উত্তর : সঊদী রাজতন্ত্র শরী‘আতসম্মত। ইসলামে রাজতন্ত্র আদৌ নিষিদ্ধ নয়, যদি না তা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সঊদী রাজতন্ত্রে আল্লাহ সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হয় এবং তা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। যেমন সঊদী সংবিধানের ৭নং ধারায় বলা হয়েছে, يسةمد الحكم في المملكة العربية السعودية سلطةه من كةاب الله ةعالى وسنة رسوله. وهما الحاكمان على هذا النظام وجميع أنظمة الدولة (সঊদী রাজতন্ত্রের সর্বত্র আল্লাহ কিতাব ও তার রাসূলের সুন্নাহ কর্তৃত্ব জারী থাকবে)। ৮নং ধারায় বলা  হয়েছে, يقوم الحكم في المملكة العربية السعودية على أساس العدل والشورى والمساواة وفق الشريعة الإسلامية (সঊদী রাজতন্ত্রের বিধানসমূহ প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামী শরী‘আতের অনুকূলে ন্যায়পরায়ণতা, পরামর্শ ও সমতাবিধানের ভিত্তির উপরে)।

অতএব শাসক যদি আল্লাহ সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করেন এবং ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী রাজ্যশাসন করেন, তাহ’লে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তার অনুকূলে। উক্ত নীতির অনুসরণে কোন শাসক যদি পরবর্তী শাসক হিসাবে তার পরিবার থেকে যোগ্য কাউকে বা অন্য কারু ব্যাপারে অছিয়ত করে যান, তাতে কোন বাঁধা নেই। যেমন আবুবকর (রাঃ) মৃত্যুকালীন সময়ে বিশিষ্ট ছাহাবীগণের সাথে পরামর্শক্রমে পরবর্তী খলীফা হিসাবে ওমর (রাঃ)-কে নির্বাচন করেন (তারীখে ত্বাবারী ২/৩৫২-৩৫৩; ইবনু সা‘দ, তাবাক্বাতুল কুবরা ৩/১৯৯-২০০)। শাসক পরিবার থেকে কেউ পরবর্তী শাসক হ’তে পারবে না, এরূপ কোন নিষেধাজ্ঞা শরী‘আতে নেই। এক্ষণে শাসক যদি অযোগ্য কারো ব্যাপারে অছিয়ত করে থাকেন, তার জন্য তিনিই দায়ী হবেন। কেননা অযোগ্য লোককে ক্ষমতাসীন করাকে রাসূল (ছাঃ) ক্বিয়ামতের আলামত হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন (বুখারী হা/৫৯, মিশকাত হা/৫৪৩৯)। অতএব মৌলিকভাবে প্রচলিত রাজতন্ত্র শরী‘আতবিরোধী গণ্য করার কোন সুযোগ নেই।

পক্ষান্তরে পশ্চিমা গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তিই হ’ল ধর্মনিরপেক্ষতা। যেখানে মানুষ হ’ল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। আর আইন রচনার ভিত্তি হ’ল, মানুষের মনগড়া সিদ্ধান্ত। এভাবে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রথমে মুসলমানকে ঈমানের গন্ডীমুক্ত করে। অতঃপর গণতন্ত্র তাকে মানুষের গোলাম বানায়। অতঃপর সে আল্লাহ সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে ভোটারের মনস্ত্তষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়। যা তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ব্যতীত কারু বিধান দেবার ক্ষমতা নেই’ (ইউসুফ ১২/৪০)। তিনি বলেন, যদি তুমি জনপদের অধিকাংশ লোকের কথা মেনে চল, তাহ’লে ওরা তোমাকে আল্লাহ পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা তো কেবল ধারণার অনুসরণ করে এবং তারা তো কেবল অনুমান ভিত্তিক কথা বলে’ (আন‘আম ৬/১১৬)। 

একইভাবে গণতন্ত্র সমাজের প্রত্যেককে ক্ষমতালোভী করে তোলে। অথচ ক্ষমতা চেয়ে নেওয়া শরী‘আতে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮০, ৩৬৮৩)

অতএব অন্যান্য রাজতন্ত্রের সাথে সঊদী রাজতন্ত্রকে এক করে দেখার কোন সুযোগ নেই।






প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : মাসবূক ব্যক্তি ইমামকে সিজদারত অবস্থায় পেলে পরবর্তী রাক‘আত শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে কি? - -ছফিউল্লাহ, তেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : খুনছা তথা হিজড়া ছাগল বা গরু দ্বারা কুরবানী করা যাবে কি? - .
প্রশ্ন (১২/১৭২) : সূরা দুখানের ৪৪ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই। - -খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, ব্যাংকপাড়া, গোপালগঞ্জ।
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : রাসূল (ছাঃ)-এর ১১টি বিবাহের পিছনে তাৎপর্য কি ছিল? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৯/৪১৯) : মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণকালে সিজদায়ে তেলাওয়াতের আয়াতসমূহ আসলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৭/৮৭) : পিতা মারা যাওয়ার পর মা তার গহনা খুলে আমাকে দিয়ে দিয়েছে। তার ধারণা এসময় গহনা পরে থাকলে স্বামীর বিপদ হবে। এ ধারণা সঠিক কি?
প্রশ্ন (৩৪/২৭৪) : আমি সফরে বের হওয়ার নিয়তে দু’ওয়াক্তের ছালাত একত্রে আদায় করে ফেলি। কিছুক্ষণ পরে সফর বাতিল করা হয়। এক্ষণে আমাকে কি পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে? না আগেরটাই যথেষ্ট হবে?
প্রশ্ন (২০/১০০) : আমাদের স্কুলের নিউট্রিশন ক্লাবে ছেলে মেয়ে উভয়ে একত্রে কাজ করতে হয়। শিক্ষিকাগণ জোরপূর্বক আমাদের বাধ্য করেন এতে অংশগ্রহণ করতে। এখানে ছেলেদের সাথে কথা বলতে হয়। পরামর্শ করতে হয়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। বাধ্যগতভাবে একত্রে কাজ করার জন্য গুনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : কুরআন হেফয করার পর মুখস্থ না রাখতে পারলে গোনাহগার হবে। একথা কি ঠিক?
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব বেশী, না আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব বেশী? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন। - তানভীর আহমাদ বয়রা, খুলনা।
প্রশ্ন (২৬/৪২৬) : মহিলারা সুগন্ধিযুক্ত নারিকেল তেল মেখে বাইরে যেতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আরশ সম্পর্কে উমাইয়া বিন আবী সালতের যে কবিতা রাসূল (ছাঃ) সত্যায়ন করেছেন (رجل وثور ....إلا معذبة وإلا تجلد) বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (আহমাদ হা/২৩১৪, আবু ইয়া‘লা হা/২৪৮২)। হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.