উত্তর : আল-কুরআনে পারা, রুকূ ও মানযিলসহ অন্যান্য বিষয়গুলো ইজতিহাদী বিষয়, যা পরবর্তীকালে সংযোজিত হয়েছে। বিশেষ করে এগুলো হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আমলে সংযোজিত হয়। যদিও ইতিপূর্বে ছাহাবীদের আমলে কেবল সূরার ভিত্তিতেই কুরআনের বিভাজন করা হ’ত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ঊল ফাতাওয়া ১৩/৪০৯-৪১৬)। তবে তাদের মধ্যেও একধরনের ভাগ প্রচলিত ছিল। যেমন আওস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথীদের জিজ্ঞেস করি, প্রতিদিন আপনারা কিভাবে কুরআনকে ভাগ করে পড়েন? তারা বললেন, তিন সূরা, পাঁচ সূরা, সাত সূরা, নয় সূরা, এগার সূরা, তের সূরা এবং এককভাবে মুফাছছাল সূরাসমূহ (অর্থাৎ সাত দিনে কুরআন খতম করি) (আবুদাউদ হা/১৩৯৩; ত্বাবারাণী কাবীর হা/৮৭)। ইমাম যুরকানী (রহঃ) বলেন, ওছমানী মুছহাফে প্রচলিত ভাগ-বণ্টন ছিল না। পরবর্তীতে লোকেরা সহজ করার জন্য নুকতা, হরকত, পারা ইত্যাদি সংযোগ করে। বিদ্বানদের নিকট এগুলো সবই জায়েয, যতক্ষণ এর উদ্দেশ্য হবে কুরআন পাঠের বিষয়টি সহজতর ও সুগম করা এবং যতক্ষণ তা বাহুল্য, বিভ্রান্তি ও বাড়াবাড়ি হ’তে মুক্ত থাকে (মানাহিলুল ইরফান ফি উলূমিল কুরআন ১/২৮৩)। অতএব কুরআনে কোন বিকৃতির সম্ভাবনা না থাকলে পাঠের সুবিধার্থে কুরআনকে পারা বা রুকূতে ভাগ করা দোষণীয় নয়।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ রুসাফী, ঢাকা।