উত্তর : শাব্দিক অর্থে পার্থক্য থাকলেও পারিভাষিক অর্থে ঈমান ও আক্বীদার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ঈমান হ’ল মুখে স্বীকৃতি, হৃদয়ে বিশ্বাস এবং কর্মে বাস্তবায়নের নাম। আর আক্বীদা হ’ল অন্তরের অভিপ্রায়, ইচ্ছা ও সংকল্পের নাম। মূলত ঈমান হ’ল আম এবং আক্বীদা হ’ল খাছ। ঈমান সমগ্র দ্বীনকে শামিল করে। আর আক্বীদা দ্বীনের মৌলিক বিশ্বাসের নাম। সুতরাং ঈমানের দু’টি অংশ। একটি হ’ল- হৃদয়ে স্বচ্ছ আক্বীদা পোষণ। আরেকটি হ’ল- বাহ্যিক কর্মে তার প্রকাশ। এ দু’টি পরস্পরের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত যে, কোন একটির অনুপস্থিতি ঈমানকে বিনষ্ট করে দেয়। আক্বীদা হ’ল ঈমানের মূলভিত্তি। আক্বীদা ব্যতীত ঈমানের উপস্থিতি তেমনি অসম্ভব, যেমনিভাবে ভিত্তি ব্যতীত কাঠামো অসম্ভব।
প্রশ্নকারী : আব্দুল লতীফ, কালিহাতি, টাঙ্গাইল।