উত্তর : ইসলামী আক্বীদা-আমল ও সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার এবং শারঈ বিধানকে সহজভাবে তুলে ধরার জন্য গল্প, উপন্যাস বা কল্পকাহিনী রচনা করা যায়, যা মূলতঃ মিথ্যার পর্যায়ভুক্ত নয় বরং বাস্তবতা অনুধাবনের জন্য উপমা, উদাহরণ বা সাদৃশ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) শর্তহীনভাবে বনু ইস্রাঈলদের কাহিনী বর্ণনা করতে বলেছেন, যা সত্য-মিথ্যা উভয়েরই সম্ভাবনা রাখে। কুরআনেও অনেক অনির্দিষ্ট ব্যক্তির কথা সাদৃশ্য প্রদানের নিমিত্তে ব্যবহৃত হয়েছে (যুমার ৩৯/২৯)। অতএব সদুদ্দেশ্যে এবং কারু প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে বা মূল সত্যের বিকৃতি না ঘটিয়ে এ ধরণের উপদেশপূর্ণ কল্প-কাহিনী রচনা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে অধিকাংশ বিদ্বান একমত। তবে মাসআলা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সতর্ক থাকতে হবে। আর সেই সাথে কোনভাবে মিথ্যা ও বাতিল আক্বীদা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই ধরনের কিছু রচনা করা যাবে না (ছান‘আনী, আর-রওযুল বাসেম ১/১০১; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ, ক্রমিক ৭৭, প্রশ্ন ক্রমিক ১০)।
প্রশ্নকারী : আসাদুল্লাহ আল-গালিব, দূর্গাপুর, রাজশাহী।