উত্তর : প্রথমতঃ
যদি অজ্ঞতার কারণে হারাম পন্থায় উপার্জন করে থাকে এবং সঠিক বিধান জানার
সঙ্গে সঙ্গে হারাম থেকে বিরত হয় তাহ’লে পূর্বের উপার্জিত সম্পদ তার জন্য
ভোগ করা জায়েয (বাক্বারাহ ২/২৭৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৪৪৩-৪৪, তাফসীরু আয়াতিন উশকিলাত ‘আলা কাছীরিম মিনাল ওলামা ২/৫৭৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/৪৬)। দ্বিতীয়তঃ
যদি জেনেশুনে হারাম উপার্জন করে, আর তাতে বিপরীত পক্ষেরও স্বার্থ থাকে,
তবে হারাম থেকে বিরত হওয়ার পর সে সম্পদ ফেরত দিতে হবে না। যেমন সূদ, ঘুষ
ইত্যাদি। কিন্তু সে সম্পদ নিজে ভোগ না করে দান করে দিতে হবে। যদি সে
সামর্থ্যবান না হয়, তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রেখে বাকিটুকু ছাদাক্বা করে
দিবে। তৃতীয়তঃ উপার্জনের মাধ্যম যদি মূলগতভাবেই হারাম হয়,
যেমন- যেনা, মদ-জুয়া, হারাম বস্ত্ত ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি, তবে তার লভ্যাংশ
সর্বাবস্থায় ভোগ করা নিষিদ্ধ এবং পরিত্যাজ্য। আর যদি এর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে
মানুষের হক বা হাক্কুল ইবাদ নষ্ট করা হয়, যেমন চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা
ইত্যাদি তবে অবশ্যই খালেছ তওবার সাথে সাথে উক্ত সম্পদ মালিককে ফেরত দিতে
হবে। আর মালিককে না পাওয়া গেলে তার নামে ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩১৩৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/১৪২; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৬৯১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/৩২)।
এমতাবস্থায় সে দরিদ্র হ’লে একান্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ রেখে অবশিষ্ট সম্পদ
মালিককে ফিরিয়ে দিবে অথবা তার অবর্তমানে তার নামে কিংবা সাধারণভাবে
ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৬৯১)।
প্রশ্নকারী : জুয়েল* বিন ইদ্রীস, মুজিবনগর, মেহেরপুর।
[*আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]