উত্তর :
বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল গান-বাজনা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সত্বর আমার
উম্মতের মধ্যেকার কিছু লোক রেশমী কাতান, রেশমী কাপড়, মদ ও গান-বাদ্যকে
হালাল মনে করবে (বুখারী তা‘লীক্ব, হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)।
আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতা বশে বাজে কথা খরিদ করে মানুষকে
আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে।
তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি’ (লোক্বমান ৬)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এখানে ‘বাজে কথা’ অর্থ গান-বাজনা (ইবনু কাছীর)। ছোট মেয়েরা বিবাহ অনুষ্ঠানে ‘দফ’ বাজাতে পারে এবং ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারে (মিশকাত হা/৩১৪০, ৩১৫৩)।
বিয়েতে উপহার দেওয়ার প্রচলিত প্রথার কোন দলীল পাওয়া যায় না। কেবল হাদিয়া
প্রদানের সাধারণ নির্দেশের আলোকে এটি জায়েয হিসাবে গণ্য হ’তে পারে। তবে যদি
কেউ এটাকে অন্যভাবে গ্রহণ করেন, তাহ’লে তা মাকরূহ হবে। যয়নবের বিয়ের পর
ওয়ালীমাতে উম্মে সুলায়েম (রাঃ) রান্না করা গোস্ত-রুটি হাদিয়া পাঠিয়ে
রাসূলকে সাহায্য করেছিলেন এবং তিনি সবাইকে ডাকিয়ে তা খাইয়েছিলেন’ (বুখারী হা/৫১৬৩; মিশকাত হা/৩২১২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিকৃষ্ট খানা হ’ল ওয়ালীমার ঐ খানা, যাতে কেবল ধনীদের দাওয়াত দেওয়া হয় এবং গরীবদের বাদ দেওয়া হয়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২১৮)।
বর্তমান যুগে বিয়ে এবং ওয়ালীমাতে উপহারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যাতে গরীব আত্মীয়গণ লজ্জায় পড়েন। সেকারণ তাক্বওয়ার দাবী হ’ল সকল প্রকার বাড়াবাড়ি ও প্রদর্শনী হ’তে দূরে থাকা এবং এই পবিত্র অনুষ্ঠানগুলিকে সহজ ও অনাড়ম্বর করা।