উত্তর : কবরের আযাব সত্য (আন‘আম ৯৩, মুমিন ৪৬)। যা অসংখ্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী, মিশকাত হা/১২৬, আহমাদ, মিশকাত হা/১৬৩০, সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ) সবসময় কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে বলেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৪০)।
এক্ষণে কবরের আযাব শারীরিকভাবে কিংবা আত্মিকভাবে হবে এ প্রশ্নে ওলামায়ে
সালাফের মাঝে মতপার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তবে সঠিক কথা হ’ল- কবরের আযাব
আত্মা ও শরীর উভয়ের উপরই হবে। শরীর থেকে রূহ বেরিয়ে যাওয়ার পর তা আযাব
কিংবা নে‘মত ভোগ করতে থাকবে। আর নির্দিষ্ট সময়ে তা শরীরের সাথে যুক্ত হওয়ার
মাধ্যমে শরীরও শাস্তির সম্মুখীন হবে; যার প্রমাণ হাদীছে পাওয়া যায় এবং যার
নিদর্শন বাহ্যতঃই অনেক মৃত ব্যক্তির কবরে লক্ষ্য করা যায়। ইমাম ইবনে
তায়মিয়াহ ও জমহূর ওলামায়ে সালাফ অনুরূপ মন্তব্য করেছেন (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিয়াহ, পৃঃ ১/৪৪৯)।
আর প্রশ্নে উল্লেখিত সূরা বাক্বারাহর ২৮ নং আয়াতে মানুষের জীবন-মৃত্যুর
পরিক্রমা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কবরের আযাব আসমানে হবে কি না এমন কোন
সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। সর্বোপরি এ বিষয়ে অধিক আলোচনা অপ্রয়োজনীয়।
কারণ এটি গায়েবী বিষয়। অতএব এ বিষয়ে কেবল হাদীছে যে বর্ণনা এসেছে তার উপর
বিশ্বাস রাখাই যথেষ্ট।