘আতে ব্যবসা-বাণিজ্য মাত্র দু’ধরনেরঃ (১) মুশারাকা- অংশহারে
ব্যবসা (আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/১৪৬৮)। (২) মুযারাবা- এক জনের অর্থ এবং অপর জনের ব্যবসা। লাভ চুক্তি অনুযায়ী বণ্টন হবে (মুওয়াত্ত্বা, ইরওয়া হা/১৪৭০)।
বর্তমান যুগে অনেক প্রতারণাপূর্ণ বীমা ও ব্যবসা বেরিয়েছে যা থেকে বেঁচে
থাকা মুমিনের কর্তব্য। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে আমাদের সাথে
প্রতারণা করবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৬০)। তিনি বলেন, ‘তুমি সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে নিঃসন্দেহের দিকে ধাবিত হও’ (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/২৭৭৩)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয় সমূহে পতিত হ’ল, সে হারামে পতিত হ’ল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৭৬২)। প্রচলিত ইসলামী বীমা সমূহ স্পষ্টভাবে হালাল নয়, বরং সন্দেহ যুক্ত। তাই এ থেকে বেঁচে থাকা উত্তম।