উত্তর : রাশিফলের কোন কার্যকারিতা নেই। বরং এগুলি মানুষকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার একেকটি শয়তানী ফাঁদ মাত্র। এর মাধ্যমে কৃত ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করলে বা তা সত্য বলে মেনে নিলে আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৩০; মিশকাত হা/৪৫৯৫)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, ঐ ব্যক্তি মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার সাথে কুফরী করল’ (আবুদাঊদ হা/৩৯০৪; মিশকাত হা/৪৫৯৯)।
উল্লেখ্য যে, জ্যোতিষীরা ভাগ্য গণনার জন্য প্রাচীন যুগেই তৈরী করেছে রাশিচক্র। রাশিচক্র মাকড়শার জালের মত একটি চক্রাকার চিত্র, যাতে সূর্যের গতিপথ অনুসারে ১২টি রাশি স্থির করা হয়েছে। সেখানে বিশেষ কোন দিনে নক্ষত্রমন্ডলের পটভূমিতে দেখানো হয় বিভিন্ন গ্রহ, সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান। এই অবস্থান অনুসারে নেওয়া হয় ভাগ্য গণনার সিদ্ধান্ত। পশ্চিমা বিশ্বে ‘শুক্র’ (ভেনাস)-কে প্রেমের দেবী বলা হয়। অতএব শুক্র যদি রাশিচক্রের বিশেষ স্থানে থাকে, তাহ’লে জ্যোতিষীরা বলে থাকে জাতকের উপর প্রেম ভর করেছে। পক্ষান্তরে ভারতীয় পুরাণে ‘শুক্র’ অসুরদের গুরু। অতএব ভারতীয় মতে জ্যোতিষীরা বলে থাকে, জাতকের উপর প্রেমের বদলে হিংস্রতা ভর করেছে। ফলে কোন ব্যক্তি পশ্চিমাদের রাশিচক্র অনুসারে প্রেমে ডুববে এবং আবার কেউ ভারতীয় মতে হিংস্রতায় মেতে উঠবে; যা পরস্পর বিরোধী। এছাড়াও পশ্চিমারা সূর্যের হিসাবে ভাগ্য গণনা করে এবং ভারতীয়রা চন্দ্রের হিসাবে গণনা করে। সবকিছুই কাল্পনিক। ফলে মতভেদ স্বাভাবিক (তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারা, সূরা বুরূজের তাফসীর দ্রষ্টব্য ২০১ পৃ.)। অতএব এসব পাঠ করা বা গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।