উত্তর : কোন সাধারণ ব্যক্তি নবী ও রাসূলগণের সমমর্যাদা লাভ করতে পারবে না। এমনকি সকল নবী-রাসূলও পরস্পর সমান মর্যাদার অধিকারী হবেন না। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘উক্ত রাসূলগণ, আমরা তাদেরকে একে অপরের উপর মর্যাদা দান করেছি। তাদের কারু সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং কারু মর্যাদা উচ্চতর করেছেন’.. (বাক্বারাহ ২/২৫৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে অসীলা প্রার্থনা কর। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অসীলা কি? তিনি বললেন, জান্নাতের সবচাইতে উঁচু স্তর। শুধুমাত্র এক ব্যক্তিই তা লাভ করবে। আশা করি আমিই হব সেই ব্যক্তি (তিরমিযী হা/৩৬১২; মিশকাত হা/৫৭৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৬৩৬)। আহমাদের বর্ণনায় রয়েছে, অসীলা জান্নাতের একটি স্তর। যার উপরে কোন স্তর নেই। তোমরা আমার জন্য দো‘আ করবে যাতে আমাকে সেই মর্যাদা দেওয়া হয়’ (আহমাদ হা/১১৮০০; ছহীহাহ হা/৩৫৭১; ছহীহুল জামে‘ হা/১৯৮৮)। এক্ষণে যে সকল আয়াত ও হাদীছে সমান মর্যাদার কথা বলা হয়েছে তার অর্থ হ’ল তারা একই স্তরে থাকবে কিন্তু রাসূলদের মর্যাদা বেশী হবে। তাদের পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ ও কথোপকথন হবে (ফাৎহুল বারী ৬/৩২৮; কুরতুবী, আল-মুফহাম ৫/২৪)

উল্লেখ্য যে, জান্নাতীদের মধ্যেও স্তরভেদ হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই জান্নাতের একশতটি স্তর রয়েছে। আল্লাহ তাঁর রাস্তায় জিহাদকারীদের জন্য তা তৈরি করেছেন। প্রতি দু’স্তরের মধ্যে আসমান ও যমীনের ব্যবধান রয়েছে। সুতরাং তোমরা যখন আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে, তখন জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করবে। কারণ তা জান্নাতের মধ্যখানে অবস্থিত এবং সর্বোচ্চ জান্নাত। সেখান থেকেই জান্নাতের নদীসমূহ প্রবাহিত হয়, এর ওপরই আল্লাহর আরশ অবস্থিত (বুখারী হা/২৭৯০; মিশকাত হা/৩৭৮৭)






প্রশ্ন (১১/২৯১) : আমি একটি অমুসলিম প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি। যেখানে আছরের ছালাতের কোন সময় দেয় না। আমাকে অফিস ফঁাকি দিয়ে ছালাত আদায় করতে হয়। এটা জায়েয হচ্ছে কি? আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : একটি বইয়ে লেখা হয়েছে, ঈদায়নের ছালাতে ১২ তাকবীরের হাদীছগুলি যঈফ। শায়খ আলবানী ব্যতীত অন্য কোন মুহাদ্দিছ এসব হাদীছকে ছহীহ বলেননি। এর সত্যতা আছে কি? - -আতীকুল ইসলামবড় বনগ্রাম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : মসজিদে গিয়ে ২ রাক‘আত ছালাত আদায় করে চুপচাপ বসে থাকলে ফেরেশতারা তার জন্য দো‘আ করবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - -মেহেদী হাসান, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৭/৩০৭) : আমি মাথায় পৃথক স্কার্ফ বেঁধে তার উপর বোরকা পরিধান করি। এক্ষণে ওযূর সময় কিভাবে মাথা মাসাহ করব? আমাকে উক্ত স্কার্ফটি খুলতে হবে নাকি স্কার্ফের ওপরই মাথা মাসাহ জায়েয হবে? - -মাহফূযা খাতুন, সাবগ্রাম, বগুড়া।
প্রশ্ন (৮/২৮৮) : কিছু কিছু কাজ আছে, যা করলে নাকি আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। এটি কিভাবে সম্ভব এবং কতটুকু যুক্তিযুক্ত? - -টিপু সুলতান, সফীপুর, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখা সম্ভব কি? কারণ হাদীছে বর্ণিত আছে, উবাই বিন কা‘ব আল্লাহকে দেখেছিলেন।
প্রশ্ন (৩৫/৪৭৫) : মুসলিম শিক্ষক স্কুলে হিন্দু ধর্ম পড়াতে পারবে কি? - -যহীরুল ইসলাম, ধানমন্ডি, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : জনৈক আলেম বলেন, সুন্নাতযুক্ত ফরয ছালাত শেষে সংক্ষিপ্ত দো‘আ পাঠ করতে হবে। আর সুন্নাত বিহীন তথা ফজর ও আছর ছালাতের পর বিস্তারিত যিকির করতে হবে। এর কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২৬/২৬) : সাত আসমানের চেয়ে আল্লাহ্র আরশ বড় এবং আরশের চেয়ে আল্লাহ বহুগুণ বড়। এ বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৬/৩৫৬) : আল্লাহ রূহ সৃষ্টি করার পর কাউকে জান্নাতী কাউকে জাহান্নামী হিসাবে আগেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। এক্ষণে কোন জান্নাতী স্বীয় বদআমলের কারণে যেমন আত্মহত্যা করার কারণে জাহান্নামে যেতে পারে কি?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯৯) : খতমে খাজেগান পড়া বিদ‘আত। কিন্তু ব্যাপক চাপের মুখে কোন এক স্থানে আমাকে পড়তে হয়েছে এবং এর জন্য আমাকে কিছু টাকাও দিয়েছে। এক্ষণে উক্ত টাকা কি আমি ব্যবহার করতে পারব?
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : সূরা বাক্বারাহ ১৪৮ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই। - -নূরুল ইসলাম, নীলফামারী।
আরও
আরও
.