উত্তর : রামাযান মাসে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর (রামাযানে) জিব্রীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে একবার কুরআন পাঠের পুনরাবৃত্তি করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে বছর তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে দু’বার কুরআন পাঠ করেন (বুখারী হা/৪৯৯৮; মিশকাত হা/২০৯৯)। তবে প্রচলিত ‘খতম তারাবীহ’ বলে কোন নিয়ম শরী‘আতে নেই এবং তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করার বিশেষ কোন ফযীলত নেই। বরং ক্বিরাআত দীর্ঘ হৌক বা সংক্ষিপ্ত হৌক ছালাতে খুশূ-খুযূই হ’ল প্রধান বিষয়। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি জানিনা যে, আল্লাহর নবী (ছাঃ) কখনো এক রাত্রিতে সমস্ত কুরআন খতম করেছেন কিংবা ফজর অবধি সারা রাত্রি ব্যাপী (নফল) ছালাত আদায় করেছেন (মুসলিম হা/৭৪৬; মিশকাত হা/১২৫৭, ‘বিতর’ অনুচ্ছেদ)। রাসূল (ছাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আমরকে বলেন, সপ্তাহে একবার কুরআন খতম কর। তার বেশী নয়’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২০৫৪)। পরবর্তীতে তাঁকে তিন দিনে কুরআন খতমের অনুমতি দেওয়া হয় (আবুদাঊদ হা/১৩৯০ প্রভৃতি; মিশকাত হা/২২০১)।
প্রশ্নকারী : মুজাহিদুল ইসলাম, সি এ্যান্ড বি ঘাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।