উত্তর : চুরি করা কবীরা গুনাহ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৮)। যা তওবা ব্যতীত মাফ হবে না (নিসা ৪/৩১)। সেই সাথে এটি বান্দার হকের অন্তর্ভুক্ত। তাই তওবার কবুলের জন্য অবশ্যই চুরিকৃত সম্পদ মালিককে ফেরৎ দিতে হবে। এক্ষণে চুরিকৃত জিনিসপত্র মজুদ না থাকলে অনুরূপ কিছু বা সমমূল্য দিলেই দায়মুক্ত হবে (উছায়মীন, আল-লিক্বাউশ শাহরী ৩১; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৪/১৬২)। বিশেষ কারণে চুরির কথা না জানিয়ে চুরিকৃত মাল ফেরত দেওয়াতেও কোন দোষ নেই (ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৪/১৬৫)। এক্ষণে ফেরত দেওয়ার মত সম্পদ না থাকলে যথাসম্ভব মালিকদেরকে অন্বেষণ করে তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মান বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুম করে থাকে, তাহ’লে সে যেন আজই তা সমাধা করে নেয়, সেদিন আসার আগে যেদিন তার কাছে কোন দীনার ও দিরহাম থাকবে না। সেদিন তার কোন সৎকর্ম থাকলে তা থেকে যুলুম পরিমাণ নিয়ে নেয়া হবে। আর সৎকর্ম না থাকলে মযলূমের পাপসমূহ উক্ত যালেমের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (বুখারী হা/২৪৪৯; মিশকাত হা/৫১২৬)। আর যদি সাধ্যমত চেষ্টা করেও মালিকদেরকে খুঁজে না পায়, তবে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে (বাক্বারাহ ২/২৮৬; যুমার ৩৯/৫৩)।
প্রশ্নকারী : পারভেয মোশাররফ, কক্সবাজার।